ঢাকা, সিএইচটি নিউজ সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনী
বাতিল করে দেশের সংখ্যালঘু সকল জাতিসত্তাসমূহের স্ব স্ব জাতিসত্তার সাংবিধানিক স্বীকৃতির
দাবিতে ঢাকায় প্রতীকী ধর্মঘট কর্মসূচি পালন করেছে চার সংগঠন গণতান্ত্রিক যুব ফোরাম,
বৃহত্তর পার্বত্য চট্টগ্রাম পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ, হিল উইমেন্স ফেডারেশন ও ইউনাইটেড ওয়ার্কার্স
ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট(শ্রমজীবী ফ্রন্ট)।
আজ ৩০ জুন, রবিবার সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনী আইন পাসের ৮ম বার্ষিকীতে
আয়োজিত এ কর্মসূচিতে ব্যানারের শ্লোগান ছিল “ভিন্ন জাতিগোষ্ঠীর ওপর “বাঙালি জাতীয়তা”
নয়, সকল জাতিসত্তার সাংবিধানিক স্বীকৃতি চাই”।
সকাল সাড়ে ১১ টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে অনুষ্ঠিত প্রতীকী ধর্মঘট
কর্মসূচিতে গণতান্ত্রিক যুব ফোরামের সাধারণ সম্পাদক জিকো ত্রিপুরার সভাপিতিত্বে ও সহ
সাধারণ সম্পাদক বরুণ চাকমার সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন হিল উইমেন্স ফেডারেশনের সভাপতি
নিরূপা চাকমা ও পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের সাধারণ সম্পাদক সুনয়ন চাকমা।
বক্তারা বলেন,বাংলাদেশ বহু জাতি, বহু ভাষা ও সংস্কৃতির দেশ । কিন্তু
আওয়ামী লীগ সরকার ২০১১ সালে পঞ্চদশ সংবিধান সংশোধনীর মাধ্যমে এদেশের সংখ্যালঘু ভিন্ন
ভাষাভাষি সকল জাতিসিত্তাগুলোর ওপর ”বাঙালি জাতীয়তা“ চাপিয়ে দিয়েছে। উক্ত সংশোধনীর ৬
নং অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, ‘বাংলাদেশের জনগণ
জাতি হিসেবে বাঙালি এবং নাগরিক হিসেবে বাংলাদেশী বলে পরিচিত হবে’। আমরা সব জাতির মানুষরা
বাংলাদেশের নাগরিক কিন্তু একজন সংখ্যালুঘু জাতিসত্তার মানুষ কখনো বাঙালি পরিচয় দিতে
পারে না। উগ্র বাঙালি জাতীয়তাবাদ কায়েমের লক্ষ্যে আওয়ামী লীগ সরকার জাতিসত্তাসমূহের
উপর “বাঙালির পরিচয়“ তথা বাঙালি জাতীয়তা চাপিয়ে দিয়েছে। পার্বত্য চট্টগ্রামসহ দেশের
সংখ্যালঘু জাতিসত্তাসমূহ “বাঙালি জাতীয়তা“ কখনো মানবে না।
বক্তারা আরো বলেন, সরকার শাসকগোষ্ঠীর কার্য্কলাপ থেকে এটা স্পষ্ট হচ্ছে,
বাংলাদেশে এক জাতি রাষ্ট্র কায়েমের প্রচেষ্টা চলছে। সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনী বাঙালি
জাতীয়তা আরোপ জাতিসত্তাসমূহের অস্তিত্ব হুমকি স্বরুপ। সংখ্যালঘুদের উপর দমনপীড়ন চালানোসহ
ন্যায্য অধিকার থেকে বঞ্চিত করা হচ্ছে। তৎকালীন পাকিস্তানী
শাসনের সাথে বর্তমান শাসকগোষ্ঠীর কোন পার্থক্য নেই।
প্রতীকী ধর্মঘটে নেতৃবৃন্দ, পঞ্চদশ সংশোধনী বাতিল এবং স্ব স্ব জাতিসত্তার
সাংবিধানিক স্বীকৃতির দাবি জানান। এছাড়া পাহাড়ে
অপারেশন উত্তরণসহ দমনপীড়ন বন্ধ, ইউপিডিএফ কেন্দ্রীয় নেতা আনন্দ প্রকাশ চাকমাসহ
অন্যায়ভাবে আটককৃত নেতাকর্মিদের মুক্তি এবং শ্রমজীবী ফ্রন্টের নেতা মাইকেল চাকমার সন্ধান
ও মুক্তির দাবি করেন।
---------------
---------------