মাইকেল চাকমা। ফাইল ছবি |
প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যকে অভিনন্দন জানিয়ে
বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ বলেন, সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বর্তমান পরিস্থিতিতে মানবিক
কারণে দীর্ঘ দণ্ড ভোগ করা কয়েদী এবং জামিনযোগ্য ধারায় আটক বন্দীদের মুক্তির বিষয়টি খতিয়ে দেখতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে
নির্দেশ দিয়েছেন। মাইকেল চাকমা পাহাড় ও সমতলে গণতান্ত্রিক আন্দোলনের একজন পরিচিত মূখ।
তিনি বিশেষত পার্বত্য চট্টগ্রামের নিপীড়িত মানুষের ন্যায্য অধিকার নিয়ে কাজ করেন। আগামীকাল
৯ এপ্রিল মাইকেল চাকমার নিখোঁজের এক বছর পূর্ণ হবে। কিন্তু দীর্ঘ এক বছরেও রাষ্ট্র
তার সন্ধান দিতে পারেনি। বরং নিখোঁজ মাইকেল চাকমাকে খোঁজার প্রশ্নে রাষ্ট্রের বিভিন্ন
আইন-প্রয়োগকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর নানা অসহযোগিতামূলক আচরণ প্রমাণ করে মাইকেল চাকমা রাষ্ট্রের
হেফাজতে বন্দী রয়েছেন।
মাইকেল চাকমার পরিবার পরিজন এখনো তার প্রত্যাবর্তনের
অপেক্ষায় পথ চেয়ে রয়েছেন। তিনি দণ্ডপ্রাপ্ত কোন আসামী নয়। তার নামে যদি কোন অভিযোগ-মামলা
থাকে, তাহলেও তার আইনের আশ্রয় লাভের অধিকার আছে বলে নেতৃবৃন্দ মন্তব্য করেন।
দেশের নাজুক পরিস্থিতিতেও পার্বত্য চট্টগ্রামে
অব্যহতভাবে রাজনৈতিক ধর-পাকড় চলমান রয়েছে উল্লেখ করে নেতৃবৃন্দ অবিলম্বে নিখোঁজ মাইকেল
চাকমাকে সন্ধান ও মুক্তি এবং মানবিক কারণে পার্বত্য চট্টগ্রামের সকল রাজনৈতিক বন্দীর
মুক্তির দাবি জানান।
উল্লেখ্য, পাহাড়িদের ঐতিহ্যবাহী উৎসব বৈসাবি (বৈসুক-সাংগ্রাই-বিঝু)
ও রানা প্লাজার ধ্বংসযজ্ঞের বার্ষিকী উপলক্ষ্যে কর্মসূচী গ্রহনের জন্য মাইকেল চাকমা
শ্রমিক এলাকায় সাংগঠনিক সফরে যান। কাঁচপুর এলাকায় সাংগঠনিক কাজ শেষে গত বছর (২০১৯)
৯ এপ্রিল বিকালে ঢাকায় কর্মসূচী বাস্তবায়ন পর্যালোচনা সভায় যোগদানের উদ্দেশ্যে রওনা
হওয়ার পর তিনি নিখোঁজ হন। এরপর এক বছরেও তার কোন হদিস পাওয়া যায়নি।
-----------