বান্দরবান, সিএইচটি
নিউজ
মঙ্গলবার, ১৯ জানুয়ারি
২০২১
বান্দরবানের রোয়াংছড়ি উপজেলায় সেনাবাহিনী কর্তৃক ৭ নিরীহ গ্রামবাসীকে শারিরীক নির্যাতন দুই গ্রামবাসীর বাড়ি তল্লাশির অভিযোগ পাওয়া গেছে।
গত ১৬ জানুয়ারি ও ১৭ জানুয়ারি পরপর এই ঘটনা দুটি
ঘটে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত ১৬ জানুয়ারি ২০২১
রাত আনুমানিক ১০ টায় জনৈক লেফটেন্যান্টের নেতৃত্বে রোয়াংছড়ি সেনা ক্যাম্পের একদল
সেনা সদস্য নতুন পাড়া নামক গ্রামে হানা দেয়। এ সময় সেনারা ঐ গ্রামের বাসিন্দা
অংশৈথুই মারমার (৫০) বাড়ির দরজা ভেঙে বাড়িতে ঢুকে। সেনারা বিনা অনুমতিতে ঘুমন্ত
অবস্থায় থাকা অংশৈথুই মারমা এবং তার স্ত্রী ডনুপ্রু মারমার শয়ন কক্ষে প্রবেশ করে
কাপড়-চোপড় এলোমেলো করে দিয়ে ব্যাপক তল্লাশি চালায়। তল্লাশির এক পর্যায়ে সেনা
সদস্যরা অংশৈথুই মারমা এবং তার ছেলে ওয়াংনাইসে (১৬)-কে অস্ত্রের মুখে বাড়ির বাইরে
নিয়ে যায় এবং গুলি করে মেরে ফেলার হুমকি দেয়।
তাদের কাছ থেকে সেনা সদস্যরা মাথায় অস্ত্র ঠেকিয়ে
জিজ্ঞেস করে, ‘সন্ত্রাসী দেখেছে কিনা? কতজনকে ভাত রান্না করে দিয়েছ?’ এরপর সেনা
সদস্যরা তাদেরকে সত্য কথা না বললে বাবা-ছেলে দুইজনকে গুলি করে মেরে ফেলবে বলে
হুমকি দেয়।
তল্লাশির পরও অবৈধ কোন কিছু না পেয়ে এবং
বাবা-ছেলের কাছ থেকে কোন তথ্য না পেয়ে সেনারা বাবা-ছেলে দুজনকে মাটিতে শুইয়ে মারধর
করে।
এছাড়া সেনারা একই গ্রামের আরও অন্তত ৫ জন নিরীহ
গ্রামবাসীকে মারধর করে বলে অভিযোগ পাওয়া যায়। এর মধ্যে চারজন হলেন- (১)
উহ্লাগ্যয়াই মারমা (৩৬), (২) গরামং মারমা (৩২), (৩) কোয়াইনু মারমা (৪৫) ও (৪)
খেজাবুং মারমা (৪০)। অপর এক জনের নাম পাওয়া যায়নি।
এর পরের দিন (১৭ জানুয়ারি) সেনাবাহিনীর আরেকটি দল
একই গ্রামের রেহ্লা অং মারমা (৫০) এর বাসায় ঢুকে তল্লাশি চালায়। এসময় সেনা সদস্যরা
বাড়ির লোকদের ‘সন্ত্রাসী আছে কিনা, বাড়ি নির্মাণ কিভাবে করেছেন, এত টাকা কিভাবে
কোথায় পেলেন’ ইত্যাদি অবান্তর প্রশ্ন করেন।
সিএইচটি নিউজে প্রকাশিত প্রচারিত কোন সংবাদ,
তথ্য, ছবি ,ভিডিও, কনটেন্ট ব্যবহার করতে হলে কপিরাইট আইন অনুসরণ করে ব্যবহার করুন।