""

সাজেকের বন, পরিবেবেশ ও জীব বৈচিত্র্য রক্ষার দাবিতে এবং জুম্ম উচ্ছেদের প্রতিবাদে মানববন্ধন

বাঘাইছড়ি প্রতিনিধি, সিএইচটি নিউজ
সোমবার, ১৫ মার্চ ২০২১


সাজেকের বন, পরিবেশ ও জীব বৈচিত্র্য রক্ষার দাবিতে এবং সেনাক্যাম্প স্থাপন, পর্যটন স্থাপনা নির্মাণ ও তথাকথিত উন্নয়নের নামে জুম্ম উচ্ছেদের প্রতিবাদে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।

আজ সোমবার (১৫ মার্চ ২০২১) সকালে সাজেক রক্ষা কমিটির ব্যানারে সাজেক ইউনিয়নের উজো বাজার, হাজাছড়া কিয়াংঘাট, রেতকাবা দোপদা, নন্দরাম ও সিজকছড়া এলাকায় এক যোগে এই মানবববন্ধন কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়।

এতে নিজেদের ভূমি ও অস্তিত্ব রক্ষার্থে এলাকার শত শত নারী-পুরুষ স্বতস্ফুর্তভাবে অংশগ্রহণ করেন।


মানববন্ধনে ‌‘সাজেকের বন ও বন্যপ্রাণী রক্ষা কর’ ‘জীব বৈচিত্র্য রক্ষা কর’;
  নিরাপত্তার নামে ক্যাম্প স্থাপন বন্ধ কর’; ’তথাকথিত বন আইনের নামে জুম্মদের ভিটেছাড়া করা যাবে না’ ইত্যাদি দাবি সম্বলিত লেখা প্ল্যাকার্ড প্রদর্শন করা হয়। এছাড়া চাকমা ও ত্রিপুরা ভাষায় লেখা প্ল্যাকার্ডও প্রদর্শন করেন মানববন্ধনকারীরা। চাকমা ভাষায় লেখা শ্লোগানগুলোর মধ্যে রয়েছে ‌‘নিরাপত্তা হোই কন’ ক্যাম্প ন’ অব’; ‌‘আইনের নাঙে জুম্মউনরে ঘর-বাগান গুরিবার মানা গরা ন’ যেব’; ‘উন্নয়নের কধা হোই জুম্মউনরে ধাবে দিয়া ন’ যেব’; ‘ইদু পর্যটন দরকার নেই, দরকার স্কুল আ হাসপাতাল’ ইত্যাদি।

এসব মানববন্ধনে সাজেক রক্ষা কমিটির নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন।


বক্তারা বলেন, সরকারের কথিত উন্নয়নের নামে সাজেকে একের পর এক পাহাড়িদের নিজেদের বসতভিটা, জায়গা-জমি থেকে উচ্ছেদ করা হচ্ছে। আমরা উন্নয়নের নামে উচ্ছেদ হতে চাই না্। আমরা শান্তিপূর্ণভাবে নিজ নিজ জায়গায় প্রাকৃতিক পরিবেশের সাথে বসবাস করতে চাই।

বক্তারা অভিযোগ করে বলেন, সাজেক পর্যটন এলাকা উত্তর রুইলুই পাড়া থেকে ১৭ পরিবার ত্রিপুরা গ্রামবাসীকে উচ্ছেদের পাঁয়তারা চলছে। সীমান্ত সড়ক নির্মাণের নামে পাহাড়িদের নিজেদের ঘরবাড়ি থেকে উচ্ছেদ করা হচ্ছে। ধ্বংস করা হচ্ছে পরিবেশ, জীব বৈচিত্র্য ও পাহাড়িদের জুমচাষের জমি।

বক্তারা অবিলম্বে উন্নয়নের নামে এমন ধ্বংসাত্মক কার্যক্রম বন্ধের জোর দাবি জানান।

এদিকে, মানববন্ধন কর্মসূচিকে বানচাল করে দেয়ার জন্য সকাল থেকে গ্রামে গ্রামে সেনাবাহিনীর টহল জোরদার করা হয় বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। যার কারণে মানববন্ধন কর্মসূচি সংক্ষিপ্ত করতে হয়েছে বলে জানিয়েছেন আয়োজকরা।

অপরদিকে, হাজাছড়া ও রেতকাবা এলাকায় মানববন্ধনে অংশ নিতে আসা লোকজনকে হুমকি ও ভয়ভীতি প্রদর্শন এবং রেতকাবা এলাকায় মানববন্ধন শেষে বাড়ি ফেরার সময় পথে আটকিয়ে মানববন্ধনে অংশগ্রহণকারী বেশ কয়েকজনকে ২ ঘন্টা ধরে রোদে দাঁড়িয়ে রেখে হয়রানি করারও অভিযোগ পাওয়া গেছে।





0/Post a Comment/Comments