স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সিন্দুকছড়ি ইউনিয়নের পক্ষীমুড়ো এলাকায় রাস্তার পার্শ্ববর্তী স্থানে জায়গার মালিক সনে রঞ্জন ত্রিপুরা, পিতা- কৃনি কুমার ত্রিপুরা কয়েকদিন আগে নিজের জায়গায় একটি ঘর নির্মাণের কাজ শুরু করেন। ঘরটি নির্মাণ কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে। কিন্তু গত ২ জুন ২০২১ তাকে ধুমনিঘাট আর্মি ক্যাম্পে ডেকে পাঠানো হয়। এ সময় তার সাথে মেম্বার সবেঞ্জয় ত্রিপুরা ও টিএসএফ সদস্য ভটেন সেন ত্রিপুরাও ক্যাম্পে যান। তারা ক্যাম্পে গেলে তাদেরকে বসার সুযোগ না দিয়ে ক্যাম্প কমাণ্ডার মেজর তুহিন তাদেরকে নির্মাণাধীন ঘরটি ভেঙে ফেলার নির্দেশ দিয়ে সেখানে কোন ঘর নির্মাণ করা যাবে না বলে সাফ জানিয়ে দেন।
তিনি জায়গার মালিক সনে রঞ্জন ত্রিপুরাকে হুমকি দিয়ে আরো বলেন, ‘অবৈধভাবে ঘর নির্মাণ ও জায়গা বেদখল করার কারণে প্রয়োজনে তোমার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হবে’।
সনে রঞ্জন ত্রিপুরার উক্ত জায়গায় একটি আর্মি চেকপোষ্ট নির্মাণের পাঁয়তারা চলছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
এদিকে, ঠান্ডাছড়ি পরিত্যক্ত ক্যাম্পের জায়গায় গত ২ মাস আগে একটি অস্থায়ী চৌকি নির্মাণ করা হয়। এতদিন সেখানে সেনা সদস্যরা নিয়মিত অবস্থান না করলেও গত ২-৩ দিন ধরে তারা সেখানে অবস্থান নিয়ে রয়েছে বলে স্থানীয়রা জানিয়েছেন।
স্থানীয় পাহাড়িরা এ প্রতিবেদককে জানান, সিন্দুকছড়ি সদর হতে ঠান্ডাছড়ি পর্যন্ত ২৮ জনের এবং পক্ষিমুড়ো হতে ধুমনিঘাট পর্যন্ত ৩১ জন পাহাড়ি গ্রামবাসীর ভোগদখলীয় জায়গা রয়েছে। এসব জায়গায় তারা জুমচাষসহ নানা চাষাবাদ করে জীবিকা নির্বাহ করে থাকেন।
তারা বলেন, ‘আমাদেরকে একদিকে ঘর নির্মাণে বাধা প্রদান করা হচ্ছে, অপরদিকে রাস্তার দুই পাশে সেটলার বাঙালি পুনর্বাসনের পাঁয়তারা চলছে বলে আমরা খবর পাচ্ছি। যার ফলে আমরা এখন আমাদের ভোগদখলীয় জায়গা-জমি বেদখল হওয়ার আশঙ্কার মধ্যেই রয়েছি’।