""

সংখ্যালঘু সম্প্রদায় ও ভিন্ন ভাষা-ভাষী জাতিসত্তাসমূহের জানমাল রক্ষার্থে সরকার ব্যর্থ : ইউপিডিএফ



নিজস্ব প্রতিনিধি, সিএইচটি নিউজ ।। কুমিল্লায় দূর্গাপূজা মণ্ডপে কথিত কোরান পাওয়ার ঘটনাকে কেন্দ্র করে গত ক’দিন ধরে ধর্মীয় সংখ্যালঘু হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর যে ধরনের ন্যাক্কারজনক বর্বরোচিত হামলা, বাড়িঘরে অগ্নিসংযোগ, লুটপাট ও নারীর ওপর নিযাতন হয়েছে তার পরিপ্রেক্ষিতে ক্ষমতাসীন সরকারের কঠোর সমালোচনা করে পার্বত্য চট্টগ্রামে পূর্ণস্বায়ত্তশাসনের দাবিতে আন্দোলনরত আঞ্চলিক রাজনৈতিক দল ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ)-এর কেন্দ্রীয় সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক যথাক্রমে প্রসিত খীসা ও রবি শংকর চাকমা আজ ১৯ অক্টোবর ২০২১, মঙ্গলবার এক যুক্ত বিবৃতি দিয়েছেন।

সংবাদ মাধ্যমে প্রদত্ত বিবৃতিতে ইউপিডিএফ নেতৃদ্বয় সংখ্যালঘু সম্প্রদায়, বিভিন্ন ভাষা-ভাষী জাতিসত্তা ও সাধারণ নাগরিকদের জানমাল রক্ষার্থে ক্ষমতাসীন সরকার সম্পূর্ণ ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে বলে মন্তব্য করেন। বিবৃতিতে তারা এই সরকারকে অবৈধ ও গণবিরোধী বলেও আখ্যায়িত করেন এবং অবিলম্বে একটি অস্থায়ী সরকারের নিকট ক্ষমতা হস্তান্তর করে দেশে সুষ্ঠু গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া শুরুর আহ্বান জানান।

রংপুরের পীরগঞ্জে হামলার পরিপ্রেক্ষিতে দেয়া স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বক্তব্যকে ইউপিডিএফ নেতৃদ্বয় দায়িত্বজ্ঞানহীন বলে যুক্ত বিবৃতিতে মন্তব্য করে বলেছেন,‘পূজামণ্ডপ, মন্দির-বৌদ্ধ বিহারে হামলা নতুন কোন ঘটনা নয়। কুমিল্লা ঘটনার পর পরই সরকারের কঠোর ব্যবস্থা নেয়া উচিত ছিল। সেটা না করে ক্ষমতাসীন সরকার প্রকারান্তরে রংপুরের পীরগঞ্জ, নোয়াখালির চৌমুহনীসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় হামলার সুযোগ সৃষ্টি করে দিয়েছে। যার দায় সরকার এড়াতে পারে না।

যুক্ত বিবৃতিতে তারা এও বলেছেন, সংখ্যালঘুবান্ধব বলে জাহিরকারী আওয়ামীলীগের এক যুগের অধিক শাসনামলে প্রতিবছরই কোথাও না কোথাও হামলা হচ্ছে। ২০১২ সালে রামু-কক্সবাজারসহ সারাদেশে বৌদ্ধ ও হিন্দুদের ওপর হামলার ঘটনাও লোকে ভুলে যায়নি। কোন ঘটনারই সুষ্ঠু তদন্ত বা বিচার কিছুই সরকার করেনি বলে তারা অভিযোগ করেন। উন্নয়নের ডুগডুগি বাজিয়ে ক্ষমতাসীন সরকার নিজেদের অপকর্ম আড়ালের অপচেষ্টা চালাচ্ছে বলে তারা মন্তব্য করেন।





0/Post a Comment/Comments