""

মানিকছড়িতে শহীদ মংশে মারমার ২৩তম মৃত্যুবার্ষিকী পালিত

মানিকছড়ি প্রতিনিধি, সিএইচটি নিউজ
শনিবার, ৩ ডিসেম্বর ২০২২

খাগড়াছড়ির মানিকছড়িতে বৃহত্তর পার্বত্য চট্টগ্রাম পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ (পিসিপি)-এর সাবেক কেন্দ্রীয় সদস্য শহীদ মংশে মারমার ২৩তম মৃত্যুবার্ষিকী পালিত হয়েছে।

আজ শনিবার (৩ ডিসেম্বর ২০২২) পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ মানিকছড়ি উপজেলা শাখার উদ্যোগে মানিকছড়ি বড়বিলে শহীদ মংশে মারমার উদ্দেশ্যে নির্মিত স্মৃতিস্তম্ভে পুষ্পস্তবক অর্পণ ও আলোচনা সভার মধ্যে দিয়ে এই কর্মসূচি পালন করা হয়।

সকাল ৭টায় স্মৃতিস্তম্ভে পুষ্পস্তবক অর্পন করেন পিসিপি মানিকছড়ি উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক অংসালা মারমা, গণতান্ত্রিক যুব ফোরামের সদস্য এডিশন মারমা, হিল উইমেন্স ফেডারেশনের সদস্য হ্লাক্রই মারমা প্রমুখ। পুষ্পস্তবক অর্পণ অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন পিসিপি মানিকছড়ি উপজেলা শাখার সদস্য পাইক্রানু মারমা।

পুষ্পস্তবক অর্পণের পর শহীদ মংশে মারমাসহ সকল শহীদদের স্মরণে এক মিনিট নিরবতা পালন করা হয় ।

এরপর সকাল ১১টায় মানিকছড়ি সদর এলাকায় এক আলোচনা করা হয়।

সভায় পিসিপি মানিকছড়ি থানা শাখার সাধারণ সম্পাদক অংসালা মারমার সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ)-এর মানিকছড়ি ইউনিটের সংগঠক বরুণ চাকমা ও অংচিং মারমা, পিসিপি মানিকছড়ি উপজেলা শাখার সহ-সাধারণ সম্পাদক মিতু মারমা, গণতান্ত্রিত যুব ফোরামের মানিকছড়ি উপজেলা শাখার এডিসন মারমা প্রমুখ।

বক্তারা বলেন, শহীদ মংশে মারমা পূর্ণস্বায়ত্তশাসন লড়াইয়ে এক অগ্রণি সৈনিক ছিলেন। পাহাড়ি জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠার লক্ষে মানিকছড়ি এলাকার জনগণকে আন্দোলনে ঐক্যবদ্ধ করতে চেষ্টা করেছিলেন। '৯৭ সালে চুক্তির পর ইউপিডিএফ গঠন হলে পার্টি সাথে একিভূত হয়ে সাংগঠনিক কার্যক্রম জোরদার করেছিলেন।

বক্তারা আরো বলেন, সন্তু লারমার লেলিয়ে দেওয়া সন্ত্রাসীরা শহীদ মংশে মারমাকে হত্যা করতে পারলেও তাঁর চিন্তা-চেতনা ও আদর্শকে হত্যা করতে পারেনি। তাঁর চেতনায় উজ্জীবিত হয়ে বর্তমান প্রজন্ম, ছাত্র সমাজ পূর্ণস্বায়ত্তশাসন আন্দোলনে সম্পৃক্ত হয়ে সংগ্রামকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। যারা জনগণের জন্য কাজ করে নিজেদের জীবনকে উসর্গ করেন তাদের মৃত্যু হয় না, তাঁরা জনগণের মাঝে বেঁচে থাকেন। শহীদ মংশে মারমাও জনগণের জন্য কাজ করতে গিয়ে জীবন দিয়েছেন, তিনি অমর। নতুন প্রজন্ম তাঁর আদর্শকে লালন করে জাতীয় মুক্তি আন্দোলনকে এগিয়ে নিয়ে যাবে।

বক্তারা ‘মংশে মারমার রক্ত বৃথা যেতে দেবো না’ এমন দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করে বলেন, শহীদ মংশে মারমা জনগণকে সংগঠিত করতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছিলেন। আমাদেরকে মংশে মারমার স্বপ্ন বাস্তবায়নে আন্দোলন জোরদার করতে হবে।

বক্তারা, পার্বত্য চট্টগ্রামে নিপীড়িত জাতি ও জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠার লক্ষে সংঘাতের পথ পরিহার করে বৃহত্তর জাতীয় ঐক্য গড়ে তোলার আহ্বান জানান।

উল্লেখ্য, ১৯৯৯ সালের ৩ ডিসেম্বর সাংগঠনিক কাজে গেলে কালাপানি নামক স্থানে জেএসএস’র  লেলিয়ে দেওয়া সশস্ত্র দুর্বৃত্তরা মংশে মারমাকে অপহরণের পর নির্মমভাবে হত্যা করে।

 





0/Post a Comment/Comments