""

রুমায় সেনাবাহিনীর গুলিতে কেএনএফের এক সদস্য নিহতের খবর

বান্দরবান প্রতিনিধি, সিএইচটি নিউজ
রবিবার, ২৯ জানুয়ারি ২০২৩

বান্দরবানের রুমায় সেনাবাহিনীর গুলিতে কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট (কেএনএফ)-এর এক সদস্য নিহত হয়েছেন এবং সেনাবাহিনী ও পুলিশ নিহত কেএনএফ সদস্যের লাশ উদ্ধার করেছে বলে বিভিন্ন মিডিয়ায় প্রকাশিত খবরে জানা গেছে।

গতকাল শনিবার (২৮ জানুয়ারি ২০২৩) সন্ধ্যায় রুমা উপজেলা সদর থেকে ৮ কিলোমিটার দুরে আর্থা পাড়া ও বাছলাং পাড়ার মাঝামাঝি স্থানে সেনাবাহিনী ও কেএনএফ সদস্যদের মধ্যে সশস্ত্র সংঘর্ষে এ ঘটনা ঘটে বলে মিডিয়ার খবরে জানা যায়। এ ঘটনায় আতঙ্কে ঐ এলাকার কয়েকটি পাড়ার শতাধিক নারী পুরুষ রুমা উপজেলা সদরে এসে আশ্রয় নিয়েছেন।

আজ রবিবার (২৯ জানুয়ারি) সকালে সেনাবাহিনী ও পুলিশ ঘটনাস্থলে তল্লাশি চালিয়ে নিহত কেএনএফ সদস্যের লাশ উদ্ধার করে। তবে তার নাম ঠিকানা কোন কিছুই জানাতে পারেনি পুলিশ।

এর আগে শুক্রবার থেকে ওই এলাকায় সেনাবাহিনী ও কেএনএফ সদস্যদের মধ্যে সশস্ত্র সংঘর্ষের তথ্য পাওয়া যায়। কেএনএফের পক্ষে পরিচালিত একটি ফেসবকু আইডি থেকে সংঘর্ষের একটি ভিডিও ফুটেজও প্রকাশ করা হয়।

রুমা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আলমগীর হোসেন জানিয়েছেন, কেএনএফের সশস্ত্র সদস্যরা পাহাড়ে অবস্থান নিয়েছে এমন খবরে সেখানে সেনাবাহিনী অভিযান চালালে অস্ত্রধারীরা সেনাবাহিনীকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। এ সময় উভয় পক্ষে গোলাগুলিতে এক কেএনএফ সদস্য ঘটনাস্থলে নিহত হয়। তবে তার নাম ঠিকানা জানা যায়নি। ঘটনাস্থল থেকে একটি একনলা বন্দুক ও দশ রাউন্ড গুলি উদ্ধারের কথাও জানান তিনি।

উল্লেখ্য, গত বছর অক্টোবর থেকে সেনাবাহিনী ও র‌্যাব রুমা ও রোয়াংছড়ি প্রত্যন্ত এলাকায় কেএনএফ ও একটি ইসলামী জঙ্গি গোষ্ঠির বিরুদ্ধে কম্বিং অপারেশন চালাচ্ছে। এর ফলে নানা হয়রানি ও নিপীড়নের ভয়ে ইতোমধ্যে ৩০০ জনের মতো বম জনগোষ্ঠির লোক পালিয়ে ভারতের মিজোরাম রাজ্যে আশ্রয় নিয়েছেন। এমতাবস্থায় আবারো এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটলো। এতে করে ওই এলাকার লোকজন চরম আতঙ্কে রয়েছেন এবং অনেকে ঘরবাড়ি ছেড়ে অন্যত্র আশ্রয় নিচ্ছেন বলে জানা গেছে।

এদিকে, ‘সন্ত্রাস ও জঙ্গি বিরোধী অভিযানের’ নামে ওই এলাকায় বসবাসকারী পাহাড়ি বাসিন্দাদের উচ্ছেদ করার ষড়যন্ত্র হচ্ছে কি-না তা নিয়েও অনেকে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন। কারণ হিসেবে তারা ওই এলাকায় সরকারি-বেসরকারি মহল কর্তৃক পর্যটন কেন্দ্র গড়ে তোলার পরিকল্পনা থাকার কথা তুলে ধরেছেন।


সিএইচটি নিউজে প্রকাশিত প্রচারিত কোন সংবাদ, তথ্য, ছবি ,ভিডিও, কনটেন্ট ব্যবহার করতে হলে কপিরাইট আইন অনুসরণ করে ব্যবহার করুন।






0/Post a Comment/Comments