""

চট্টগ্রামে একটি ডায়াগনস্টিক সেন্টার থেকে এক পাহাড়ি শিক্ষার্থীকে তুলে নিয়ে হয়রানির অভিযোগ সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে!

 হয়রানির শিকার শিক্ষার্থী অনিমেষ চাকমা। ছবি: সংগৃহিত।

চট্টগ্রাম, সিএইচটি নিউজ
বুধবার, ৬ আগস্ট ২০২৫

চট্টগ্রামে এপিক ডায়াগনস্টিক সেন্টারে পার্টটাইম চাকরি করা এক পাহাড়ি শিক্ষার্থীকে তুলে নিয়ে হয়রানির অভিযোগ উঠেছে সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে।

হয়রানির শিকার হওয়া শিক্ষার্থীর নাম অনিমেষ চাকমা। তিনি চট্টগ্রামের একটি কলেজে বি.এড (অনার্স) দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী। পড়াশোনার পাশাপাশি তিনি এপিক ডায়াগনস্টিক সেন্টারে পার্টটাইম হিসেবে চাকরি করেন বলে জানা গেছে।

ঘটনার বিষয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশিত তথ্য সূত্রে জানা যায়, আজ বুধবার (৬ আগস্ট ২০২৫) সকালে এপিক ডায়াগনস্টিক সেন্টারে অনিমেষ চাকমার ডিউটি ছিল। তিনি খুব সকালে বাসা থেকে বের হয়ে কর্মস্থলে যান। পরে তিনটি গাড়িতে করে সেনাবাহিনীর সদস্যরা এপিক ডায়াগনস্টিক সেন্টারে গিয়ে অনিমেষ চাকমাকে তুলে নিয়ে যায়।

ঘটনাটি জানাজানি হলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অনেকে উদ্বেগ প্রকাশ করেন।

ঘটনার কারণ সম্পর্কে জানা যায়, কয়েকদিন আগে ক্যাডেট কলেজের এক শিক্ষার্থীর সাথে এপিক ডায়াগনস্টিক সেন্টারের একজন স্টাফের ভুল বোঝাবুঝির ফলে একটি অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটে। উক্ত ঘটনাকে কেন্দ্র করে সন্দেহবশত সেনাবাহিনী অনিমেষ চাকমাকে তুলে নিয়েছে। কিন্তু ওই ঘটনার সাথে অনিমেষ চাকমার কোন সম্পৃক্ততা ছিল না। তারপরও তুলে নিয়ে যাবার পর সেনারা তাকে কথার মাধ্যমে নানা হুমকি-ধমকি দেয় বলে অভিযোগে উঠেছে।

ঘটনার পর তার আত্মীয়-স্বজন ও বন্ধু-বান্ধবরা সেনাবাহিনীর সাথে যোগাযোগ করতে নগরীর কাজির দেউরি এলাকায় ছুটে যান।

পরবর্তীতে এপিকের ম্যানেজারকে ডেকে ‘বিষয়টি ভুল বোঝাবুঝির’ কারণে ঘটেছে জানিয়ে দুঃখ প্রকাশ করে সেনারা অনিমেষ চাকমাকে ছেড়ে দেয় বলে জানা গেছে।

অনেকে প্রশ্ন তুলেছেন, সঠিক তথ্য যাচাই না করে শুধুমাত্র সন্দেহবশত একজন ছাত্রকে এভাবে তুলে নিয়ে যাওয়া হলো কেন? সেনাবাহিনীর এহেন কর্মকাণ্ড অত্যন্ত নিন্দনীয় উল্লেখ করে তারা বলেছেন, ‘এপিকের অথরিটিকে না জানিয়ে, সিসিটিভি ফুটেজ চেক না করে একজন নিরীহ ছাত্রকে এভাবে তুলে নেয়ার ঘটনা কাম্য নয়’।

* খবরের উৎস: সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম


সিএইচটি নিউজে প্রকাশিত প্রচারিত কোন সংবাদ, তথ্য, ছবি ,ভিডিও, কনটেন্ট ব্যবহার করতে হলে কপিরাইট আইন অনুসরণ করে ব্যবহার করুন।







0/Post a Comment/Comments