""

খাগড়াছড়ি সীমান্তে নয়াবাজার এলাকায় আটকা পড়েছে কয়েকশত পাহাড়ি কর্মজীবী, পুলিশের লাঠিচার্জ

ছবি সংগৃহিত
মানিকছড়ি প্রতিনিধি ।। করোনা ভাইরাসের মহামারির কারণে দেশব্যাপী লকডাউনের মধ্যেও জীবনবাজি রেখে ঢাকা, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম থেকে খাগড়াছড়ির বিভিন্ন এলাকায় নিজ নিজ গ্রামে ফিরতে চাচ্ছে বিভিন্ন কারখানা-ফ্যাক্টরিতে কর্মরত শত শত পাহাড়ি কর্মজীবী। কিন্তু ফিরতে গিয়ে চরম দুর্ভোগে পড়তে হচ্ছে তাদের। আটকা পড়ছেন বিভিন্ন স্থানে।

সংগৃহিত ছবি
ইতিমধ্যে খাগড়াছড়ি জেলা প্রশাসন করোনা ভাইরাস সংক্রমণ রোধে খাগড়াছড়িতে প্রবেশ পথগুলো বন্ধ করে দিয়েছে। 

ফলে আজ বৃহস্পতিবার (১৬ এপ্রিল) সকালে চট্টগ্রাম থেকে আসা ঘরমুখী কয়েকশত পাহাড়ি কর্মজীবী নারী-পুরুষকে খাগড়াছড়ি-ফটিকছড়ি সীমান্ত নয়াবাজার আর্মি ক্যাম্পের চেকপোষ্ট এলাকায় সেনাবাহিনী ও পুলিশ আটকিয়ে দেয়।  আটকে পড়াদের মধ্যে অধিকাংশই নারী।

এর আগে খাগড়াছড়ি শহরের প্রবেশমুখ জিরোমাইলেও কিছু মানুষকে আটকিয়ে দেয়া হয়।

সংগৃহিত ছবি

আটকে পড়া লোকজন অভিযোগ করেছেন তাদেরকে খাগড়াছড়িতেও যেতে দেয়া হচ্ছে না, আবার শহরেও ফিরতে দেয়া হচ্ছে না। 

এ অবস্থায় তারা এর প্রতিবাদ জানালে এক পর্যায়ে পুলিশ তাদের ওপর লাঠিচার্জ করে। এতে নারীসহ বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন।

করোনা প্রাদুর্ভাবের কারণে সরকার ছুটির মেয়াদ বৃদ্ধির পাশাপাশি বিজিএমইএ’র কারখানা বন্ধ রাখার ঘোষণা ও বেতন না পাওয়ায় এসব কর্মজীবী মানুষ অর্থসংকটের কারণে শহরে থাকতে পারছে না। বাধ্য হয়ে তারা গ্রামে বা বাড়ি ফিরতে চাইছেন।
পুলিশের লাঠিচার্জে আহত নারী। সংগিৃহিত ছবি

এদিকে, করোনা ভাইরাস সংক্রমণ রোধে সামাজিক-শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখার কথা বলা হলেও আটকে দেওয়া এসব মানুষকে গাদাগাদি বসিয়ে রাখা হয়েছে। ফলে ভাইরাস সংক্রমণের ঝুঁকি আরো বাড়ছে বলে মনে করছেন সচেতন মহল। তারা প্রশাসনের এমন অব্যবস্থাপনার সমালোচনা করেছেন।

দাবি উঠেছে আটকে পড়া এসব মানুষকে হয় নিজ নিজ গ্রামে পৌঁছানোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা নতুবা সরকারি সুব্যবস্থাপনায় যথাযথ খাদ্য সামগ্রি যোগান দেয়ার মাধ্যমে তাদেরকে কোয়ারেন্টাইনে রাখার ব্যবস্থা করা।

তাই লাঠিচার্জ বা বল প্রয়োগ না করে প্রশাসনের উচিত যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করে এসব আটকে পড়া কর্মজীবী মানুষগুলোকে এই দুর্ভোগ থেকে রেহাই দেওয়া।
-----





0/Post a Comment/Comments