বিশেষ প্রতিবেদন, সিএইচটি নিউজ
বৃহস্পতিবার, ২২ এপ্রিল ২০২১
![]() |
ফাইল ছবি |
পার্বত্য চট্টগ্রামে স্বজনহারা, শোকাবহ, হৃদয় মুষড়ানো অশ্রভেজা অসংখ্য দিনের মতো রক্তে রঞ্জিত আরও একটি দিন ২২ এপ্রিল। ১৯৯৯ সালের এই দিনে খাগড়াছড়িতে পুলিশের গুলিতে শহীদ হন প্রতুল ও সুরমণি চাকমা। রক্তাক্ত হয় খাগড়াছড়ির রাজপথ। পুলিশের বর্বরোচিত হামলায় আহত হন আরও অর্ধশতাধিক লোক।
সেদিন (২২ এপ্রিল) ছিল
পাহাড়ি গণ পরিষদ (পিজিপি) ও হিল উইমেন্স ফেডারেশন (এইচডব্লিউএফ)-এর পূর্ব
নির্ধারিত যৌথ কেন্দ্রীয় সম্মেলন। খাগড়াছড়ি সদরের খেজুর বাগান মাঠে (উপজেলা
মাঠে) এ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। পিজিপি ও এইচডব্লিউএফ নেতৃবৃন্দ অনেক
আগে থেকেই সম্মেলনের জন্য প্রস্তুতিমূলক কার্যক্রম শুরু করে। সম্মেলন প্রস্তুতি
কমিটি যথারীতি প্রশাসনকে লিখিতভাবে অবহিত করে। পার্বত্য চট্টগ্রামের বিভিন্ন
স্থানে পোস্টারিং করা হয়। ঢাকা ও চট্টগ্রাম থেকে জাতীয় নেতৃবৃন্দকে আমন্ত্রণ জানানো
হয় এবং আমন্ত্রিত অতিথিরা সম্মেলনে যোগদানের জন্য খাগড়াছড়িতে এসে পৌঁছেন।
সম্মেলনে যোগদানের জন্য
সেদিন সকাল থেকে খাগড়াছড়িসহ পার্বত্য চট্টগ্রামের বিভিন্ন এলাকা থেকে গাড়িযোগে
ও পায়ে হেঁটে হাজার হাজার জনতা জেলা শহরের দিকে আসতে থাকে। কিন্তু পুলিশ তাদেরকে
সম্মেলন স্থলে যেতে বাধা দেয়।