""

নান্যাচর গণহত্যা স্মরণে চার সংগঠনের উদ্যোগে আলোচনা সভা ও প্রদীপ প্রজ্বালন


নান্যাচর প্রতিনিধি ।। সেনা-সেটলার কর্তৃক সংঘটিত নান্যাচর গণহত্যা স্মরণে রাঙামাটির নান্যাচরে পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ, গণতান্ত্রিক যুব ফোরাম, হিল উইমেন্স ফেডারেশন ও পার্বত্য চট্টগ্রাম নারী সংঘ-এর রাঙামাটি জেলা শাখার উদ্যোগে আলোচনা সভা ও প্রদীপ প্রজ্বালন কর্মসূচি পালিত হয়েছে।

গতকাল ‌১৭ নভেম্বর ২০২‌১ বেলা ২টায় নান্যাচর গণহত্যার ২৮তম বার্ষিকীতে এ কর্মসূচি পালন করা হয়।

“শহীদের রক্তবীজ থেকে জন্ম নেবে হাজারো সংগ্রামী” এই স্লোগানে অনুষ্ঠানের প্রথমে শহীদদের স্মরণে নির্মিত অস্থায়ী স্মৃতিস্তম্ভে পুষ্পস্তবক অর্পণ ও এক মিনিট নিরবতা পালন করা হয়। এতে শোক প্রস্তাব পাঠ করেন পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের নান্যাচর উপজেলা সভাপতি মনোবি চাকমা।


এরপর অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় গণতান্ত্রিক যুব ফোরামের রাঙামাটি জেলা শাখার সভাপতি ললিত ধন চাকমার সভাপতিত্বে ও সাংগঠনিক সম্পাদক প্রিয়তন চাকমার সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের রাঙামাটি জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক তনুময় চাকমা ও সাংগঠনিক সম্পাদক সতেজ চাকমা, হিল উইমেন্স ফেডারেশনের প্রতিনিধি নিশি চাকমা, শহীদ পরিবারবর্গের পক্ষে ঊষাময় চাকমা ও এলাকার বিশিষ্ট মুরুব্বীবৃন্দ।

বক্তারা ১৯৯৩ সালের ১৭ নভেম্বর সংঘটিত লোমহর্ষক গণহত্যা স্মরণ করে বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামে জাতিগত নির্মুলীকরণের অংশ হিসেবে সেদিন সেনা-সেটলারা অত্যন্ত পরিকল্পিতভাবে এই গণহত্যা সংঘটিত করেছিল। যার কারণে দীর্ঘ ২৮ বছরেও রাষ্ট্র এই গণহত্যার বিচারের কোন উদ্যোগ গ্রহণ করেনি। শুধু নান্যাচর গণহত্যা নয়, পার্বত্য চট্টগ্রামে এ যাবত ডজনের অধিক গণহত্যারও কোন বিচার হয়নি।


বক্তারা আরও বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামে জুম্মদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের কোন শেষ নেই। ১৯৯৭ সালে চুক্তির পর থেকে সরকার তথা শাসকগোষ্ঠী নতুন করে জাতিধ্বংসের খেলায় মেতে উঠেছে। জুম্ম জনগণের অধিকার আদায়ের ন্যায্য আন্দোলন দমনে গণতান্ত্রিক অধিকার খর্ব করা হচ্ছে। প্রতিনিয়ত ভূমি বেদখল অন্যায় ধরপাকড়, মিথ্যা মামলা দিয়ে জেলে প্রেরণ, খুন-গুম, নারী নির্যাতন যেন নিত্যনৈমিত্তিক ঘটনায় পরিণত হয়েছে। শাসকগোষ্ঠীর এসব ষড়যন্ত্র মোকাবেলায় শহীদদের আত্মবলিদান থেকে শক্তি সঞ্চার করে আগামী দিনের অধিকার আদায়ের লড়াই জোরদার করার আহ্বান জানান বক্তারা।

সভা থেকে বক্তারা আর কালক্ষেপণ না করে নান্যাচর গণহত্যাসহ পার্বত্য চট্টগ্রামে সংঘটিত সকল গণহত্যার বিচার ও জাতিগত নিপীড়ন বন্ধ করার দাবি জানান।

আলোচনা সভা শেষে ‌‘সালাম সালাম হাজার সালাম...’ গানটি পরিবেশনের মধ্য দিয়ে গণহত্যায় শহীদদের স্মরণে প্রদীপ প্রজ্বালন করা হয়।




---





0/Post a Comment/Comments