""

সাজেক ও বাঘাইছড়িতে ইউপিডিএফের লাগানো পোস্টার ছিঁড়ে দিয়েছে সেনাবাহিনী!

পোস্টার ছিঁড়ে দিচ্ছে এক সেনা সদস্য

বাঘাইছড়ি প্রতিনিধি ।। রাঙামাটির বাঘাইছড়ি উপজেলার সাজেক ও বাঘাইছড়ি উপজেলা সদর এলাকায় ইউপিডিএফের লাগানো পোস্টার ছিঁড়ে দিয়েছে সেনাবাহিনীর সদস্যরা।

গতকাল সোমবার (২১ মার্চ ২০২২) রাতে সাজেক ও বাঘাইছড়ি উপজেলা সদরের বিভিন্ন স্থানে পোস্টারটি লাগানো হয়।

আজ মঙ্গলবার (২২ মার্চ ২০২২) সকাল থেকে সেনারা সাজেকের উজো বাজার, দোপদা, গঙ্গারাম, নন্দরাম, হাজাছড়া ও বাঘাইছড়ি উপজেলা সদরের বঙ্গলতলি, নুও দোকান, জারুলছড়িসহ বেশ কয়েকটি স্থানে পোস্টার ছেঁড়ার অভিযান চালায়। বিভিন্ন স্থানে তারা পোস্টার ছিঁড়ে দেয়। অনেককে পোস্টার ছিঁড়তে বাধ্য করে।

পার্বত্য চট্টগ্রামে সেনা সন্ত্রাস বন্ধ কর” শ্লোগানে ইউপিডিএফ’র খাগড়াছড়ি ইউনিট থেকে গত ১৭ মার্চ এই পোস্টারটি প্রকাশ করা হয়। এতে ‘সেনা হেফাজতে শারীরিক নির্যাতনে নবায়ন চাকমার (সৌরভ) রক্ত বৃথা যাবে না, শত শহীদের রক্তবীজ থেকে জন্ম নেবে হাজারো সংগ্রামী যোদ্ধা’ এমন দু’টি শ্লোগানও রয়েছে।

ইউপিডিএফ’র প্রকাশিত পোস্টারটি

এদিকে, স্থানীয়রা অভিযোগ করে জানান, আজ সকালে ছোদগিছড়া সেনাক্যাম্প থেকে একদল সেনা সদস্য গঙ্গারাম করল্যাছড়ি এলাকায় এসে স্থানীয় এক পাহাড়ি নারীকে ডেকে ইউপিডিএফ’র লাগানো পোস্টার ছিঁড়ে ফেলতে নির্দেশ দেয়। কিন্তু ওই নারী পোস্টার ছিঁড়তে রাজি না হলে সেনারা তাকে অশোভন ভাষায় গালিগালাজ করে এবং হুমকি ধমকি দিয়ে পোস্টার ছিঁড়তে বাধ্য করে।

সংগঠন ও ব্যক্তির প্রচার-প্রচারণা এবং কোন প্রতিবাদ কর্মসূচির অংশ হিসেবে পোস্টার লাগানো একটি গণতান্ত্রিক ও সাংবিধানিক অধিকার। তাই জোরজবরদস্তিমূলকভাবে পোস্টার ছিঁড়ে দেয়া দেশের আইন ও গণতান্ত্রিক অধিকারের পরিপন্থী। কিন্তু পার্বত্য চট্টগ্রামে নিয়োজিত সেনাবাহিনী হারহামেশা এ ধরনের বেআইনি ও অগণতান্ত্রিক কার্যক্রম চালালেও এই রাষ্ট্র ও সরকার তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ কোন পদক্ষেপ নেয় না।

উল্লেখ্য, গত ১৫ মার্চ ২০২২ দীঘিনালায় সেনাবাহিনী কর্তৃক আটকের পর অমানুষিক নির্যাতন চালিয়ে ইউপিডিএফ নেতা নবায়ন চাকমা মিলন (সৌরভ)-কে হত্যা করে। উক্ত ঘটনার প্রতিবাদের অংশ হিসেবে ইউপিডিএফ খাগড়াছড়ি ইউনিট উক্ত পোস্টারটি প্রকাশ করে।

---





Post a Comment