""

পিসিপি’র ৩৩তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে সাজেকে আলোচনা সভা

সাজেক প্রতিনিধি, সিএইচটি নিউজ
বৃহস্পতিবার, ১৯ মে ২০২২

আগামীকাল ২০ মে বৃহত্তর পার্বত্য চট্টগ্রাম পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ(পিসিপি)-এর ৩৩তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী। এ উপলক্ষে পিসিপি’র বাঘাইছড়ি উপজেলা শাখার উদ্যোগে আজ বৃহস্পতিবার (১৯ মে ২০২২) সাজেকে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

“শাসকগোষ্ঠীর মিলিত ষড়যন্ত্র নসা করে আসুন জাতির বৃহত্তর স্বার্থে ঐক্য গড়ে তুলি, অস্তিত্ব রক্ষার সংগ্রামকে এগিয়ে নিই” শ্লোগানে সাজেকের বাঘাইহাট এলাকায় এই আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন পিসিপি’র বাঘাইছড়ি উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক নিউটন চাকমা।

জিতেন চাকমার সঞ্চালনায় সভায় আরো বক্তব্য রাখেন ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট ( ইউপিডিএফ)-এর সংগঠক আর্জেন্ট চাকমা, গণতান্ত্রিক যুব ফোরামের সাজেক থানা শাখার সভাপতি কালো বরণ চাকমা, পার্বত্য চট্টগ্রাম নারী সংঘের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য উজ্জ্বলা চাকমা ও হিল উইমেন্স ফেডারেশনের বাঘাইছড়ি উপজেলা শাখার সদস্য নবনিতা চাকমা প্রমুখ। সভায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন পিসিপি’র বাঘাইছড়ি উপজেলা শাখার নেতা অতুল চাকমা।

আলোচনা সভা শুরুতে সকল শহীদদের প্রতি সম্মান জানিয়ে এক মিনিট নিরবতা পালন করা হয়।

সভায় ইউপিডিএফ সংগঠক আর্জেন্ট চাকমা বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামে ছাত্র-গণআন্দোলনের একটি নাম পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ বা পিসিপি। ১৯৮৯ সালে এই সংগঠনটি  গঠনের পর পার্বত্য চট্টগ্রামে আন্দোলনের গতি সঞ্চার হয় এবং দেশ-বিদেশে পার্বত্য চট্টগ্রামে শাসকগোষ্ঠির নিপীড়ন-নির্যাতনের বিরুদ্ধে ব্যাপক জনমত গড়ে ওঠে। আগামীতেও এই সংগঠনের নেতৃত্বে পার্বত্য চট্টগ্রামে অধিকার প্রতিষ্ঠার আন্দোলন জোরদার করতে হবে।

তিনি আরো বলেন, ১৯৯৭ সালে পার্বত্য চুক্তি স্বাক্ষরিত হলেও পার্বত্য চট্টগ্রামে শান্তি প্রতিষ্ঠা হয়নি।  চুক্তির পর শাসকগোষ্ঠির প্রত্যক্ষ সহযোগিতায় যে হারে ভুমি বেদখল, সাম্প্রদায়িক হামলা, নারী নির্যাতন, খুন, গুম, অন্যায় দমনপীড়ন, ধরপাকড় চলছে তা চুক্তিপূর্ব পরিস্থিতির চেয়েও ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। ফলে পাহাড়িদের জাতিগত অস্তিত্ব আজ চরম হুমকির মুখে পড়েছে। এই পরিস্থিতিতে ছাত্র সমাজ হাতগুটিয়ে বসে থাকতে পারে না।


তিনি শাসকগোষ্ঠির সকল ষড়যন্ত্র ও দমনপীড়নের বিরুদ্ধে সকলকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামের বতর্মান এই কঠিন সময়ে ঐক্যবদ্ধ হওয়া ছাড়া কোন বিকল্প নেই। সকল মতভেদ ভুলে ঐক্যবদ্ধভাবেই জাতীয় অস্তিত্ব রক্ষার আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে।   

সভায় অন্যান্য বক্তারা বলেন, পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের ৩৩ বছর অতিক্রম করা কোন সহজ ছিল না। অনেক চড়াই-উৎরাই পার হয়ে, নানা ঘাত-প্রতিঘাত মোকাবিলা করে সামনে এগিয়ে আসতে হয়েছে এই সংগঠনকে। ছাত্ররাই হচ্ছে এই সংগঠনের মূল কান্ডারী। তাই ছাত্রদেরকেই এই সংগঠনের পতাকাতলে সমবেত হয়ে পূর্ণস্বায়ত্তশাসন প্রতিষ্ঠার আন্দোলন বেগবান করতে হবে।

---





0/Post a Comment/Comments