""

বান্দরবানে যৌথ অভিযানের নামে বম জাতিসত্তার ওপর নিপীড়নের ঘটনায় গণতান্ত্রিক ছাত্র জোটের উদ্বেগ ও নিন্দা




ঢাকা প্রতিনিধি, সিএইচটি নিউজ
বুধবার, ১০ এপ্রিল ২০২৪

বান্দরবানে ব্যাংক ডাকাতি, ম্যানেজারকে অপহরণ, পুলিশ-আনসারের অস্ত্র লুটের ঘটনাকে কেন্দ্র করে বম জাতিসত্তার জনগণের ওপর নিপীড়ন শিক্ষার্থী, চাকরিজীবীসহ সাধারণ মানুষকে অন্যায়ভাবে গ্রেফতারের ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ রাষ্ট্রীয় বাহিনীর এহেন কর্মকাণ্ডের নিন্দা জানিয়েছে গণতান্ত্রিক ছাত্র জোট।

আজ বুধবার (১০ এপ্রিল ২০২৪) গণতান্ত্রিক ছাত্র জোটের সমন্বয়ক পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের সভাপতি অঙ্কন চাকমা, বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি রাগীব নাঈম, সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের সভাপতি সালমান সিদ্দিকী, বিপ্লবী ছাত্র মৈত্রীর সভাপতি সাদেকুল ইসলাম সোহেল, বিপ্লবী ছাত্র-যুব আন্দোলনের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি তাওফিকা প্রিয়া, বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশনের সভাপতি মিতু সরকার, গণতান্ত্রিক ছাত্র কাউন্সিলের সভাপতি ছায়েদুল হক নিশান সংবাদ মাধ্যমে প্রেরিত এক যুক্ত বিবৃতিতে উদ্বেগ নিন্দা জানান।

বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, শাসকগোষ্ঠী পার্বত্য চট্টগ্রামকে নিয়ে নানা ষড়যন্ত্র জারি রেখেছে। এর মূল কারণ হল পার্বত্য চট্টগ্রামে রাষ্ট্রীয় বাহিনীর ক্যাম্প সম্প্রসারণ, ভূমি বেদখল, উন্নয়নের নামে পাহাড়িদের উচ্ছেদ করে তাদের অস্তিত্ব ধ্বংস করে দেওয়া। গত কয়েকদিনে বান্দরবানে এক নাটকীয় ঘটনায় পরিপ্রেক্ষিতে পাহাড়ে বিপুল পরিমানে সেনাবাহিনী মোতায়েনের দাবি তোলার বিষয়টি তা প্রমাণ করে।

সাম্প্রতিক বান্দরবানের ঘটনা তুলে ধরে ছাত্র জোটের নেতৃবৃন্দ বলেন, গত এপ্রিল বান্দরবানের রুমা থানচিতে সশস্ত্র দুর্বৃত্তদের কর্তৃক ব্যাংক ডাকাতি, ম্যানেজারকে অপহরণ, রাষ্ট্রীয় বাহিনীর অস্ত্র লুট, থানায় লক্ষ্য করে গুলি বর্ষণের মতো ঘটনা ঘটেছে বলে আমরা বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যম পত্রিকায় দেখেছি। এসব ঘটনা শাসকগোষ্ঠীর চক্রান্ত সাজানো নাটক ছাড়া কিছু নয়। পাহাড়ে অতীতের ঘটনা বলে দেয় শাসকগোষ্ঠীর মদদ ছাড়া শহর অঞ্চলে দিন দুপুরে সশস্ত্র মহড়া বা হামলা কোনভাবেই সম্ভব নয়।

তারা আরো বলেন, রুমা থানচি ঘটনার পরবর্তীতে আমরা লক্ষ্য করছি, সেখানে রাষ্ট্রীয় বিভিন্ন বাহিনীর যৌথ অভিযানে পর্যন্ত বম জনগোষ্ঠীর শিক্ষার্থী, চাকরিজীবীসহ ৬০ জন গ্রামবাসীকে (নারী-পুরুষ) গ্রেফতার করা হয়েছে। এর মধ্যে অন্তত দুজন অন্তঃসত্তা নারীও রয়েছেন বলে জানা গেছে। এছাড়া তিন উপজেলায় চালসহ নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র পরিবহনের ওপর সেখানকার নিরাপত্তা বাহিনী নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। আমরা অনতিবিলম্বে রাষ্ট্রীয় বাহিনীর যৌথ অভিযানের নামে বম জাতিসত্তার নিরীহ জনগণের ওপর নিপীড়ন গ্রেফতার বন্ধ এবং আটককৃতদের নিঃশর্তে মুক্তি প্রদানের আহ্বান জানাচ্ছি।

বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ, পার্বত্য চট্টগ্রামের জাতিসত্তা ধ্বংসের রাষ্ট্রীয় নীলনকশা রাষ্ট্রীয় বাহিনীর ক্যাম্প সম্প্রসারণ বন্ধ করে পাহাড়ে রাজনৈতিক দল সমূহের সাথে শান্তিপূর্ণ আলাপ আলোচনার মাধ্যমে পার্বত্য চট্টগ্রামের সমস্যা স্থায়ী সমাধানের উদ্যোগ গ্রহণের জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।


সিএইচটি নিউজে প্রকাশিত প্রচারিত কোন সংবাদ, তথ্য, ছবি ,ভিডিও, কনটেন্ট ব্যবহার করতে হলে কপিরাইট আইন অনুসরণ করে ব্যবহার করুন।







0/Post a Comment/Comments