বান্দরবান প্রতিনিধি, সিএইচটি নিউজ
রবিবার, ৮ জুন ২০২৫
বান্দরবানের থানচিতে চিংমা খেয়াং এর ধর্ষণ ও হত্যার বিচারবিভাগীয়
তদন্ত ও দ্রুত বিচার নিশ্চিতের দাবিতে বিবৃতি দিয়েছেন ৪৭৫ জন সচেতন নাগরিক।
আজ রবিবার (৮ জুন ২০২৫) সংবাদ মাধ্যমে এই বিবৃতি দেওয়া হয়।
বিবৃতিতে বলা হয়, গত ৫ মে
২০২৫, বান্দরবান পার্বত্য জেলার থানচি উপজেলার ২নং তিন্দু ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের মংখয়
পাড়ায় চিংমা খেয়াং-এর ধর্ষণ ও হত্যার ঘটনার এক মাস পূর্ণ হলো। এ ঘটনার প্রতিবাদে এবং
ধর্ষণ ও হত্যায় জড়িতদের অবিলম্বে গ্রেফতারপূর্বক সর্বোচ্চ শাস্তির দাবিতে তিন পার্বত্য
জেলাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। গত ৬ মে নারী ও শিশু নির্যাতন
দমন আইন, ২০০৯ এ থানচি থানায় মামলা করা হলেও বান্দরবান জেলা প্রশাসন ও বান্দরবান জেলা
পুলিশের পক্ষ থেকে এখনও পর্যন্ত কোনো কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়নি। শুধু তাই নয়,
বান্দরবান সদর হাসপাতাল থেকে পোস্টমর্টেম রিপোর্টও প্রকাশ করা হয়নি। চাঞ্চল্যকর এ ঘটনার
তদন্ত ও বিচারকার্যে ধীরগতি এবং প্রশাসনের উদ্দেশ্যপ্রণোদিত নির্লিপ্ততাকে আমরা তীব্র
নিন্দা জানাই।
বিবৃতিতে তিন দফা দাবি জানানো হয়েছে। দাবিগুলো হলো-
১. চিংমা খেয়াং এর ধর্ষণ ও হত্যার বিচারবিভাগীয় তদন্ত ও দ্রুত বিচার নিশ্চিত
করতে হবে।
২. অবিলম্বে পোস্টমর্টেম রিপোর্ট প্রকাশ করতে হবে। রিপোর্ট গোপন রেখে তদন্ত
ও বিচারপ্রক্রিয়া বিলম্ব করা চলবে না।
৩. পার্বত্য চট্টগ্রামে নারী নিপীড়নের ঘটনার বিচার নিশ্চিতকরণে পৃথক আইন
ও ট্রাইব্যুনাল গঠন করতে হবে।
বিবৃতিতে স্বাক্ষরকারী ও সংহতি প্রদানকারীদের মধ্যে শিক্ষার্থী, শিক্ষক,
গবেষক, কারখানার শ্রমিক, সাংবাদিক, আইনজীবী, অধিকারকর্মী, উন্নয়নকর্মী, পরিবেশকর্মী,
ছাত্রনেতা, নারী অধিকার কর্মী, সংস্কৃতিকর্মী, কবি, লেখক, প্রকাশ, ফ্রিলান্সার, আলোকচিত্রী,
ডাক্তার, রাজনৈতিক কর্মীসহ বিভিন্ন পেশার ৪৭৫ জন নাগরিক রয়েছেন।
বিবৃতিটি যৌথ স্বাক্ষরে প্রেস বিজ্ঞপ্তি আকারে সংবাদ মাধ্যমে পাঠিয়েছেন যথাক্রমে জনি খেয়াং, সাবেক সভাপতি, বাংলাদেশ খেয়াং স্টুডেন্টস ইউনিয়ন; হিরো খেয়াং, সভাপতি, বাংলাদেশ খেয়াং স্টুডেন্টস ইউনিয়ন ও সাহ্লাউ খেয়াং, সাধারণ সম্পাদক, বাংলাদেশ খেয়াং স্টুডেন্টস ইউনিয়ন।
*পুরো বিবৃতিটি দেখতে ক্লিক করুন এখানে
সিএইচটি নিউজে প্রকাশিত প্রচারিত কোন সংবাদ, তথ্য, ছবি ,ভিডিও, কনটেন্ট ব্যবহার করতে হলে কপিরাইট আইন অনুসরণ করে ব্যবহার করুন।