""

সাজেকে সন্তু গ্রুপ কর্তৃক অপহৃত ৬ গ্রামবাসীকে উদ্ধারের দাবি তিন সংগঠনের


রাঙামাটি প্রতিনিধি, সিএইচটি নিউজ

সোমবার, ২৮ জুলাই ২০২৫

রাঙামাটির বাঘাইছড়ি উপজেলার সাজেকের মিজোরাম সীমান্তবর্তী দুর্গম রাঙ্গাপানিছড়া গ্রাম থেকে জেএসএস সন্তু গ্রুপ কর্তৃক অপহৃত ৬ গ্রামবাসীকে অপহরণের প্রায় এক মাস পরও উদ্ধারে কোন তৎপরতা না চালানোর জন্য সরকারের কড়া সমালোচনা করেছে পাহাড়ের তিন গণতান্ত্রিক সংগঠন।

আজ সোমবার (২৮ জুলাই ২০২৫) গণতান্ত্রিক যুব ফোরামের সভাপতি জিকো ত্রিপুরা, হিল উইমেন্স ফেডারেশেনের সভাপতি নীতি চাকমা ও পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের সভাপতি অমল ত্রিপুরা এক যুক্ত বিবৃতিতে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, অপহৃতদের উদ্ধারে সরকারের নির্লিপ্ততা মোটেই গ্রহণযোগ্য নয়।

তারা অবিলম্বে অপহৃতদের মুক্তি দিতে জনসংহতি সমিতির সভাপতি ও আঞ্চলিক পরিষদের চেয়ারম্যান সন্তু লারমার ওপর চাপ প্রয়োগ করতে সরকারের কাছে দাবি জানান।

নেতৃবৃন্দ জানান, ‘গত ১ জুলাই জনসংহতি সমিতির সশস্ত্র সদস্যরা সাজেকের উদয়পুর গ্রামে ডেকে নিয়ে রাঙ্গাপানিছড়া গ্রামের ৬ ব্যক্তিকে অপহরণ করে। অপহৃতরা হলেন ধনমুনি চাকমা (১৯) পিতার নাম মঞ্জুগুলো চাকমা, সুকেশ চাকমা (২২) পিতা অজ্ঞাত, লক্ষ্মী চাকমা (৩৫) পিতার নাম বোবা চাকমা, ভাঙ্গাহাদা চাকমা (৩৫) পিতা অজ্ঞাত, শণ বিকাশ চাকমা (৩৬) পিতা পুনংচান চাকমা ও হুল্যা চাকমা (২২) পিতা আদ্যা চাকমা।

‘অপহরণে নেতৃত্ব দেয় জেএসএস সন্তু গ্রুপের কমান্ডার বিক্রম চাকমা। তিনি তাদের মুক্তির জন্য ৬ লক্ষ টাকা দাবি করেন। কিন্তু অপহৃতরা গরীব জুমচাষী হওয়ায় তাদের পক্ষে উক্ত মুক্তিপণের অর্থ জোগাড় করা সম্ভব নয়।’

অপহৃতদের পরিবারগুলো সন্তু গ্রুপের হুমকিতে থানায় মামলা করতে ভয় পাচ্ছেন বলে তারা জানান এবং তাদের নিরাপত্তা বিধানের জন্য প্রশাসনের কাছে আহ্বান জানান।

অপহৃতদের বিষয়ে সর্বশেষ তথ্য দিয়ে তিন সংগঠনের নেতারা বলেন, ‘গত ১১ জুলাই সাজেকের তিন গ্রামের ছয় জন মুরুব্বী লংকর দোর এলাকায় জেএসএসের টাইগার কোম্পানির কমান্ডার সাইমন ও বিক্রম চাকমার সাথে দেখা করে অপহৃতদের মুক্তি দেয়ার আহ্বান জানান।

’কিন্তু দুই সশস্ত্র নেতা তাদেরকে জানিয়ে দেন যে, কেবল তিন গ্রামের মুরুব্বীতে কাজ হবে না, ৫-৬ গ্রামের মুরুব্বীকে তাদের সাথে দেখা করতে হবে। “তোমরা যাও, আমরা ফোন করলে তবে আসবে” বলে তারা মুরুব্বীদের পাঠিয়ে দেয়।

‘যে ছয় জন মুরুব্বী অপহরণকারী জেএসএস কমান্ডারদের সাথে দেখা করতে গিয়েছিলেন তাদের মধ্যে পাঁচ জনের নাম জানা গেছে। তারা হলেন দুলুছড়ি গ্রামের কার্বারী জারকাদা চাকমা (৫০), একই গ্রামের যুব সভাপতি থবারাম চাকমা (৩০), রাঙ্গাপানিছড়া গ্রামের কার্বারী সুবল্যা চাকমা (৫৫), একই গ্রামের যুব সভাপতি সুখ্যা চাকমা (৪০), বাঘেইমোর গ্রামের কার্বারী সাধন বিকাশ চাকমা (৪৫) ও একই গ্রামের যুব সভাপতি। তার নাম জানা যায়নি।’



সিএইচটি নিউজে প্রকাশিত প্রচারিত কোন সংবাদ, তথ্য, ছবি ,ভিডিও, কনটেন্ট ব্যবহার করতে হলে কপিরাইট আইন অনুসরণ করে ব্যবহার করুন।







0/Post a Comment/Comments