
খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি, সিএইচটি নিউজ
শনিবার, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫
খাগড়াছড়ি পৌরসভার সিঙ্গিনালায় ৮ম শ্রেণির মারমা কিশোরী ধর্ষণকারীদের দ্রুত
গ্রেফতার ও শাস্তির দাবিতে শনিবার (২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫) খাগড়াছড়ি জেলায় জুম্ম ছাত্র
জনতার ডাকা সকাল-সন্ধ্যা অবরোধ পালনকালে খাগড়াছড়ি সদরের টেকনিক্যাল-উপজেলা
পরিষদ এলাকায় ও মহাজন পাড়ায় সেটলার বাঙালিরা হামলা, ভাঙচুর এবং সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা
বাঁধানোর চেষ্টা চালায়। এতে তিন গুরুতর জখমসহ আরো অনেকে আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
এছাড়া সেটলাররা পানখাইয়া পাড়ার য়ংড বৌদ্ধ বিহারেও হামলার চেষ্টা চালিয়েছে। স্থানীয়দের
প্রতিরোধের কারণে বিহারের ভেতর হামলা করতে না পেরে তারা বিহারের সামনে জড়ো হওয়া পাহাড়িদের
ওপর হামলা চালালে সেখানে আরো তিনজন গুরুতর জখম হয় বলে জানা গেছে।
![]() |
খাগড়াছড়ি উপজেলা পরিষদ এলাকা ও পানখাইয়া পাড়ায় সেটলারদের হামলায় আহতদের কয়েকজন। |
উল্লেখ্য, জুম্ম ছাত্র জনতা গতকাল (২৬ সেপ্টেম্বর) চেঙ্গী স্কয়ারে আয়োজিত মহাসমাবেশ করে আজকের সকাল-সন্ধ্যা সড়ক অবরোধ কর্মসূচি ঘোষণা করেছিল।
উক্ত ঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী সকাল ৬টা থেকে খাগড়াছড়ি সদর এলাকায় চেঙ্গী
স্কয়ার, ফায়ার সার্ভিস, মহিলা কলেজ, উপজেলা পরিষদ এলাকায় পিকেটাররা টায়ার জ্বালিয়ে,
গাছের গুড়ি ফেলে শান্তিপূর্ণভাবে অবরোধ পালন করছিল।
হামলার সূত্রপাত
দুপুর ১:০০টার দিকে খাগড়াছড়ি টেকনিক্যাল স্কুল এন্ড কলেজ এলাকায় সড়কে ছাত্র-জনতা
পিকেটিং করার সময় কতিপয় সেটলার যুবক এসে উস্কানি দেয়ার চেষ্টা করে। এতে অবরোধ পালনকারী
ছাত্র-জনতার সাথে সংঘটিত তুচ্ছ ঘটনার জেরে পরবর্তীতে সেটলাররা সংঘবদ্ধ হয়ে এসে অবরোধকারীদের
ওপর হামলার চেষ্টা করলে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। পরে উভয়ের মধ্যে সংঘর্ষ ও ধাওয়া-পাল্টা
ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এতে জুম্ম ছাত্র জনতা প্রতিরোধ করলে সেটলাররা সেনাবাহিনীর ব্যবহৃত
গুলির সিসা সহ ধারালো অস্ত্র দিয়ে অবরোধকারী জুম্ম ছাত্র জনতার উপর হামলা চালায়। এতে
অন্তত তিন জন গুরুতর আহত হন। আহতদের মধ্যে পিকআপ চালক বার্জিস চাকমার অবস্থা আশঙ্কাজনক
বলে জানা গেছে। সেটলাররা তাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে মাথায় ও শরীরের বিভিন্ন জায়গায় আঘাত
করে মারাত্মক জখম করে। আহত অবস্থায় উদ্ধার করে তাকে জিরোমাইলে পার্কসাইড হাসপাতাল এন্ড
ডায়াগনস্টিক সেন্টারে ভর্তি করা হয়। তাকে চট্টগ্রামে নেওয়া হবে বলে জানা গেছে।
আহত অপর দু’জন হলেন- বাকুলু মারমা, পিতা- থৈইরি মারমা, গ্রাম- সিঙ্গিনালা
মারমা পাড়া, খাগড়াছড়ি সদর ও কালাইয়া মারমা, পিতা- থুইহ্লা প্রু মারমা, গ্রাম- সিঙ্গিনালা
মারমা পাড়া, খাগড়াছড়ি সদর।
হামলার খবর পেয়ে বিভিন্ন এলাকা থেকে লোকজন ছুটে আসতে থাকেন। পরিস্থিতি আরো
বেশি উত্তপ্ত হলেই পরে সেনাবাহিনী ও পুলিশ সেখানে এসে উপস্থিত হয়।
১৪৪ ধারা জারি
হামলার দীর্ঘক্ষণ পর বেলা ২টা থেকে প্রশাসন ১৪৪ ধারা জারি করে।
খাগড়াছড়ি জেলা ম্যাজিস্ট্রেট এ বি এম ইফতেখারুল ইসলাম খন্দকারের সই করা
আদেশে বলা হয়, যেহেতু খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলার খাগড়াছড়ি পৌরসভা ও সদর উপজেলায় আইনশৃঙ্খলা
পরিস্থিতির চরম অবনতি এবং জনগণের জান ও মালের ক্ষতিসাধনের আশঙ্কা রয়েছে, তাই বেলা দুইটা
থেকে আগামী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত ১৪৪ ধারা আদেশ জারি থাকবে।
মহাজন পাড়ায় হামলা
প্রশাসনের ১৪৪ ধারা জারির মধ্যে বিকাল সাড়ে ৩টা-৪টার দিকে সেটলার বাঙালিরা শহরের মহাজন পাড়ায় হামলা চালায় এবং ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও মহাজন পাড়া প্রবেশের নীচের গেট ভাঙচুর করে বলে জানা যায়।
সেখানে দীর্ঘক্ষণ ধরে উভয় পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা চলতে থাকে। পরে আনুমানিক
২ ঘন্টা পর সেনাবাহিনীর একটি দল সেখানে গিয়ে উপস্থিত হলেও হামলাকারী সেটলারদের নিবৃত্ত
না করে নীরব ভূমিকা পালন করে। পরে তারা এগিয়ে এসে পাহাড়িদের রাস্তা থেকে সরিয়ে দেয়ার
চেষ্টা করে। এমতাবস্থায় পাহাড়িরা প্রতিবাদ জানালে পরে এক পর্যায়ে সেনাবাহিনী সেটলারদের
দিকে গিয়ে কয়েক রাউন্ড ফাঁকা গুলি বর্ষণ করে ছত্রভঙ্গ করে দেয়ার চেষ্টা চালায় এবং পাহাড়িদের
ঘরের ভিতর ঢুকতে নির্দেশ প্রদান করে। পরে সেটলাররা সরে গেলে পরিস্থিতি শান্ত হয়।
য়ংড বৌদ্ধ বিহার এলাকায় হামলা
এদিকে, ১৪৪ ধারা জারি থাকার পরও সন্ধ্যার সময় সেটলাররা পানখাইয়া পাড়া এলাকায়
গিয়ে য়ংড বৌদ্ধ বিহারে হামলার চেষ্টা করে। তবে এলাকার জনগণের প্রতিরোধের মুখে বিহারে
হামলা করতে না পেরে তারা বিহারের সামনে জড়ো হয়ে থাকা লোকজনের ওপর হামলা চালায়। এতে
পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। এক পর্যায়ে সেনাবাহিনী ফাঁকা গুলি বর্ষণ ও পুলিশ সাউন্ড
গ্রেনেড নিক্ষেপ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করে।
এ হামলায় অন্তত তিনজন গুরুতর জখম হন। এরা হলেন- কুমিয়া ত্রিপুরা (২৫), মংসাঅং
মারমা (২২) ও মংহ্লা মারমা। সেটলারা কুমিয়া ত্রিপুরা ও মংসাঅং মারমাকে ধারালো অস্ত্র
দিয়ে কুপিয়ে মারাত্মক জখম করে। আর মংহ্লা মারমা আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর ছোঁড়া সাউন্ড গ্রেনেডে
আহত হয়েছেন বলে স্থানীয়রা অভিযোগ করেছেন।
সেটলাররা বৌদ্ধ বিহারের আশে-পাশে পাহাড়িদের দোকানপাটেও হামলা-ভাঙচুর চালায়।
![]() |
পানখাইয়া পাড়া য়ংড বৌদ্ধ বিহারে এলাাকায় ভাঙচুর হওয়া একটি দোকান। |
এদিকে, ইউপিডিএফ উক্ত হামলা, ভাঙচুর ও সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা বাঁধানোর ষড়যন্ত্রের
ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে সংবাদ মাধ্যমে বিবৃতি
দিয়েছে।
বিবৃতিতে ইউপিডিএফ মুখপাত্র অংগ্য
মারমা সেনা-প্রশাসনের ভূমিকায় সংশয় ও অসন্তোষ প্রকাশ করে বলেন, শক্তিশালী রাষ্ট্রীয়
সংস্থার ইন্ধন না পেলে উপজেলা সদর খেজুড়বাগানে মটর সাইকেল নিয়ে উগ্র সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠীর
উস্কানিমূলকভাবে রাস্তায় নামা, পথচারী ও পাহাড়ি শিক্ষার্থীদের তল্লাশি ও হেনস্তা করে
গায়ে পড়ে বিবাদে লিপ্ত হওয়া এবং সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা বাঁধাতে পারার কথা নয়।
বিবৃতিতে তিনি আরও অভিযোগ করে বলেন,
পূর্বপ্রস্তুতি নিয়ে রাস্তায় নামা সেটলারদের উস্কানিমূলক কর্মকাণ্ডের প্রতিবাদ জানালে
তারা পাহাড়ি শিক্ষার্থীদের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে এবং গত বছরের মত এবারও ধ্বংসযজ্ঞ চালাতে
পাহাড়ি অধ্যুষিত পাড়ার দিকে অগ্রসর হয়।
তিনি বলেন, প্রতিরোধের মুখে সেটলাররা
পরে সেখান থেকে সরে মহাজন পাড়ায় যায় এবং ১৪৪ ধারা বলবৎ থাকার মধ্যেই বোম্বে সুইটস ও
র্যাঙ্কস শো রুমসহ পাহাড়িদের দোকানপাট ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা চালায়।
শিশু ধর্ষণ, শ্লীলতাহানি সহ যে কোন
ধরনের যৌন হয়রানি সভ্য সমাজে অপরাধ হিসেবে পরিগণিত হলেও পার্বত্য চট্টগ্রামে সেনা-প্রশাসনের
এ ক্ষেত্রে নির্লিপ্ত ভূমিকায় ইউপিডিএফ মুখপাত্র ক্ষোভ প্রকাশ করেন এবং অবিলম্বে আন্দোলনকারীদের
দাবি মেনে নেয়ার আহ্বান জানান।
তিনি ইউনূস সরকারের প্রতি সতর্ক বাণী
উচ্চারণ করে বলেন, বারে বারে কিশোরীদের দলবদ্ধ ধর্ষণ ঘটনার পরও প্রশাসনের পক্ষ থেকে
যথোপযুক্ত ব্যবস্থা না নেওয়ার কারণে বিক্ষুব্ধ জনতা ভবিষ্যতে বড় ধরনের কর্মসূচী হাতে
নিলে তার ফলে সৃষ্ট দায়-দায়িত্ব অবশ্যই সরকার-প্রশাসনকে নিতে হবে।
বিজিবি মোতায়েন
খাগড়াছড়িতে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি
স্বাভাবিক রাখতে ৭ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে। শনিবার বিজিবি সদর দপ্তর থেকে
জনসংযোগ কর্মকর্তার শরীফুল ইসলাম গণমাধ্যমকে এই তথ্য জানিয়েছেন।
বিভিন্ন স্থানে শান্তিপূর্ণ অবরোধ
কর্মসূচি পালন
খাগড়াছড়ি সদরে হামলার ঘটনা ঘটলেও জেলার বিভিন্ন উপজেলায় কোন প্রকার ঘটনা ছাড়াই শান্তিপূর্ণভাবে অবরোধ কর্মসূচি পালিত হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে। তবে গুইমারা উপজলা প্রশাসন সেখানে পরিস্থিতি অবনতি হওয়ার আশঙ্কায় ১৪৪ ধারা জারি করেছে বলে জানা গেছে।
সকাল থেকে খাগড়াছড়ি জেলা সদরসহ খাগড়াছড়ি-ঢাকা,
খাগড়াছড়ি-চট্টগ্রাম, খাগড়াছড়ি-রাঙামাটি, খাগড়াছড়ি- দীঘিনালা ও খাগড়াছড়ি পানছড়ি সড়কের
বিভিন্ন স্থানে অবরোধ সফল করতে সড়কে টায়ার জ্বালিয়ে, গাছের গুড়ি ও গাছ ফেলে অবরোধ কর্মসূচি
পালন শুরু করে জুম্ম ছাত্র জনতা। স্বতঃস্ফুর্ত ও সর্বাত্মক এ অবরোধের ফলে দূরপাল্লার
ও আভ্যন্তরীণ সড়কে সকল প্রকার যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
![]() |
রামগড়ে শিক্ষার্থী জনতা স্বতঃস্ফুর্তভাবে অববেরাধ পালন করেন। |
এর মধ্যে রামগড় উপজেলায় যৌথ খামার এলাকায় খাগড়াছড়ি-ঢাকা আঞ্চলিক মহাসড়কে এলাকার শত শত শিক্ষার্থী জনতা সড়কে নেমে অবরোধ পালন করে। প্রথম দিকে বিজিবি বাধা দেয়ার চেষ্টা করলেও দিনভর শান্তিপূর্ণভাবে অবরোধ সম্পন্ন হয়।
গুইমারায় খাগড়াছড়ি টু ঢাকা-চট্টগ্রাম
সড়কের জোড়া ব্রীজ এলাকায় এবং বুদুং পাড়ায় অবরোধ পালন করা হয়। সেখানে টায়ার জ্বালিয়ে
ও নানা শ্লোগানে জুম্ম ছাত্র জনতা দিনভর পিকেটিং করে শান্তিপূর্ণভাবে অবরোধ শেষ করে।
![]() |
গুইমারায় বুদুং পাড়া এলাকায় ছাত্র-জনতার অবরোধ পালন। |
খাগড়াছড়ি-রাঙামাটি সড়কের গুগড়াছড়ি,
মাইসছড়ি ও ২৪ মাইল এলাকায় টায়ার জ্বালিয়ে ও গাছের গুড়ি ফেলে ছাত্র জনতা অবরোধ পালন
করেন। গুগড়াছড়ি এলাকায় স্থানীয় জনতা স্বতঃস্ফুর্তভাবে সড়কে অবস্থান নিয়ে অবরোধ সফল
করেন।
![]() |
গুগড়াছড়িতে স্থানীয় এলাকার জনগণের স্বতঃস্ফুর্ত অবরোধ কর্মসূচি পালন। |
খাগড়াছড়ি-পানছড়ি সড়কে কয়েকটি স্থানে সড়কে টায়ার জ্বালিয়ে অবরোধ পালন করে স্থানীয় ছাত্র-জনতা।
![]() |
খাগড়াছড়ি-পানছিড়ি সড়কের ছোটনালায় সড়কে টায়ার জ্বালানো হয়। |
খাগড়াছড়ি শহরের মধ্যে সকালে চেঙ্গী
স্কোয়ার এলাকায় টায়ার জ্বালিয়ে অবরোধ কার্যক্রম শুরু করা হয়। এরপর ফায়ার সার্ভিস এলাকা,
সরকারি মহিলা কলেজ এলাকায় সড়কে টায়ার জ্বালিয়ে অবরোধ কর্মসূচি পালন করে ছাত্র জনতা।
আর উপজেলা পরিষদ এলাকায় অবরোধ পালনকালে দুপুরে সেটলাররা হামলা চালালে শহরজুড়ে উত্তেজনাকর পরিস্থিতির
সৃষ্টি হয়।
উল্লেখ্য, গত ২৩ সেপ্টেম্বর রাতে খাগড়াছড়ি সদরের পৌরসভা ১নং ওয়ার্ডের সিঙ্গিনালায় ৮ম শ্রেণিতে পড়ুয়া এক মারমা শিক্ষার্থী তিনজন বাঙালি যুবক কর্তৃক সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয় বলে অভিযোগ ওঠে। এ ঘটনায় শয়ন শীল নামে একজনকে গ্রেফতার করা হলেও বাকী দুই জন এখনো পলাতক রয়েছে।
এই ধর্ষণের ঘটনার প্রতিবাদে জুম্ম ছাত্র জনতা ২৪ সেপ্টেম্বর খাগড়াছড়ি শহরে বিক্ষোভ প্রদর্শন করে এবং পরদিন খাগড়াছড়ি জেলায় আধাবেলা সড়ক অবরোধ কর্মসূচি পালন করে। এরপর ২৬ সেপ্টেম্বর খাগড়াছড়িতে তারা ধর্ষণ ও নিপীড়নের বিরুদ্ধে মহাসমাবেশ আয়োজন করে এবং সেখান থেকে আজকের সকাল-সন্ধ্যা সড়ক অবরোধ কর্মসূচির ঘোষণা দেয়।
সিএইচটি নিউজে প্রকাশিত প্রচারিত কোন সংবাদ, তথ্য, ছবি ,ভিডিও, কনটেন্ট ব্যবহার করতে হলে কপিরাইট আইন অনুসরণ করে ব্যবহার করুন।