""

খাগড়াছড়িতে হিল উইমেন্স ফেডারেশনের ৮ কর্মী সমর্থককে আদালতে নেওয়া হয়েছে

খাগড়াছড়ি: গতকাল বুধবার খাগড়াছড়ি সদরের স্বনির্ভরে শান্তিপূর্ণ মিছিলে বিজিবি-পুলিশের হামলায় আটক হওয়া হিল উইমেন্স ফেডারেশনের ৮ কর্মী সমর্থকে খাগড়াছড়ি সদর থানা থেকে আজ বৃহস্পতিবার (৮ জুন) দুপুর ১২টার দিকে খাগড়াছড়ি জেলা আদালতে নেওয়া হয়েছে। পুলিশ তাদের বিরুদ্ধে বেশ কয়েকটি ধারা যুক্ত করে মামলা দায়ের করেছে।

আটককৃতদের মধ্যে রয়েছেন ১.বিশাখা চাকমা, পিতা- পূর্ণময় চাকমা, গ্রাম: রাঙ্গাপানি ছড়া, খাগড়াছড়ি ২. জনতা চাকমা, স্বামী: বুদ্ধ জ্যোতি চাকমা গ্রাম: জুরোপানি ছড়া ৩. মেকিরা চাকমা স্বামী: সোনা ময় চাকমা গ্রাম: জুরোপানি ছড়া ৪. পিপি চাকমা, পিতা: কিরন বিকাশ চাকমা, গ্রাম: দাবাপাদা মোরোং ৫. সোনালী চাকমা, স্বামী: সুমন্ত চাকমা, গ্রাম: জুরো পানি ছড়া ৬. রুপা চাকমা স্বামী: ত্রিবন চাকমা গ্রাম: পেরাছড়া, ১ নং প্রকল্প অনিল হেডম্যান পাড়া ৭. এন্টি চাকমা, পিতা- জ্ঞান বিকাশ চাকমা, গ্রাম: পানছড়ি লোগাং, রাজেন্দ্র মাষ্টার পাড়া ও ৮. সোনাবী চাকমা, পিতা- কালো বরন চাকমা, গ্রাম: তবলছড়ি পর্ব কেয়াংঘাট, মহালছড়ি।

এর মধ্যে এন্টি চাকমা ও সোনালী চাকমাকে বেপরোয়া মারধর করা হয়েছে বলে জানা গেছে। তারা স্বাভাবিকভাবে হাঁটতে পারছেন না।


উল্লেখ্য, নারী নেত্রী কল্পনা চাকমা'র অপহরণকারীদের গ্রেপ্তার ও শাস্তির দাবিতে গতকাল বুধবার সকালে স্বনির্ভরে হিল উইমেন্স ফেডারেশন-এর শান্তিপূর্ণ মিছিল-সমাবেশে বিজিবি-পুলিশ হামলা চালায়। এ সময় বিজিবি-পুলিশের সদস্যরা স্বনির্ভর বাজার সহ আশে-পাশের গ্রামে ঢুকে গণধরপাকড় চালায়। এতে মোট ২১ জনকে গ্রেপ্তার করে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। পরে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের মাধ্যমে সন্ধ্যায় ১৩ জনকে ছেড়ে দেওয়া হলেও বাকী ৮ জনকে থানায় আটকে রাখার পর আজ দুপুরে আদালতে নেওয়া হয়।




0/Post a Comment/Comments