কর্মসূচির মধ্যে ছিল অস্থায়ী শহীদ বেদীতে
পুস্পস্তবক অর্পণ, দলীয় পতাকা উত্তোলন,আলোচনা সভা, চা-চক্র জনসমাগম স্থানে ব্যানার,
ফেষ্টুন টাঙানো ইত্যাদি।
“জাতীয় অস্তিত্ব রক্ষার্থে ইউপিডিএফ-ই
একমাত্র অবলম্বন” এই শ্লোগানে আজ ২৬ ডিসেম্বর সকাল ৯টার সময় দলীয় সংগীতের মাধ্যমে দলীয়
পতাকা উত্তোলন করার পরে অস্থায়ী শহীদ স্তম্ভে ইউপিডিএফ, গণতান্ত্রিক যুব ফোরাম, পাহাড়ি
ছাত্র পরিষদ, হিল উইমেন্স ফেডারেশন, শহীদ পরিবার ও এলাকাবাসী পুষ্পস্তবক অর্পন করেন
এবং শহীদদের সম্মানে এক মিনিট নিরবতা পালন করা হয়।
এ সময় ইউপিডিএফ ও ইউপিডিএফভূক্ত গণসংগঠনের
নেতা-কর্মীরা শত দমন-পীড়ন সত্ত্বেও অধিকার হারা জনগণের মুক্তির লড়াই সংগ্রামে অবিচল
থাকার শপথ গ্রহণ করেন।
এরপর অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় ইউপিডিএফের
দীঘিনালা উপজেলা ইউনিটের সংগঠক সুজয় চাকমার সভাপতিত্বে ও ইয়ান চাকমার সঞ্চালনায় বক্তব্য
রাখেন ইউপিডিএফ সংগঠক লংঙ্কা চাকমা, গণতান্ত্রিক যুব ফোরামের উপজেলা সভাপতি রিটেন চাকমা,
পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের সভাপতি মিঠুন চাকমা। সভায় ইউপিডিএফের কেন্দ্রীয় বার্তা পাঠ করেন
ইউপিডিএফের সংগঠক অম্লান চাকমা ৷
অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় পর্বে বেলা ২টার সময়
এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তিদের নিয়ে চা-চক্র ও আলোচনাসভার আয়োজন করা হয়। উক্ত আলোচনা
সভা বক্তব্য রাখেন ইউপিডিএফ'এর দীঘিনালা ইউনিটের সংগঠক সুজয় চাকমা, অম্লান চাকমা ও
বকুল চাকমা।
এদিকে ইউপিডিএফের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে
গতকাল বিভিন্ন স্থানে টাঙানো ফেস্টুনগুলো রাতে দীঘিনালা জোনের সেনারা তুলে নিয়ে যায়
বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
টাঙানো ফেস্টুনগুলোতে লেখা ছিল ‘ইউপিডিএফ'এর
নির্দেশিত পথে চলুন’ ‘জনতার জয় অনিবার্য’ ‘পূর্ণস্বায়ত্তশাসনই পার্বত্য চট্টগ্রামের
একমাত্র সমাধান’।
-----