মাটিরাঙ্গা, সিএইচটিনিউজ, ১৫ মে ২০২০ ।। খাগড়াছড়ির মাটিরাঙ্গা উপজেলার অভ্যা মৌজায় গ্রামবাসীদের উদ্যোগে একটি বৌদ্ধ বিহার নির্মাণকালে বিজিবি সদস্যদের বাধা এবং ভয়ভীতি দেখিয়ে নির্মাণ কাজ বন্ধ করে দেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
জানা যায়, কয়েকমাস আগে স্থানীয় এক গ্রামবাসী
বৌদ্ধধর্ম চর্চা ও স্বধর্ম রক্ষার্থে বিহার নির্মাণের জন্য নিজের ভোগদখলীয় জায়গার কিছু
অংশ দান করেন। তারপর থেকে দানকৃত জায়গায় উপর গ্রামবাসীরা একটি বৌদ্ধ বিহার নির্মাণের
উদ্যোগ গ্রহণ করেন। বৌদ্ধ বিহার নির্মাণের লক্ষ্যে গ্রামবাসীরা সম্মিলিতভাবে গত কয়েকদিন
ধরে জায়গা পরিষ্কার করে উঁচু নিচু পাহাড় ভরাট করেন।
গ্রামবাসীরা বৌদ্ধ বিহারের জায়গা পরিস্কার
করার মুহুর্তে গত ১২ মে ২০২০ রামগড় লাচারিপাড়া ক্যাম্প থেকে বিজিবি সদস্যরা সেখানে
উপস্থিত হয়ে বৌদ্ধ বিহার নির্মাণের বিষয়ে জানতে চাইলে গ্রামবাসীরা তাদেরকে বিস্তারিত
জানান।
গ্রামবাসীদের প্রত্যুত্তরের জবাবে বিজিবি
সদস্যরা নানা অজুহাত দেখাতে থাকেন। এক পর্যায়ে বিজিবি সদস্যরা অনুমতি আছে কিনা জিজ্ঞাসা
করেন। এখানে কার অনুমতি নিয়ে বৌদ্ধ বিহার নির্মাণ করছেন, বিহার নির্মাণের জন্য আমাদের
থেকে অনুমতি নেননি--ইত্যাদি কথাবার্তা বলতে থাকেন।
আজ শুক্রবার (১৫ মে ২০২০) গ্রামবাসীরা
মৌজার হেডম্যান থেকে অনুমতি নিয়ে আবারো বৌদ্ধ বিহার নির্মাণের জন্য কাজ করতে গেলে বিজিবি
সদস্যরা অতর্কিতভাবে সেখানে উপস্থিত হয়ে বিহার নির্মাণে বাধা দেয়। এতে গ্রামবাসীরা কেন এভাবে বন্দুক তাক করে বাধা দিতে এসেছেন প্রশ্ন করলে উল্টো গ্রামবাসীদের উপর ক্ষেপে
যায় বিজিবি সদস্যরা। এরপর বিভিন্ন হুমকি-ধমকি দিয়ে বিজিবি সদস্যরা উক্ত স্থান ত্যাগ
করে চলে যায়।
এদিকে গ্রামবাসীরা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন,
একটি স্বাধীন দেশে ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান নির্মাণে বিজিবি সদস্যরা বাধা প্রদান করছে কেন?
আমাদের স্বাধীনভাবে ধর্ম চর্চারও কী অধিকার নেই?
গ্রামবাসীররা বিহার নির্মাণে বাধাদানের
ঘটনার নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে এর যথাযথ প্রতিকার চেয়েছেন।
-----
অনলাইন নিউজ পোর্টাল ও সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমেও প্রপাগান্ডা চালাতে পিছিয়ে নেই উপজাতি সন্ত্রাসীারা। ইংরেজি ও বাংলাসহ বিভিন্ন ভাষায় সরকার ও বিজিবির বিরুদ্ধে মানবাধিকার লঙ্ঘনের মিথ্যা তথ্য ও কল্প-কাহিনী ছাড়ানো হচ্ছে। এসব নিউজ পোর্টাল বিজিবির বিরুদ্ধে উস্কানিমূলক সংবাদ পরিবেশন করে। বর্তমানে
উপজাতী সন্ত্রাসীদের ৪ সংগঠনের কাজ হচ্ছে মূলত চাদাঁবাজি, প্রতিপক্ষকে খুন করা ও বাংলাদেশ আর বাঙালির বিরুদ্ধে মিথ্যাচার করা।