খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি, সিএইচটি নিউজ
রবিবার, ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২১
খাগড়াছড়ি টেকনিক্যাল স্কুল ও কলেজে ছাত্রীকে ধর্ষণ চেষ্টাকারী শিক্ষক সোহেল রানার বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য অধ্যক্ষের বরাবরে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা।
আজ
রবিবার (২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২১) সকাল ১০টার সময় শিক্ষার্থীরা এই অভিযোগপত্র দেন। তবে
অধ্যক্ষ উপস্থিত না থাকায় তারা ভাইস প্রিন্সিপালের নিকট অভিযোগ পত্রটি পেশ করেছেন।
ঘটনাটি
২দিন অতিবাহিত হওয়ার পরও অভিযুক্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে কোন পদক্ষেপ না নেয়ায় শিক্ষার্থীরা
যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের একদিনের অর্থাৎ ১লা মার্চ ২০২১
পর্যন্ত সময় বেঁধে দেন। প্রতিষ্ঠানের প্রশাসনের পক্ষ থেকে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহন
করা হবে শিক্ষার্থীদের আশ্বস্ত করা হয়।
কিন্তু
পরে ঘটনাটি ভিন্নখাতে প্রবাহিত করার জন্যে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রশাসনের পক্ষ
থেকে আকাশি চাকমা নামের ছাত্রলীগের একজনকে ক্যাডারকে ডেকে নিয়ে এসে শিক্ষার্থীদের
হুমকি-ধমকি এবং ভয়ভীতি প্রদর্শন করা হয় বলে শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করেছেন। এ সময়
প্রশাসনের বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার লোক উপস্থিত ছিলেন বলেও তারা জানান।
অভিযোগপত্রে
শিক্ষার্থীরা বলেন, ‘শিক্ষকদের মানুষ গড়ার কারিগর বলা হয়। সেদিক থেকে এই শিক্ষা
প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকরা আমাদের শিক্ষা গুরু। কিন্তু মুখোশপরা কিছু শিক্ষক নামধারী
নরপশুদের কারণে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের তথা শিক্ষকদের কলঙ্ক লেগে যায়’।
তারা
ধর্ষণ চেষ্টার ঘটনা উল্লেখ করে বলেন, ’গত ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২১ বৃহস্পতিবার সকাল
৯টায় প্রাইভেট শেষ হওয়ার পর শিক্ষক মো. সোহেল রানা ১০ম শ্রেণীর ছাত্রীকে কথা আছে
বলে বিকাল ২টায় তার অফিসে আসতে বলেন। এতে সে দেখা করতে গেলে তাকে জোরপুর্বক
ধর্ষণের প্রচেষ্টা চালায়। এ সময় উক্ত ছাত্রীটি কোন রকম নিজেকে রক্ষা করে পালিয়ে
যায়’।
এতে
তারা আরও অভিযোগ করেন, ‘ঘটনার পর থেকে শিক্ষক সোহেল রানা ভিকটিম ছাত্রীকে ঘটনাটি
প্রকাশ না করার জন্য হুমকি-ধমকি দিয়ে বলছেন যদি প্রকাশ করে তাহলে পরীক্ষায় ফেল
করে দেবে, স্কুলে আসা বন্ধ করে দেবে। এমতাবস্থায় ভিকটিম ছাত্রী চরম
নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছে’।
লিখিত
অভিযোগ পত্রে শিক্ষার্থীরা ৩টি দাবি জানিয়েছেন। তাদের দাবিগুলো হলো-
১.
ছাত্রী ধর্ষণের প্রচেষ্টাকারী শিক্ষক মো. সোহেল রানাকে বহিষ্কার করে বিচারের আওতায়
নিয়ে আসতে হবে।
২.
শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যাতে এ ধরনের ঘটনা না ঘটে সেজন্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে।
৩.
পরীক্ষায় ফেল করে দেওয়ার নামে যাতে কোনো ছাত্র-ছাত্রী হয়রানির শিকার না হয় তা
নিশ্চিত করতে হবে।
অভিযোগপত্রটি পেশ করার পর শিক্ষক সোহেল রানার শাস্তিসহ বিভিন্ন দাবি জানিয়ে শিক্ষার্থীরা টেকনিক্যাল স্কুল ও কলেজের গেট এলাকায় হাতে লিখে পোস্টারিং করেন।