""

দীঘিনালায় মিঠুন চাকমার ৪র্থ শহীদবার্ষিকীতে স্মরণসভা

দীঘিনালা প্রতিনিধি, সিএইচটি নিউজ
সোমবার, ৩ জানুয়ারি ২০২২


“বিপ্লবীদের আত্মত্যাগের চেতনায় এগিয়ে আসুন, লড়াইয়ে যুক্ত হোন”  এই আহ্বানে খাগড়াছড়ির দীঘিনালায় ইউপিডিএফের অন্যতম সংগঠক ও পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি মিঠুন চাকমার ৪র্থ শহীদ বার্ষিকীতে স্মরণসভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

আজ ৩ জানুয়ারি ২০২২ সোমবার সকাল ৯টায় অস্থায়ী স্মৃতিস্তম্ভে ইউপিডিএফ, তিন সংগঠনের নেতৃবৃন্দ ও জনপ্রতিনিধিরা পুষ্পমাল্য অর্পণ করে শহীদ মিঠুন চাকমার প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।

এরপর মিঠুন চাকমাসহ সকল বীর শহীদদের প্রতি সম্মান রেখে দুই মিনিট নিরবতা পালনের পর স্মরণসভা অনুষ্ঠিত হয়।



পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ (পিসিপি), গণতান্ত্রিক যুব ফোরাম (ডিওয়াইএফ) ও হিল উইমেন্স ফেডারেশন (এইচডব্লিউএফ)এর উদ্যোগে আয়োজিত স্মরণসভায় দীঘিনালা উপজেলার পিসিপি নেতা অনন্ত চাকমার সঞ্চালায় ও গণতান্ত্রিক যুব ফোরামের দীঘিনালা উপজেলা সভাপতি জ্ঞান প্রসাদ চাকমা সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন, ইউপিডিএফ সংগঠক ইয়ান চাকমা, পিসিপি’র কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য নিকেল চাকমা। এতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন গণতান্ত্রিক যুব ফোরামের দীঘিনালা উপজেলা সাধারণ সম্পাদক সাধন চাকমা।

বক্তারা বলেন, পাহাড় ও সমতলের নিপীড়িত নির্যাতিত মানুষের মুক্তির জন্য লড়াই সংগ্রামে শহীদ মিঠুন চাকমার ভূমিকা অপরিসীম। তিনি সাজেকসহ বিভিন্ন স্থানে ভূমি বেদখল, নারী নির্যাতন পার্বত্য চট্টগ্রামসহ সারাদেশের ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র জাতিসত্তার নিপীড়নের বিরুদ্ধে সর্বদা সোচ্চার ছিলেন। সেজন্যই শাসকগোষ্ঠী মিঠুন চাকমাকে পরিকল্পিতভাবে তাদের মদদপুষ্ট সন্ত্রাসী লেলিয়ে দিয়ে হত্যা করে। কিন্তু নির্বোধ ঘাতকরা জানে না ব্যক্তিকে হত্যা করতে পারলেও তার আদর্শ-চেতনাকে হত্যা করা যায় না। শহীদ মিঠুন যে চেতনার বীজ বপন করে গেছেন তা কখনো ধ্বংস করা যাবে না। তা থেকে সংগ্রামের নতুন ডালপালা গজিয়ে উঠতেই থাকবে।

বক্তারা অভিযোগ করে বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামকে নিয়ে শাসকগোষ্ঠীর ষড়যন্ত্র থেমে নেই। প্রতিনিয়ত রাজনৈতিক নেতা-কর্মীদের খুন, অন্যায়ভাবে গ্রেফতার, মিথ্যা মামলা, জেল-জুলুমসহ নানা নিপীড়ন চালিয়ে যাচ্ছে। তথাকথিত উন্নয়ন-পর্যটনের নামে ভূমি বেদখল, পাহাড়ি উচ্ছেদের ঘটনা ঘটছে।

বক্তারা বলেন, শহীদ মিঠুন চাকমার আদর্শ-চেতনাকে ধারণ করে শাসকগোষ্ঠীর সকল প্রকারের অন্যায় অত্যাচার ও জাতিগত নিপীড়ন বিরুদ্ধে ছাত্র-যুব-নারী সমাজকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে জাতীয় অস্তিত্ব রক্ষার্থে গণআন্দোলন গড়ে তুলতে হবে।

স্মরণসভা থেকে বক্তারা মিঠুন চাকমার খুনিদের অতি দ্রুত আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।

---




0/Post a Comment/Comments