""

রাঙামাটির কাউখালীতে ইটভাটার দুই শ্রমিকসহ ম্যানেজারের ছেলেকে অপহরণের অভিযোগ

কাউখালী প্রতিনিধি, সিএইচটি নিউজ
বুধবার, ২৮ ডিসেম্বর ২০২২

রাঙামাটির কাউখালী উপজেলার কলমপতি ইউনিয়নের তারাবুনিয়া এলাকার একটি ইটভাটার দুই শ্রমিকসহ ম্যানেজারের ছেলেকে অপহরণের অভিযোগ পাওয়া গেছে।

গতকাল মঙ্গলবার (২৭ ডিসেম্বর ২০২২) দিবাগত ১:০০টার দিকে এ ঘটনা ঘটে বলে জানা যায়।

অপহৃতরা হলেন- ঝালাইমিস্ত্রি মো. আহসানউল্লাহ, দারোয়ান মো. মুসলিম ও ইটভাটার ম্যানেজার মো. আবু তাহেরের ছেলে মো. জিয়া রহমান। তারা সবাই ফারুক কোম্পানীর MNC নামক ইটভাটায় কর্মরত ছিলেন।

জানা যায়, সাত আট জনের একদল সশস্ত্র সন্ত্রাসী অস্ত্রের মুখে ইটভাটার পাশে শ্রমিকদের জন্য নির্মিত ঘর থেকে তাদের তুলে নিয়ে যায়। সন্ত্রাসীরা ইট ভাটার পাশে অবস্থিত জঙ্গল থেকে এসে এ ঘটনা ঘটায় বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান। চলে যাবার সময় তারা ঘটনাটি কাউকে না জানানোর জন্য নির্দেশ দেয় এবং তারা পরে ফোনে যোগাযোগ করবে বলে জানায়।

প্রত্যক্ষদর্শীদের ভাষ্যমতে অপহরণের সময় সন্ত্রাসীরা নিজেদের ইউপিডিএফ সদস্য বলে পরিচয় দেয়। তবে ইউপিডিএফের সাথে যোগাযোগ করে এলাকার মুরুব্বীরা নিশ্চিত হন যে, ইউপিডিএফের কোন সদস্য এই ঘটনার সাথে আদৌ জড়িত নয়।

ইটভাটা ব্যবসার সাথে জড়িত নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক জনৈক ব্যক্তি এ প্রতিবেদককে বলেন,“সেনা সৃষ্ট নব্য মুখোশ সন্ত্রাসীরা অর্থের জন্য তাদের অপহরণ করে থাকতে পারে। প্রশাসনের বিশেষ একটি সংস্থার লোক তাদের সন্ত্রাসী কাজ কর্মকে মদদ জুগিয়ে যাচ্ছে। এতে এলাকার শান্তিপূর্ণ  অবস্থা অরাজকতায় পরিণত হচ্ছে। বিশেষ সংস্থার সহযোগীতা না পেলে ইটভাটার মতো শ্রমিক অধ্যুষিত এলাকা থেকে কাউকে অপহরণ করা সম্ভব হতো না।”

অবশ্য তারাবুনিয়ার এক গ্রামবাসী সন্দেহ প্রকাশ করে বলেন, বান্দরবানে ক্রিয়াশীল বিশেষ কায়েমী স্বার্থবাদী গোষ্ঠীর সৃষ্ট মগ পার্টির সদস্যরাও স্থানীয় বখাটে ছেলেদের ব্যবহার করে উক্ত তিন বাঙালিকে অপহরণ করে থাকতে পারে।

ইউপিডিএফ কাউখালি ইউনিটের সংগঠক অমিয় চাকমা অবিলম্বে অপহৃত ইটভাটায় কর্মরত উক্ত তিন শ্রমিক ও কর্মচারীকে উদ্ধার এবং অপহরণকারীদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য প্রশাসনের কাছে দাবি জানিয়েছেন।

তিনি বলেন কয়েকদিন আগে কাউখালি সদর থেকে প্রতিম চাকমাকে অপহরণকারী মার্টিন চাকমা গংদের বিরুদ্ধে কোন রূপ ব্যবস্থা না নেয়ার কারণে কাউখালিতে সন্ত্রাসীরা গত রাতে উক্ত তিন জনকে অপহরণ করার সাহস পেয়েছে।

উল্লেখ্য, গত এক সপ্তাহের ব্যবধানে কাউাখালীতে এ নিয়ে দ্বিতীয় অপহরণের ঘটনা ঘটলো। গত ২০ ডিসেম্বর দিনে দুপুরে প্রসাশনের নাকের ডগায় তথা উপজেলা পরিষদ ভবন, থানা ভবন এবং আর্মি ক্যাম্পের অনতিদূর থেকে সেনা সৃষ্ট সন্ত্রাসী মুখোশ সদস্য মার্টিন চাকমার নেতৃত্বে প্রতিম চাকমা নামে সাবেক এক উন্নয়ন কর্মীকে অপহরণ করা হয়। পরে ২২ ডিসেম্বর নানিয়াচর থেকে তিন লক্ষ টাকার বিনিময়ে সন্ত্রাসীরা তাকে ছেড়ে দেয়। এ নিয়ে তখন সিএইটি নিউজেও প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।






0/Post a Comment/Comments