""

আমেরিকা প্রবাসী বাংলাদেশি শিক্ষার্থীরা বিপুলসহ চার ছাত্র-যুব নেতা হত্যার নিন্দা জানিয়েছে

আন্তর্জাতিক ডেস্ক, সিএইচটি নিউজ
বৃহস্পতিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৩


খাগড়াছড়ির পানছড়িতে গত ১১ ডিসেম্বর রাতে সেনা সৃষ্ট নব্য মুখোশ বাহিনী কর্তৃক পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের সাবেক সভাপতি বিপুল চাকমা, বর্তমান সহ-সভাপতি সুনীল ত্রিপুরা, গণতান্ত্রিক যুব ফোরামের খাগড়াছড়ি জেলা শাখার সহ-সভাপতি লিটন চাকমা ও ইউপিডিএফ নেতা রুহিন বিকাশ ত্রিপুরাকে হত্যার নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে বিদেশে বসবাসরত বাংলাদেশী বংশোদ্ভূত প্রবাসী ও শিক্ষার্থীরা।

গত ১৯ ডিসেম্বর ২০২৩ যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী “Bela Hossain” তার স্যোসাল মিডিয়া ফেসবুকে দেয়া এক বিবৃতির মাধ্যমে তারা এই প্রতিবাদ জানান।

বিবৃতিতে স্বাক্ষরকারীরা হলেন- (১) জরা কামাল (মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র), (২) তাসপিয়া হোসেন (মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র), (৩) আয়েশা বেগম (মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র), (৪) শাহ আব্দুল্লাহ করিম (মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র), (৫) সোনিয়া খান (মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র), (৬) হাসিম আহমেদ (মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র), (৭) এশিয়া বেলা হোসেন (মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র), (৮) মো: আল ফাহাদ সিরাজ (মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র), (৯) মুশরাত আজাদ (মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র), (১০) সানজানা হোসেন (মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র), (১১) কমরেড মোহাম্মেদ (মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র), (১২) সাদ এইচ. (অষ্ট্রেলিয়া), (১৩) সায়েদুল আবরার (যুক্তরাজ্য), (১৪) সৌগত দেবনাথ (মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র) ও (১৫) সাবিক জায়াদ (মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র)।


বিবৃতিতে তারা বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামে পাহাড়ি মুক্তি সংগ্রামীদের বিরুদ্ধে এরকম হত্যাকান্ড নতুন নয়। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার পর থেকে আমরা দেখেছি, বাংলাদেশ রাষ্ট্র এবং তার বাহিনী পার্বত্য চট্টগ্রামে কীভাবে গণহত্যাসহ বিভিন্ন নিপীড়ন-নির্যাতনে যুক্ত ছিল। রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার শুরুতে পাহাড়িদের বাঙালি হওয়ার উপদেশ দিয়ে তাদের পরিচিতি অস্বীকার করা হয়। আজ পর্যন্ত তাদের আত্ম-নিয়ন্ত্রাধিকারের প্রশ্ন রাষ্ট্র মীমাংসা করতে ব্যর্থ হয়েছে।

বাংলাদেশ সেনাবাহিনী পার্বত্য চট্গ্রামে এক ধরনের জরুরী অবস্থা জারি রেখেছে উল্লেখ করে তারা বলেন, টুরিজম উন্নয়নের নামে সেখানে প্রকৃতি ও পরিবেশের ধ্বংস করা হচ্ছে এবং পাহাড়িদের বিরূপ বাস্তবতার মুখোমুখি হতে হচ্ছে।

কল্পনা চাকমার অপহরণ ও গুম হওয়া মাইকেল চাকমাকে খোঁজ দিতে রাষ্ট্র ব্যর্থ হয়েছে বলে তারা উল্লেখ করেন।

তারা বলেন, মিঠুন-বিপুল-লিটন-সুনীল-রুহিনদের মত শতশত পাহাড়ি মুক্তি সংগ্রামীদের বিচ্ছিন্নতাবাদী তকমা দিয়ে খুন করা হয়েছে। ১৫ বছর ধরে গেড়ে বসা উগ্র-বাঙালি জাতীয়তাবাদী আওয়ামী শাসকদের উখাত করা জাতি, ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে পাহাড় ও সমতলের সকলের কর্তব্য হয়ে দাঁড়িয়েছে বলে তারা ‍মন্তব্য করেন।

এই অবস্থায় বাংলাদেশের শিক্ষার্থীদের শহীদ বিপুলসহ অন্যান্যদের অসমাপ্ত কাজ সম্পূর্ণ করার আহ্বান জানান।

বিবৃতিতে তারা ৪টি দাবি তুলে ধরেন-

১. পার্বত্য চট্টগ্রামে পূর্ণস্বায়ত্তশাসন নিশ্চিত করতে হবে।

২. পাহাড় থেকে সেনাশাসন প্রত্যাহার করতে হবে।

৩. পাহাড়ে ধ্বংসাত্মক সকল কর্মকান্ড বন্ধ করতে হবে।

৪. পার্বত্য চট্টগ্রামে সকল হত্যাকান্ডের বিচার করতে হবে। খুন-ধর্ষণ-হত্যাকান্ড অচিরে বন্ধ করতে হবে।




সিএইচটি নিউজে প্রকাশিত প্রচারিত কোন সংবাদ, তথ্য, ছবি ,ভিডিও, কনটেন্ট ব্যবহার করতে হলে কপিরাইট আইন অনুসরণ করে ব্যবহার করুন।







0/Post a Comment/Comments