- কবীর আলমগীর
বিপুল চাকমা এক বারুদের নাম-
যখন বুটের মচমচ আওয়াজ কাঁপন তোলে পাহাড়ি জমিনে
প্রাণঘাতি রাইফেলের আক্রোশে থরথর গাছের পাতা, মায়ের আঁচল
পাখিরা ঘুমিয়ে যায় ভয়ে!
তখন বিপুল চাকমাদের স্লোগান ভেসে আসে দুর্নিবার সাহসে।
হাতকড়ায় বন্দি কবজি, ডান্ডাবেড়িতে আড়ষ্ঠ পা
তবুও তাদের পায়ে পায়ে বেজে ওঠে মুক্তির গান
দৃপ্ত শপথে এগিয়ে আসে বিপুল চাকমারা।
জেগে ওঠে পাহাড়ের মাটি, হাওয়ায় ভাসে জুম ফসলের ঘ্রাণ
স্লোগান ওঠে পাহাড়ে পাহাড়ে
স্লোগান ওঠে জঙ্গল থেকে জঙ্গলে
অধিকার চাই বুকের সিনা টানটান করে দাঁড়াবার।
অধিকার চাই সোনার ফসল ফলাবার।
বিপুল চাকমা বুলেটের সামনে দাঁড়ানো দুর্নিবার স্পর্ধার নাম।
ঘাতক রাইফেলের সামনে দাঁড়ানো তেজের নাম;
অগুনতি জুম মায়ের হাসির নাম বিপুল চাকমা
আকাশে উড়ে বেড়ানো লাল পাখির নাম বিপুল চাকমা।
আলো নিভু নিভু, রোগে ভোগা মায়ের কোল থেকে
টেনেহিঁচড়ে গারদে নেওয়া নাম বিপুল চাকমা
বিপুল চাকমা পাহাড়ি ঘরে জন্ম নেওয়া ফিনিক্স পাখির নাম
কেড়ে নিতে দেবে না জুম ফসল, ফসলের গোলা
লুট হতে দেবে না মায়ের জমিন, ফিনফিনে আঁচল
বিপুল চাকমা দ্রোহের গান, এক বজ্রধ্বনির নাম।
বুটের মচমচ আওয়াজ নয়, পাহাড়ে পাহাড়ে ফুটুক
জংলি ঝুমকো লতা, পরশ পিপুল
বিপুল চাকমা নদীর কিনারে
গোপনে মাথা তুলে দাঁড়ানো দাঁতরঙা ফুলের নাম!
মায়ের কফিন ছুঁয়ে স্লোগানের নাম বিপুল চাকমা
বুক ভেদ করে ঢুকে পড়া বুলেটের ঘা বিপুল চাকমা
তাজা রক্ত ফিনকি দিয়ে পড়ে বুটের গায়ে, বন্দুকের নলে নলে
বিপুল চাকমা পাহাড়ের কোল ঘেঁষে বয়ে যাওয়া খরস্রোতা নদীর নাম!
* কবিতাটি লেখকের ফেসবুক থেকে
নেওয়া হয়েছে