আন্তর্জাতিক ডেস্ক, সিএইচটি নিউজ
শনিবার, ১৩ জানুয়ারি ২০২৪
শুক্রবার (১২ জানুয়ারি ২০২৪) এক বিবৃতিতে সংগঠনটির চেয়ারম্যান ড. গৌতম
চাকমা এই উদ্বেগ প্রকাশ করেন এবং অবিলম্বে খুনীদের গ্রেফতার করে বিচারের মাধ্যমে কঠোর
শাস্তি প্রদানের দাবি জানান।
বিবৃতিতে তিনি বলেন, ‘আমরা বিভিন্ন মাধ্যমে জানতে পেরেছি যে, গত ১১ জানুয়ারি
২০২৪ খাগড়াছড়ি ব্রিগেডের জি-টু মেজর জাহিদ হাসান তার অফিসে অমর জ্যোতি চাকমাসহ খুনীদের
৬ জনের একটি দলের সাথে সাক্ষাত করেছেন।’
খুনীদের গ্রেফতার না করে বরং তাদের সাথে উক্ত সেনা কর্মকর্তার সাক্ষাতের
ঘটনাটি অত্যন্ত উদ্বেগজনক এবং নতুন করে খুন কিংবা অন্য কোন জঘন্য অপরাধ সংঘটনের ষড়যন্ত্রের
ইঙ্গিত বলে এইচপিএফ চেয়ারম্যান মন্তব্য করেন।
তিনি অভিযোগ করে বলেন, ‘গত ১১ ডিসেম্বর খাগড়াছড়ি জেলার পানছড়ি উপজেলাধীন
অনিলপাড়ায় উক্ত চার যুব নেতাকে হত্যার এক মাসের অধিক সময় পরও খুনীদের গ্রেফতার না
করায় খুনীরা ফোন করে আরও অনেককে মেরে ফেলার হুমকি দেয়ার সাহস পাচ্ছে।
‘শুধু তাই নয়, খুনী ও ঠ্যাঙাড়ে বাহিনীর সদস্যদেরকে গত ৭ জানুয়ারি
অনুষ্ঠিত বাংলাদেশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে একটি বিশেষ দলের প্রার্থীর পক্ষে ভোট কেন্দ্র
দখলের কাজে ব্যবহার করা হয়েছে বলে জানা গেছে।’
ড. গৌতম চাকমা বলেন, গত ২০১৭ সালের নভেম্বর মাসে বাংলাদেশী গোয়েন্দা
সংস্থাগুলো পার্বত্য চট্টগ্রামে পাহাড়ি আদিবাসীদের ন্যায়সঙ্গত আন্দোলন দমনের জন্য
একটি ঠ্যাঙাড়ে বাহিনী গঠন করে দেয়। সেই পর থেকে সেখানকার মানবাধিকার পরিস্থিতি দ্রুত
অবনতি হতে থাকে।
এই ঠ্যাঙাড়ে বাহিনীর সদস্যদেরকে দিয়ে এখন বেছে বেছে আদিবাসী পাহাড়ি
নেতাদের হত্যা করা হচ্ছে বলে তিনি অভিযোগ করেন এবং অবিলম্বে এই ঠ্যাঙাড়ে বাহিনী ভেঙে
দেয়ার জন্য বাংলাদেশ সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।
তিনি আরও বলেন, ত্রিপুরার প্রতিবেশি অঞ্চল পার্বত্য চট্টগ্রামে ক্রমাবনতিশীল
মানবাধিকার পরিস্থিতিতে ত্রিপুরা রাজ্য ও কেন্দ্রীয় সরকার নীরব থাকতে পারে না। তিনি
এ বিষয়ে বাংলাদেশ সরকারের সাথে আলোচনার জন্য তাদের কাছে অনুরোধ জানিয়েছেন।
সিএইচটি নিউজে প্রকাশিত প্রচারিত কোন সংবাদ, তথ্য, ছবি ,ভিডিও, কনটেন্ট ব্যবহার করতে হলে কপিরাইট আইন অনুসরণ করে ব্যবহার করুন।