""

লক্ষ্মীছড়িতে সৌরবিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপনের নামে ভূমি বেদখলের পাঁয়তারার বিরুদ্ধে এলাকাবাসীর প্রতিবাদ


লক্ষ্মীছড়ি প্রতিনিধি, সিএইচটি নিউজ
মঙ্গলবার, ১৯ মার্চ ২০২৪

খাগড়াছড়ির লক্ষ্মীছড়ি উপজেলার ২১৭ নং জারুলছড়ি মৌজায় হেডম্যানের স্বাক্ষরসহ প্রত্যয়নপত্র জাল করে CDTO-CRCCII-CCECC-ERECBL CONSORTIUM নামের একটি বহিরাগত কোম্পানি কর্তৃক সৌরবিদ্যু কেন্দ্র স্থাপন প্রকল্পের নামে ১৭০০ একর জমি বেদখলের পাঁয়তারা চালানো হচ্ছে। এর বিরুদ্ধে এলাকাবাসী প্রতিবাদ-প্রতিরোধে সোচ্চার হয়ে উঠেছেন।

ইতোমধ্যে উক্ত প্রকল্পটি বাতিল করার জন্য হেডম্যান মংসাইগ্য চৌধুরী পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ে লিখিত আবেদন জানিয়েছেন। এছাড়া এলাকাবাসীর পক্ষ থেকেও প্রকল্পটি বাতিলের জন্য উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার বরাবর এক পত্র দাখিল করা হয়েছে।

কিন্তু উক্ত আবেদনের বিষয়ে সরকার ও প্রশাসন থেকে কোন সুরাহা করা হয়নি। উপরন্তু লক্ষ্মীছড়ি উপজেলা প্রশাসন কোম্পানিটির পক্ষে ভূমি বেদখল সম্পন্ন করতে জায়গা পরিমাপসহ প্রয়োজনীয় কার্যক্রম হাতে নিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

আজ মঙ্গলবার (১৯ মার্চ ২০২৪) দুপুরে উপজেলা প্রশাসনের নির্দেশ মোতাবেক লক্ষ্মীছড়ি ভূমি অফিস থেকে সার্ভেয়ার মো. শাহজাহান, চেইনম্যান মো. আফতার ও ভূমি অফিসের স্টাফ বাবু ত্রিপুরা উক্ত জায়গাটি পরিমাপের লক্ষ্যে সেখানে যাচ্ছিলেন। তারা মগাইছড়ি এলাকায় পৌঁছলে স্থানীয় এলাকার জনগণ প্রতিবাদ জানায় এবং তাদেরকে প্রতিরোধ করে উক্ত জায়গায় যেতে বাধা দেয়। জনগণের প্রতিবাদ-প্রতিরোধের মুখে পরে তারা সেখান থেকে ফিরে আসতে বাধ্য হয়।

জানা গেছে, আজ লক্ষ্মীছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তারও সেখানে যাওয়ার কথা ছিল। তবে তিনি না গিয়ে ভূমি অফিসের উক্ত কর্মকর্তাদের পাঠিয়েছিলেন।

এলাকাবাসী অবিলম্বে উক্ত প্রকল্পটি বাতিল করার দাবি জানিয়েছেন।

উল্লেখ্য, গত ৩ মার্চ ২০২৪ জারুলছড়ি মৌজার হেডম্যান মংসাইগ্য চৌধুরী পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ে দাখিল করা আবেদনপত্রে অভিযোগ করে বলেছেন, “CDTO-CRCCII-CCECC-ERECBL CONSORTIUM কর্তৃক লক্ষ্মীছড়ি উপজেলায় ২১৭নং জারুলছড়ি মৌজায় ২০০ মেঘাওয়াট (এসি) গ্রীড টাইড সৌর বিদ্যু কেন্দ্র স্থাপন প্রকল্পের জন্য ১৭০০ একর ভূমি বরাদ্দ পাওয়ার নিমিত্তে সংশ্লিষ্ট বিদ্যু, জ্বালানী ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ে প্রস্তাবনা পাঠানো হয়। উক্ত প্রস্তাবনার সাথে আমার ২১৭নং জারুলছড়ি মৌজার প্যাড সীল যুক্ত আমার জাল স্বাক্ষর ব্যবহার করে ১২০০/১৩০০ একর ভূমি উল্লেখ পূর্বক একটি প্রত্যয়নপত্র নথির সাথে সংযুক্ত করে দেন। উক্ত প্রত্যয়নপত্রে স্মারক নম্বর লেখা হয়- ২১৭/১১/জারুলছড়ি, তারিখ: ১০-০৯-২০২৩খ্রি:। অথচ উক্ত বিষয়ে আমি কিছুই জানি না। উক্ত প্রত্যয়নপত্রে ব্যবহৃত প্যাড, সীল ও স্বাক্ষর আমার নয়, এমনকি উক্ত প্রত্যয়নপত্রে যা কিছু লেখা আছে তা আমার লেখা নহে। উক্ত প্রত্যয়নপত্রটি সম্পূণরূপে জাল-জালিয়াতির মাধ্যমে করা হয়েছে।”

তিনি উক্ত সৌরবিদ্যু কেন্দ্র স্থাপন প্রকল্পের অগ্রবর্তী করা ফাইল বাতিলের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের আবেদন জানিয়েছিলেন।



সিএইচটি নিউজে প্রকাশিত প্রচারিত কোন সংবাদ, তথ্য, ছবি ,ভিডিও, কনটেন্ট ব্যবহার করতে হলে কপিরাইট আইন অনুসরণ করে ব্যবহার করুন।







0/Post a Comment/Comments