ঢাকা প্রতিনিধি, সিএইচটি নিউজ
বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪
সাভারে রানা প্লাজা ধসের ১১তম বার্ষিকীতে
নিহত শ্রমিকদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেছে ইউনাইটেড ওয়ার্কার্স ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট
(ইউডব্লিউডিএফ)।
আজ বুধবার (২৪ এপ্রিল ২০২৪) সকাল ৯টায়
সাভারে রানা প্লাজা ধসে নিহত শ্রমিকদের স্মরণে নির্মিত
স্মৃতিস্তম্ভে ইউডব্লিউডিএফ'র কেন্দ্রীয় সহ-সাধারণ সম্পাদক প্রমোদ জ্যোতি চাকমা, গণতান্ত্রিক
যুব ফোরামের সভাপতি জিকো ত্রিপুরা, সদস্য সুইচিং মারমা পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে
এ শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
পুষ্পস্তবক অর্পণ শেষে প্রমোদ জ্যোতি চাকমা
বলেন, মালিকের দুর্নীতি, ব্যবস্থাপনা দুর্বলতার কারণে রানা প্লাজা ধসের ঘটনা ঘটেছিল।
ঘটনায় সুনির্দিষ্ট ব্যক্তির নামে দায়ের করা মামলা ১১ বছরেও কোন অগ্রগতি হয়নি। রানা
প্লাজা ভবনের সোহেল রানা ব্যতিত সকলে জামিনে রয়েছে। এটি খুবই দুঃখজনক ঘটনা। আমরা অবিলম্বে
জড়িতদের বিচারের দাবি জানাচ্ছি।
এ সময় তিনি পাহাড়ি শ্রমিকদের বৈ-সা-বি
ছুটি প্রদান, কারখানায় শ্রমিকদের নিরাপত্তা এবং ইউডব্লিউডিএফ'র সাধারণ সম্পাদক মাইকেল
চাকমাকে সন্ধান দেওয়ার দাবি জানান।
উল্লেখ্য, বিগত ২০১৩ সালের ২৪ এপ্রিল সাভার বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন রানা প্লাজা নামের বহুতল ভবনটি ধসে পড়ে। এতে নিহতদের প্রকৃত সংখ্যা জানা যায়নি। তবে প্রায় ১৭ দিনের উদ্ধার অভিযানে ধসে পড়া ভবন থেকে ১,১৩৬ জন শ্রমিকের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছিল। আর আহত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছিল ২,৪৩৮ জন শ্রমিককে।
উক্ত ভবনটির মালিক ছিলেন তৎকালীন সাভার পৌর যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক সোহেল রানা। সাভার
বাসস্ট্যান্ডের কাছে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের পাশেই ছিল নয়তলা রানা প্লাজা ভবনটি।
এতে ভূগর্ভস্থ তলায় গাড়ি রাখার জায়গা। এর প্রথম তলায় ছিল ব্যাংকসহ বিভিন্ন
প্রতিষ্ঠানের কার্যালয়।দ্বিতীয় তলার বিপণিকেন্দ্রে বহু দোকান ছিল। তৃতীয় থেকে
সপ্তম তলা পর্যন্ত ছিল গার্মেন্টস কারখানা। গার্মেন্টস কারখানায় প্রায় ৫০০০ এর
মত কর্মী কাজ করত।
সিএইচটি নিউজে প্রকাশিত প্রচারিত কোন সংবাদ, তথ্য, ছবি ,ভিডিও, কনটেন্ট ব্যবহার করতে হলে কপিরাইট আইন অনুসরণ করে ব্যবহার করুন।