রাঙামাটি প্রতিনিধি, সিএইচটি নিউজ
বুধবার, ২০ আগস্ট ২০২৫
রাঙামাটির সদর উপজেলার বন্দুকভাঙায় গণমিটিংয়ে জেএসএস সন্তু গ্রুপের সশস্ত্র
দলের দুই কমাণ্ডার সুস্পষ্টভাবে বলেছেন, তারা ইউপিডিএফের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর
সাথে এক হয়ে কাজ করবে। সেনাবাহিনীর সাথে তাদের উঠাবসা করতে হবে।
এছাড়া তারা এটাও বলে দিয়েছেন যে, চলমান সংঘাত তারা চালিয়ে যাবে। হয় তারা
থাকবে, নয় ইউপিডিএফ থাকবে।
গত ১৫ ও ১৭ আগস্ট ২০২৫ বন্দুকভাঙা ইউনিয়নের মগ পাড়া ও সাক্রাছড়িতে আয়োজন
করা মিটিংয়ে দেবা ও ফরেন নামে সন্তু গ্রুপের দু’জন সশস্ত্র কমাণ্ডার এসব কথা বলেছেন।
মিটিংয়ের সময় তাদের ১৫ জনের একটি সশস্ত্র দল ছিল।
সাম্প্রতিক সময়ে কাউখালী, লক্ষীছড়ি, পানছড়ি, গুইমারা, মাটিরাঙ্গাসহ ইউপিডিএফের
সাংগঠনিক এলাকায় সেনা অভিযান, তল্লাশি ও হয়রানির ঘটনার সাথে সন্তু গ্রুপের কমাণ্ডারদের
উক্ত ঘোষণার মিল পাওয়া যাচ্ছে। সেনাবাহিনী যে সন্তু গ্রুপকে সহযোগিতা করছে তা স্পষ্টভাবে
প্রতীয়মান হচ্ছে।
তবে সন্তু লারমার সাথে সেনাবাহিনীর বোঝাপড়া নতুন কোন ঘটনা নয়। আঞ্চলিক পরিষদের
ক্ষমতা ধরে রাখতে তিনি অতীত থেকে বর্তমান পর্যন্ত সেনাবাহিনীর সাথে দহরম-মহরম সম্পর্ক
বজায় রেখে আন্দোলন বিরোধী ভূমিকা পালন করে যাচ্ছেন।
গত জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারি মাসে সেনাবাহিনী সন্তু লারমা দলের সশস্ত্র সদস্যদের পুনর্বাসনের জন্য বন্দুকভাঙা এলাকায় যমচুক-মারিচুক মোনে ব্যাপক অভিযান পরিচালনা করেছিল।
তারপর জুনে ইউপিডিএফের সাংগঠনিক এলাকা রাঙ্গামাটির ফুরমোনে সেনাবাহিনী ও
জেএসএস সন্তু গ্রুপ যৌথভাবে অভিযান পরিচালনা করে। সে সময় তাদের গুলিতে একজন গ্রামবাসী
গুরুতর আহত হয়।
এছাড়া বিভিন্ন সময় অনেক জায়গায় সেনাবাহিনী সন্তু গ্রুপকে সহযোগিতা দিতে
ইউপিডিএফের সাংগঠনিক এলাকায় অপারেশন চালিয়েছে।
সেনাবাহিনীর সাথে সন্তু গ্রুপের এই দহরম-মহরম সম্পর্ক সাধারণ জনগণের অজানা
নয়। এ কারণে জনগণ সন্তু গ্রুপকে সমর্থন করে না।
সিএইচটি নিউজে প্রকাশিত প্রচারিত কোন সংবাদ, তথ্য, ছবি ,ভিডিও, কনটেন্ট ব্যবহার করতে হলে কপিরাইট আইন অনুসরণ করে ব্যবহার করুন।