""

গুইমারার প্রতিরোধকে পাহাড় জুড়ে ছড়িয়ে দিন

 সেনাবাহিনীর অন্যায়-অবিচারের বিরুদ্ধে জনতার প্রতিরোধের চিত্র। ছবিটি ভিডিও থেকে নেওয়া।

গতকাল (৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫) গুইমারার বীর জনগণ যে সাহস ও প্রতিরোধের অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন তা এক কথায় অত্যন্ত চমৎকার। যারা এই প্রতিরোধে অংশ নিয়েছেন তাদের স্যালুট জানাই।

জনতার এই প্রতিরোধ ছিল অন্যায়, জুলুম ও নিপীড়নের বিরুদ্ধে। এই প্রতিরোধ তাই অত্যন্ত ন্যায়সঙ্গত। ঠ্যাঙাড়ে সাজা সেনা দুর্বৃত্তরা মনে করেছিল তাদের একে-৪৭-এর কয়েকটা গুলি হবে গুইমারার তবলাপাড়া ও কালাপাহাড়ের বীর জনতাকে ভয়ে কাবু করতে যথেষ্ট। কিন্তু তাদের সেই ধারণা ভুল প্রমাণ করে দিয়ে জনগণ জীবন্ত বুলেটের সামনে বুক উঁচিয়ে দাঁড়িয়েছে। ফলে সেনা সন্ত্রাসীরা জনতার কাছে হেরে গেছে। সশস্ত্র অবস্থায় তারা বিজয়ী জনতার কাছে বন্দী হয়। আর এর ফলে সারা দুনিয়া জেনে যায় পাহাড়ে আসল সন্ত্রাসী কারা, কারা এখানে অশান্তির বাতাবরণ সৃষ্টি করে রেখেছে, কারা জীবন দুর্বিসহ করে তুলেছে।

গতকালের প্রতিরোধ আরও একবার প্রমাণ করেছে চরম ও নিষ্ঠুর দমনপীড়ন চালিয়েও বীর জুম্ম জনগণকে পরাজিত করা যাবে না। পাহাড়ের মানুষ বার বার জেগে উঠেছে, ভবিষ্যতেও বার বার জেগে উঠবে। ন্যায্য অধিকার স্বায়ত্তশাসন না পাওয়া পর্যন্ত তারা ক্ষান্ত হবে না।

গুইমারার এই প্রতিরোধকে পাহাড়ের সর্বত্র ছড়িয়ে দিতে হবে। সমগ্র পাহাড়কে প্রতিরোধের রঙে রাঙিয়ে তুলতে হবে। পুরো পার্বত্য চট্টগ্রামকে প্রতিরোধের দূর্গ বানাতে হবে। যে জাতি সংগ্রাম করে, যে জাতির জনগণ বাঁচার জন্য জীবন দিতে প্রস্তুত, দুনিয়ায় একমাত্র সেই জাতিরই রয়েছে বেঁচে থাকার অধিকার। অদম্য পাহাড় কখনই মাথা নত করবে না। #



সিএইচটি নিউজে প্রকাশিত প্রচারিত কোন সংবাদ, তথ্য, ছবি ,ভিডিও, কনটেন্ট ব্যবহার করতে হলে কপিরাইট আইন অনুসরণ করে ব্যবহার করুন।







0/Post a Comment/Comments