![]() |
| নূর খান। সংগৃহিত ছবি |
ডেস্ক রিপোর্ট, সিএইচটি নিউজ
বৃহস্পতিবার, ২ অক্টোবর ২০২৫
বাংলাদেশের বিশিষ্ট মানবাধিকার কর্মী নূর খান খাগড়াছড়ির গুইমারায় মারমা
সম্প্রদায়ের ওপর হামলার জন্য বাংলাদেশ সেনাবাহিনীকে দায়ি করে বলেছেন, “গুইমারায় সেনাবাহিনী
নির্বিচারে গুলি করেছে।”
গতকাল ১ অক্টোবর ডয়চে ভেলেকে দেয়া এক সাক্ষাতকারে তিনি এ কথা বলেন। তিনি বলেন, “ওই ঘটনার যে ভিডিও আমরা দেখেছি, তাতে
স্পষ্ট যে, গুইমারায় সেনাবাহিনী নির্বিচারে গুলি করেছে। সেনাবাহিনীর সঙ্গে স্থানীয়
বাঙালিরাও ছিল।”
তিনি আরও বলেন, “একটি ধর্ষণের ঘটনা হ্যান্ডেল করা, অপরাধীদের গ্রেফতার করা
কোনো কঠিন কাজ ছিল না। সেটা না করে পরিস্থিতি যখন খারাপ হলো, তখন আমরা দেখলাম স্বরাষ্ট্র
উপদেষ্টা দায় চাপাচ্ছেন। আগে যেমন কোনো ঘটনা ঘটলে বলা হতো বিএনপি ও জামায়াত-শিবির,
এখন বলা হচ্ছে ফ্যাসিস্ট ও তাদের দোসর। পাশের একটি দেশের ওপর দায় চাপানো হয়। কিন্তু
যা করার দরকার ছিল, তা তারা করেনি।”
মানবাধিকার কর্মী ও নারী নেত্রী খুশী কবির আইএসপিআরের বিবৃতিকে এক পাক্ষিক
বলে মন্তব্য করেছেন।
ডয়চে ভেলেকে তিনি বলেন, “ধর্ষণে জড়িতদের সবাইকে ধরলেই যেখানে পরিস্থিতি
স্বাভাবিক থাকতো, সেখানে সেটা না করে তিনজনকে হত্যা করা হলো, বাড়ি-ঘর, ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে
হামলা ও আগুন দেয়া হলো। এটা তো কোনোভাবেই মেনে নেয়া যায় না। আর এ ঘটনায় আইএসপিআর যে
বিবৃতি দিয়েছে তা পুরোটাই একতরফা। এটা তো আদিবাসীদের মধ্যে আরো বেশি আস্থাহীনতা তৈরি
করলো। তারা তো আরো ভীত হয়ে পড়লো। আর ধর্ষণের বিচার চেয়ে কি আন্দোলন করা যাবে না? আমরাও
তো দেখেছি, আন্দোলন না করলে বিচার হয় না, আসামী গ্রেফতার হয় না।”
নূর খান মনে করেন, “কারো ওপর দায় চাপিয়ে এই সংকটের সমাধান হবে না। যারা প্রকৃত দায়ী, তাদের চিহ্নিত করে বিচারের আওতায় আনতে হবে। আর খুঁজতে হবে রাজনৈতিক সমাধান। এটা দেশের স্বার্থেই করতে হবে।”
সিএইচটি নিউজে প্রকাশিত প্রচারিত কোন সংবাদ, তথ্য, ছবি ,ভিডিও, কনটেন্ট ব্যবহার করতে হলে কপিরাইট আইন অনুসরণ করে ব্যবহার করুন।
