""

দীঘিনালার ধনপাদায় বিহারের পাশে সেনাবাহিনীর অস্থায়ী ক্যাম্প ও হেলিপ্যাড নির্মাণ

বিহার ও বিহারে রাখা বুদ্ধমূর্তি (বামে) এবং সেনাবাহিনীর নির্মিত হেলিপ্যাড (ডানে)।

দীঘিনালা প্রতিনিধি, সিএইচটি নিউজ
বুধবার, ৫ নভেম্বর ২০২৫

খাগড়াছড়ির দীঘিনালা উপজেলার বাবুছড়া ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের ৪৬নং ধনপাদা মৌজার বিনন্দ কার্বারি পাড়ায় ধনপাদা মাইনী বনবিহারের দেশনালয়কে সেনাবাহিনী অস্থায়ী ক্যাম্প বানিয়ে তার অনতিদূরে একটি হেলিপ্যাড নির্মাণ করেছে বলে খবর পাওয়া গেছে।

জানা যায়, গত ৩১ অক্টোবর ২০২৫ বিকাল ২:৩০টার সময় দীঘিনালা জোন ও মেরুং চংড়াছড়ি সাজবোন থেকে একদল সেনা সদস্য উক্ত স্থানে গিয়ে বিহারে দেশনালয় হিসেবে ব্যবহৃত ঘরটিতে অবস্থান নেয়, যা এখন তারা অস্থায়ী ক্যাম্প হিসেবে ব্যবহার করছে।এরপর সেনারা পাশের একটি স্থানে হেলিপ্যাড নির্মাণ করেছে।

বিহারের দেশনালয়ের (অস্থায়ী ক্যাম্প) মাঠ থেকে আনুমানিক আধা কিলোমিটার দূরে বীর বাহু চাকমা ও দোয়েল কান্তি চাকমার জুমের জায়গায় মাটি কেটে হেলিপ্যাড নির্মাণ করা হয়েছে।

দীঘিনালা জোনের ক্যাপ্টেন মো. আজমীর, মো. মিন্টু ও লে. আজমাইন এবং চংড়াছড়ি সাব-জোনের লে. আলীফ (৩ বেঙ্গল) সেনা দলটির নেতৃত্বে রয়েছেন বলে জানা গেছে।  

সেদিন (৩১ অক্টোবর) সেখানে পৌঁছার পর সেনারা দেশনালয় হিসেবে ব্যবহৃত ঘরে অবস্থান নিয়ে বিহারে ব্যবহৃত জেনারেটর ও সোলার প্যানেল জোর করে সেখানে নিয়ে যায়। এছাড়া ভোজনালয়ের তালা ভেঙে কুড়াল এবং বিহার নির্মাণের জন্য রাখা ইটগুলোও তারা নিয়ে যায়।

যেখানে হেলিপ্যাড নির্মাণ করা হয়েছে সেখানে বিহার থেকে নেওয়া ইটগুলো “H" চিহ্ন দিতে ব্যবহার করা হয়েছে বলে জানা গেছে।

সেনা কমান্ডার মো. মিন্টু তাদের যা কিছু প্রয়োজন পড়বে সেসব বিহার থেকে ব্যবহার করা হবে বলে জানিয়ে দিয়েছেন।

দায়িত্বপ্রাপ্ত সেনা কমান্ডার ক্যাপ্টেন আজমীর সে এলাকায় সেনাবাহিনীর কয়েকটি পুরোনো ক্যাম্পের জায়গা রয়েছে বলে দাবি করেছেন। তার দাবি মতে, বাবুছড়া ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের উল্টোছড়ি সাধন চন্দ্র কার্বারি পাড়ায় একটি স্থানে, বিনন্দ কুমার কার্বারি পাড়ায় একটি স্থানে, ধনপাদা মৈত্রী কল্যাণ বৌদ্ধ বিহারের দক্ষিণ দিকে একটি স্থানে, চাদারাছড়ায় একটি স্থানে ও ৬নং ওয়ার্ডের বোরবো পাড়া-কালেন্দ্র কার্বারি পাড়া এলাকায় একটি স্থানে সেনাবাহিনীর পরিত্যাক্ত ক্যাম্প রয়েছে।

সেনা সদস্যরা বতর্মানে অস্থায়ী ক্যাম্প থেকে বিভিন্ন স্থানে ঘোরাঘুরি করে থাকে। তারা ধনপাদা হতে ইঞ্জিনচালিত নৌকা দিয়ে নাড়াইছড়ির দিকেও টহল দেয় বলে স্থানীয়রা জানিয়েছেন।

অপরদিকে, চাদারাছড়া এলাকায় ৭০ জনের অধিক সেনা সদস্য অবস্থান করছে বলে জানা গেছে।

সেনাদের অস্থায়ী ক্যাম্প বানিয়ে অবস্থানের কারণে এলাকার জনমনে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা বিরাজ করছে।



সিএইচটি নিউজে প্রকাশিত প্রচারিত কোন সংবাদ, তথ্য, ছবি ,ভিডিও, কনটেন্ট ব্যবহার করতে হলে কপিরাইট আইন অনুসরণ করে ব্যবহার করুন।







0/Post a Comment/Comments