""

ইউপিডিএফের ২৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে কুদুকছড়িতে ‘ক্যাম্প ফায়ার’

ক্যাম্প ফায়ার। 


রাঙামাটি প্রতিনিধি, সিএইচটি নিউজ

শনিবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৫

ইউপিডিএফের ২৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে রাঙামাটির কুদুকছড়িতে গত ২৫-২৬ ডিসেম্বর ২০২৫, দুই দিন ব্যাপি ক্যাম্প ফায়ার আয়োজন করে অগ্রণী শিশু-কিশোর কেন্দ্র। এর প্রতিপাদ্য বিষয় ‘সমমনা ও সতীর্থদের সংহতি ও সুদৃঢ় মৈত্রী রচনার লক্ষে ক্যাম্প ফায়ার’।

ক্যাম্প ফায়ারে এলাকার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে সপ্তম থেকে একাদশ শ্রেণিতে পড়ুয়া ৪৩ জন শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেন।

২৫ ডিসেম্বর দুপুর ১২টায় সবাই সমবেত হয়ে নির্দেশনামূলক বিফ্রিংয়ের পর প্রত্যেকের জন্য প্রযোজনীয় জিনিসপত্র (কম্বল, রেকসিন ও খাদ্যদ্রব্য) বন্টন করা হয়।

ক্যাম্প ফায়ারে অংশগ্রহণকারীদের জিনিসপত্র বন্টন করে দেয়া হচ্ছে।

দুপুর ১:০০টায় গন্তব্যেস্থলের উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করে বিকাল ৩টার দিকে তারা গন্তব্যে পৌঁছেন। নির্ধারিত স্থানে পৌঁছে শিক্ষার্থীরা দলগতভাবে জঙ্গল থেকে বাঁশ, গাছ, লতাপাতা সংগ্রহ করে নিজেদের রাত্রীযাপনের জন্য তাঁবু খাটায়। তারা রান্নার জন্য লাকড়ি ও পাহাড়ের নিচ থেকে পানি সংগ্রহ করে সকলে মিলে রাতের খাবার প্রস্তুত করেন।

ক্যাম্প ফায়ারের গন্তব্যস্থলে রওনা দেয়ার প্রস্তুতি। 


ক্যাম্প ফায়ারের গন্তব্যস্থলের উদ্দেশ্যে যাচ্ছেন শিক্ষার্থীরা।

ক্যাম্প ফায়ার।

ক্যাম্পের মাঝখানে আগুন জ্বালিয়ে ক্যাম্প ফায়ার করা হয়। আগুনের চারদিকে গোল করে বসে পরিচয় পর্বের আয়োজন করা হয়। এ সময় ইউপিডিএফ’র সভাপতি প্রসীত বিকাশ খীসা অংশগ্রহণকারী শিশু-কিশোরদের উদ্দেশ্যে অডিও কলের মাধ্যমে শুভেচ্ছামূলক কথা বলেন। শেষে রাত ১০টার সময় সমসুরে ‘আমরা করবো জয়’ গানটি গেয়ে ক্যাম্প ফায়ারের প্রথম দিনের কার্যক্রম সমাপ্ত করা হয়।

২৬ ডিসেম্বর ভোর ৬টায় ঘুম থেকে উঠে প্রাকৃতিক কাজ সেরে প্রয়োজনীয় পানি সংগ্রহ করেন অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীরা। বিভিন্ন ধরণের পাহাড়ি আলু পুড়িয়ে ও বিন্নি চাল বাঁশের চোঙ্গায় রান্না করে কলা পাতায় পরিবেশন করা হয়।

বাঁশের চোঙ্গায় খাদ্য রান্না করা হচ্ছে। 


কলাপাতায় খাদ্য পরিবেশন।

ক্যাম্প ফায়ারে অংশ নেওয়া শিক্ষার্থীরা জঙ্গল থেকে বিভিন্ন ধরণের লতা-পাতা ও ফুল সংগ্রহ করে অস্থায়ী স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণ ও ফুলের তোড়া তৈরি করেন। পরে তারা নিজেদের তৈরি অস্থায়ী স্মৃতিস্তম্ভে ফুল দিয়ে পাহাড়ে অধিকার প্রতিষ্ঠার লড়াইয়ে আত্মোৎসর্গকারী সকল শহীদদের স্মরণে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। এরপর শহীদদের সম্মানে দাঁড়িয়ে ১ মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।

ক্যাম্প ফায়ারে অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীদের বুনো লতাপাতায় নির্মিত অস্থায়ী শহীদ স্মৃতিস্তম্ভ। 

নীরবতা পালন শেষে শিক্ষার্থীরা অস্থায়ী স্মৃতিস্তম্ভের সামনে দাঁড়িয়ে অন্যায়-অত্যাচার, দমন-পীড়নে বিরুদ্ধে সাধ্যমত প্রতিরোধ গড়ে তোলার ও ঐক্য সুদৃঢ় করার অঙ্গীকার করেন।

এ সময় বীর শহীদদের রক্ত বৃথা যেতে না দেওয়াসহ পার্টির দীর্ঘজীবন কামনা করে স্লোগান দেন তারা।

আনুষ্ঠানিকতা শেষে নাচ-গান পরিবেশনসহ আন্দোলন ও পরিবেশ সম্পর্কিত সচেতনতামূলক বক্তব্য প্রদানের মাধ্যমে ক্যাম্প ফায়ারের কর্মসূচি শেষ হয়।

ক্যাম্প ফায়ারে অংশগ্রহণকারীরা। 




সিএইচটি নিউজে প্রকাশিত প্রচারিত কোন সংবাদ, তথ্য, ছবি ,ভিডিও, কনটেন্ট ব্যবহার করতে হলে কপিরাইট আইন অনুসরণ করে ব্যবহার করুন।








0/Post a Comment/Comments