ঢাকা : ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট(ইউপিডিএফ)-এর ২১তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে ঢাকায় আলোচনা সভা করেছে পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ, গণতান্ত্রিক যুব ফোরাম, হিল উইমেন্স ফেডারেশন ও ইউনাইটেড ওয়ার্কার্স ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট(ইউডব্লিউডিএফ)।
পল্টনে মুক্তি ভবনের মৈত্রী মিলনায়তনে গতকাল বৃহস্পতিবার (২৬ ডিসেম্বর)
বিকেল ৩ টায় অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় হিল উইমেন্স ফেডারেশনের সভাপতি নিরুপা চাকমার সভাপতিত্বে
আলোচনা করেন পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের সভাপতি বিপুল চাকমা, গণতান্ত্রিক যুব ফোরামের সাধারণ
সম্পাদক জিকো ত্রিপুরা ও ইউডব্লিউডিএফ এর সহসাধারণ সম্পাদক প্রমোদ জ্যোতি চাকমা। সভা
পরিচালনা করেন গণতান্ত্রিক যুব ফোরামের সহসাধারণ সম্পাদক বরুন চাকমা।
“আমরা করবো জয়” গানটি বাজানোর মধ্য দিয়ে সভা উদ্বোধন করা হয়। এরপর উপস্থিত
সবাই স্যালুট প্রদানের মাধ্যমে ইউপিডিএফ-এর পতাকার প্রতি সম্মান জানান। পতাকা
স্যালুটের পরে আন্দোলনে শহীদদের প্রতি সম্মান জানিয়ে ১ মিনিট নিরবতা পালন করা হয়। নিরবতা
পালনের পর জনগণ ও কর্মিবাহিনীর প্রতি পার্টির বার্তা পড়ে শোনান সভা পরিচালক বরুন চাকমা।
আলোচনা সভায় আলোচকরা দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করে বলেন, বহু চড়াই উতরাই পেরিয়ে ইউপিডিএফ এগিয়ে চলেছে। গঠনলগ্ন থেকে শাসকগোষ্ঠী ও প্রতিক্রিয়াশীলদের ষড়যন্ত্র, বাধা ও হামলা মোকাবিলা করতে হয়েছে এবং এখনো অব্যাহতভাবে করতে হচ্ছে। প্রতিষ্ঠার পর থেকে কেন্দ্রীয় নেতাসহ তিন শতাধিক নেতা কর্মীকে হত্যা করা হয়েছে। পঙ্গুত্ববরণ করেছে অনেকে। কিন্তু এত ষড়যন্ত্র-হামলা সত্ত্বেও ইউপিডিএফ এর আন্দোলন দমানো যায়নি, ভবিষ্যতেও দমানো যাবে না। শত দমনপীড়ন-বাধাবিঘ্ন মোকাবিলা করে ইউপিডিএফ তার অভীষ্ট লক্ষ্য “পূর্ণস্বায়ত্তশাসন’’ প্রতিষ্ঠার আন্দোলন অবিচলভাবে চালিয়ে যাবে।
আলোচনা সভায় আলোচকরা দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করে বলেন, বহু চড়াই উতরাই পেরিয়ে ইউপিডিএফ এগিয়ে চলেছে। গঠনলগ্ন থেকে শাসকগোষ্ঠী ও প্রতিক্রিয়াশীলদের ষড়যন্ত্র, বাধা ও হামলা মোকাবিলা করতে হয়েছে এবং এখনো অব্যাহতভাবে করতে হচ্ছে। প্রতিষ্ঠার পর থেকে কেন্দ্রীয় নেতাসহ তিন শতাধিক নেতা কর্মীকে হত্যা করা হয়েছে। পঙ্গুত্ববরণ করেছে অনেকে। কিন্তু এত ষড়যন্ত্র-হামলা সত্ত্বেও ইউপিডিএফ এর আন্দোলন দমানো যায়নি, ভবিষ্যতেও দমানো যাবে না। শত দমনপীড়ন-বাধাবিঘ্ন মোকাবিলা করে ইউপিডিএফ তার অভীষ্ট লক্ষ্য “পূর্ণস্বায়ত্তশাসন’’ প্রতিষ্ঠার আন্দোলন অবিচলভাবে চালিয়ে যাবে।
আলোচকরা বলেন, দীর্ঘ ২১ বছর লড়াই সংগ্রামে ইউপিডিএফ জনগণের আস্থা অর্জন
করেছে। কারণ ইউপিডিএফ সবসময় জনগণের স্বার্থে আন্দোলন করে যাচ্ছে, জনগণের সুখে-দুঃখে
পাশে থাকছে এবং অব্যাহতভাবে সমাজ থেকে অন্যায়-অনাচার দূর করার কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। এজন্য
ইউপিডিএফ মানুষের কাছে সমাদৃত হয়েছে। অন্যদিকে শাসকগোষ্ঠীর লেজুড়-দালালদের মানুষ ঘৃণা
করছে। পাহাড়িদের মধ্যকার যারা শাসকগোষ্ঠীর কাছে দালালী করে ধ্বংসাত্মক কাজ করে যাচ্ছে
তারা ইতিহাসে আস্তাকুঁড়ে নিক্ষিপ্ত হবে বলে আলোচকরা মন্তব্য করেন।
----------