""

বাঘাইছড়িতে বৌদ্ধ ভাবনা কুটিরের স্থানে ‘প্রত্যাহারকৃত আর্মি ক্যাম্প’ লেখা বিজ্ঞপ্তি


বাঘাইছড়ি প্রতিনিধি, সিএইচটি নিউজ।। 
 রাঙামাটির বাঘাইছড়ি উপজেলার সার্বোয়াতলী ইউনিয়নের নোয়াপাড়া এলাকার রেগাছড়া গ্রামে ‘মহাসাতি পট্ঠান ভাবনা কুটির’ নামে এক বৌদ্ধ ভাবনা কুটিরের প্রবেশ মুখে টাঙানো হয়েছে ‘প্রত্যাহারকৃত আর্মি ক্যাম্প’ লেখা একটি বিজ্ঞপ্তি। সেনাবাহিনীর লোগো সম্বলিত উক্ত বিজ্ঞপ্তিতে কুটিরের এলাকাটিকে ‘সংরক্ষিত এলাকা’ উল্লেখ করে বিঃ দ্রঃ দিয়ে লেখা রয়েছে ‘কোনো প্রকার স্থাপনা নির্মাণ, মাটিকাটা, মাপযোগ করা সহ চলাফেরা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ’ [‘মাপযোগ’ বানানটি ভুল]।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত শনিবার (৫ জুন ২০২১) বাঘাইছড়ির ২৭ বিজিবি মারিশ্যা জোনের অধীন নিউ ফরেস্ট (চিন্তারামছড়া) বিজিবি ক্যাম্পের একদল বিজিবি সদস্য সেখানে গিয়ে ‘ভাবনা কুটির’ এলাকার প্রবেশ মুখে উক্ত বিজ্ঞপ্তিটি টাঙিয়ে দেয়। এরপর সেখান থেকে চলে যাওয়ার সময় বিজিবি সদস্যরা ভাবনা কুটির পরিচালনা কমিটির সদস্যদের ডেকে ‘ঐ এলাকায় কোন নির্মাণকাজ করলে অথবা কোনো গাছ লাগালে ব্যবস্থা নেয়া হবে’ বলে হুমকি দিয়ে যায় বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

এলাকাবাসী জানান, মতিলাল চাকমা নামে এক গ্রামবাসী দীর্ঘ বছর ধরে উক্ত জায়গাটি ভোগদখল করে আসছিলেন। মতিলালের মৃত্যুর পর তার স্ত্রী ও পরিবার জায়গাটি ভোগদখল ও দেখাশোনা করে আসছেন। বর্তমানে সেখানে কাঠালসহ বিভিন্ন ফলের বাগান রয়েছে।

পার্বত্য চুক্তির আগে ঐ এলাকায় একটি সেনা ক্যাম্প থাকলেও চুক্তি স্বাক্ষরের পরপরই চুক্তির শর্ত মোতাবেক ঐ ক্যাম্পটি সেখান থেকে প্রত্যাহার করা হয়।

পরবর্তীতে ২০০৮ সালের দিকে এলাকাবাসীর উদ্যোগে ঐ এলাকায় ‘মহাসাতি পট্ঠান ভাবনা কুটির’ নামে একটি বৌদ্ধ ভাবনা কুটির স্থাপন করা হয়। সেখানে একজন বৌদ্ধ ভিক্ষু রয়েছেন এবং ভাবনা কুটিরের বিভিন্ন নির্মাণ কাজ চলমান রয়েছে বলে স্থানীয়রা জানান।

প্রসঙ্গত, পার্বত্য চুক্তির ঘ খন্ডের ১৭ নং ধারার (খ)-তে স্পষ্টভাবে উল্লেখ রয়েছে- ‘সামরিক ও আধা-সামরিক বাহিনীর ক্যাম্প ও সেনানিবাস কর্তৃক পরিত্যক্ত জায়গা-জমি প্রকৃত মালিকের নিকট অথবা পার্বত্য জেলা পরিষদের নিকট হস্তান্তর করা হইবে’।






0/Post a Comment/Comments