""

রামগড়ে পাহাড়ি নারীকে ধর্ষণের ঘটনায় তিন আসামিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ


খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি, সিএইচটি নিউজ
বুধবার, ২৮ আগস্ট ২০২৪

খাগড়াছড়ির রামগড় উপজেলার পাতাছড়া ইউনিয়নের রাজারঘাট গ্রামে পাহাড়ি নারীকে (৫০) সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় এজাহারভুক্ত তিন আসামিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

গ্রেফতার আসামিরা হলো- মো. ইউসুফ, মো. রানা ও মো. ফয়সাল।

আজ বুধবার (২৮ আগস্ট ২০২৪) দুপুরে খাগড়াছড়ি পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে আয়োজিত প্রেস ব্রিফিংয়ে আসামিদের গ্রেফতারের এ তথ্য জানান পুলিশ সুপার মুক্তা ধর।

তবে গতকাল (মঙ্গলবার) সন্ধ্যা ৭টার সময় আসামিদের গ্রেফতারের তথ্য পাওয়া যায়।

প্রেস ব্রিফিংয়ে পুলিশ সুপার বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে চট্টগ্রামের ভুজপুর থানাধীন হেঁয়াকো বাজারে অভিযান চালিয়ে এজাহারভুক্ত আসামী মো. ইউসুফ ও মো. রানাকে গ্রেফতার করা হয়। এছাড়া রামগড়ের নাকাপা থেকে অপর আসামী মো. ফয়সালকে গ্রেফতার করা হয়।

পুলিশ সুপার আরও বলেন, গ্রেফতারকৃতরা প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ঘটনার সাথে সম্পৃক্ততার কথা স্বীকার করেছে। তাদের আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, গত ২২ আগস্ট রাত ১১টার সময় ৬/৭ জনের একদল সেটলার বাঙালি রামগড়ের পাতাছড়া ইউনিয়নের রাজারঘাট গ্রামের নিজ বাড়ি থেকে ভুক্তভোগী ওই নারী ও তার কিশোরী মেয়েকে ধরে নিয়ে যায়। সেটলাররা তাদেরকে একটি কলাবাগানের ভিতর নিয়ে গিয়ে ওই নারীকে সংঘবদ্ধভাবে ধর্ষণ করে। তবে ভুক্তভোগী নারীর মেয়ে ধস্তাধস্তি করে সেখান থেকে পালিয়ে গিয়ে ঘটনাটি প্রতিবেশিদের জানালে তা জানাজানি হয়। এরপর লোকজন এগিয়ে যাওয়ার শব্দ পেয়ে ধর্ষকরা ওই নারীকে ছেড়ে দিয়ে পালিয়ে যায়।

উক্ত ঘটনার প্রতিবাদে ইউপিডিএফভুক্ত সংগঠনগুলো বিভিন্ন জায়গায় বিক্ষোভ প্রদর্শন করে।

ঘটনার পরদিন ভুক্তভোগী নারী রামগড় থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেন। এতে উক্ত তিনজনসহ অজ্ঞাত আরো ৩/৪ জনকে আসামি করা করা হয়।

কিন্তু মামলার পরও পুলিশ আসামীদের গ্রেফতার না করায় ২৬ আগস্ট পার্বত্য চট্টগ্রাম নারী সংঘের রামগড় উপজেলা শাখা খাগড়াছড়ি প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে অপরাধীদের গ্রেফতারের দাবি জানায়।

এদিকে, গতকাল (২৭ আগস্ট) ধর্ষকদের গ্রেফতার ও শাস্তির দাবিতে খাগড়াছড়ি ও রাঙামাটিতে ‘সংঘাত ও বৈষম্য বিরোধী পাহাড়ি ছাত্র আন্দোলন’র শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেন। শিক্ষার্থীরা খাগড়াছড়ি জেলা প্রশাসকের কার্যালয় ঘেরাও করে অপরাধীদের গ্রেফতারের আল্টিমেটাম দেন। এ সময় পুলিশ সুপার মুক্তা ধর ৪৮ ঘন্টার মধ্যে অপরাধীদের গ্রেফতারের আশ্বাস দেন।

অন্যদিকে স্থানীয় এলাকাবাসীর পক্ষ থেকেও রামগড় থানার ওসিকে অপরাধীদের গ্রেফতার করা না হলে থানা ঘেরাও করার হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়।

এরপর গতকাল সন্ধ্যায় তিন আসামিকে গ্রেফতার করে পুলিশ। 

তবে আসামিরা গ্রেফতার হলেও ঘটনার সুষ্ঠু বিচার ও অপরাধীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হবে কিনা তা নিয়ে অনেকে সন্দেহ প্রকাশ করছেন। 



সিএইচটি নিউজে প্রকাশিত প্রচারিত কোন সংবাদ, তথ্য, ছবি ,ভিডিও, কনটেন্ট ব্যবহার করতে হলে কপিরাইট আইন অনুসরণ করে ব্যবহার করুন।


 





0/Post a Comment/Comments