""

কারামুক্ত হলেন পিসিপি নেতা কুনেন্টু চাকমা

  মুক্তি পাওয়ার পর কুনেন্টু চাকমা

রাঙামাটি প্রতিনিধি, সিএইচটি নিউজ
বৃহস্পতিবার, ১৭ অক্টোবর ২০২৪

দুইবার জেল গেইটে পুনঃগ্রেফতারের শিকার হওয়ার পর অবশেষে কারাগার থেকে মুক্তি পেয়েছেন বৃহত্তর পার্বত্য চট্টগ্রাম পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ (পিসিপি)-এর কেন্দ্রীয় সহসভাপতি কুনেন্টু চাকমা।

গতকাল বুধবার (১৬ অক্টোবর ২০২৪) সন্ধ্যায় রাঙামাটি জেলা কারাগার থেকে দীর্ঘ প্রায় ৬ বছর (৫ বছর ৮ মাস) পর জামিনে মুক্তি পান তিনি।

কারাগার থেকে বের হয়ে কুনেন্টু চাকমা সহযোদ্ধাদের মাঝে ফিরে আসার সংবাদ পেয়ে রাঙামাটির কুদুকছড়িতে অপেক্ষারত পিসিপির রাঙামাটি জেলা সভাপতি তনুময় চাকমার নেতৃত্বে পিসিপি ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা তাঁকে রিসিভ করেন ও তাঁর সাথে কুশল বিনিময় করেন। এছাড়া পিসিপির কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দও ফোনে তাঁর সাথে কথা বলেন এবং তাঁর শারীরিক অবস্থা সম্পর্কে জেনে নেন।

আজ বৃহস্পতিবার (১৭ অক্টোবর) পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের সভাপতি অঙ্কন চাকমা ও সাধারণ সম্পাদক অমল ত্রিপুরা সংবাদ মাধ্যমে প্রদত্ত এক বিবৃতিতে কুনেন্টু চাকমার জামিনে মুক্তির বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

বিবৃতিতে নেতৃদ্বয় বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামে পাহাড়ি জাতিসত্তাসমূহের অস্তিত্ব রক্ষার্থে ও পূর্ণস্বায়ত্তশাসনের অধিকার প্রতিষ্ঠার করতে গিয়ে পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের নেতা-কর্মীরা শাসকগোষ্ঠীর নিষ্ঠুর দমন-পীড়ন, নির্যাতন ও জেল-জুলুম শিকার হচ্ছে। তারই উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত হচ্ছে কুনেন্টু চাকমা। রাষ্ট্রীয় বাহিনী তাকে ২০১৯ সালে বিনা কারণে গ্রেফতার করার পর মিথ্যা মামলা দিয়ে কারাগারে পাঠায়। এরপর আদালতের জামিন নিয়ে দুইবার কারাগার থেকে বের হলেও সেনা—গোয়েন্দা সংস্থার লোকজন তাকে জেল গেইট পুনঃগ্রেফতার করে নির্যাতন ও নতুন মিথ্যা মামলা দিয়ে পুনরায় কারাগারে পাঠিয়ে দিয়ে বন্দী করে রাখে। যার কারণে তাকে দীর্ঘ প্রায় ৬ বছর কারাগারের অন্ধকার প্রকোষ্ঠে দিন কাটাতে হয়েছে।

২০১৯ সালের ২ ফেব্রুয়ারি সেনাবাহিনী কর্তৃক গ্রেফতারের পর কুনেন্টু চাকমাকে পুলিশের নিকট সোপর্দ করে মিথ্যা মামলা দিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়।

নেতৃদ্বয়, শাসকগোষ্ঠীর সকল ষড়যন্ত্র, নিপীড়ন-নির্যাতন ও বাধা উপেক্ষা করে কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্য অর্জন না হওয়া পর্যন্ত পিসিপির নেতা-কর্মীরা লড়াই সংগ্রামে অবিচল থাকবে বলে দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।

বিবৃতিতে নেতৃদ্বয় অবিলম্বে ইউপিডিএফের কেন্দ্রীয় নেতা আনন্দ প্রকাশ চাকমাসহ আটক সকল নেতা-কর্মীদের মুক্তি দেয়ার দাবি জানান।

উল্লেখ্য, বিগত ২০১৯ সালের ২ ফেব্রুয়ারি রাঙামাটির কুদুকছড়িতে সাংগঠনিক কাজে থাকা অবস্থায় সেনাবাহিনী কুনেন্টু চাকমাকে অন্যায়ভাবে গ্রেফতার করে থানায় হস্তান্তর করে। এ সময় অস্ত্র ও চাঁদাবাজির মিথ্যা মামলা দিয়ে তাকে রাঙামাটি কারাাগরে পাঠানো হয়। এরপর ২০২১ সালের ২২ সেপ্টেম্বর ও গত ৩ আগস্ট ২০২৩ দু’দফায় আদালতের জামিন আদেশের পর কারাগার থেকে মুক্তি পেলেও সেনা-গোয়েন্দা সংস্থার লোকজন সম্পূর্ণ অন্যায়ভাবে তাকে জেল গেইট থেকে পুনঃগ্রেফতার করে নতুন মিথ্যা মামলা দিয়ে পুনরায় কারাগারে পাঠায়।

কুনেন্টু চাকমাকে গ্রেফতারের পর থেকে পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ তাঁর মুক্তির দাবি জানিয়ে প্রতিবাদ-বিক্ষোভ করে আসছিল।



সিএইচটি নিউজে প্রকাশিত প্রচারিত কোন সংবাদ, তথ্য, ছবি ,ভিডিও, কনটেন্ট ব্যবহার করতে হলে কপিরাইট আইন অনুসরণ করে ব্যবহার করুন।









0/Post a Comment/Comments