""

সংসদে নারী আসন বৃদ্ধিসহ ৫ প্রস্তাব পার্বত্য চট্টগ্রামসহ দেশের ১৪ নারী সংগঠনের

সভায় বক্তব্য রাখছেন পার্বত্য চট্টগ্রাম নারী সংঘের সভাপতি কণিকা দেওয়ান।

ঢাকা প্রতিনিধি, সিএইচটি নিউজ
বুধবার, ১ জানুয়ারি ২০২৫

জাতীয় সংসদে নারী আসন বৃদ্ধিসহ ৫টি প্রস্তাবনা দিয়েছে পার্বত্য চট্টগ্রামসহ দেশের ১৪টি নারী সংগঠন।

গত সোমবার (৩০ ডিসেম্বর ২০২৪) “সংসদে নারী আসন এবং নারী প্রতিনিধির নির্বাচন পদ্ধতি” নিয়ে ঢাকায় ১৪টি নারী সংগঠনের মধ্যেকার এক আলোচনা সভায় এ প্রস্তাবনা উত্থাপন করা হয়।

রাজধানীর ‘নারী গ্রন্থ প্রর্বতনায়’ অনুষ্ঠিত উক্ত সভায় নেতৃবৃন্দগণ নিজ নিজ সংগঠনের পক্ষে বক্তব্য প্রদান ও প্রস্তাবনা পেশ করেন।

সভায় সভাপতত্বি করেন নারী গ্রন্থ প্রবর্তনার সীমা দাশ শিমু এবং সঞ্চালনা করেন নারী সংহতির সভাপতি শ্যামলী শীল।

এতে পার্বত্য চট্টগ্রাম থেকে উপস্থতি ছিলেন পার্বত্য চট্টগ্রাম নারী সংঘরে সভাপতি কণিকা দেওয়ান ও হিল উইমেন্স ফেডারেশনের সভাপতি নীতি চাকমা।

সভায় নারী সংঘের সভাপতি কণিকা দেওয়ান পার্বত্য চট্টগ্রামে শুধু পাহাড়ি নারীদের জন্য একটি নারী আসনের ব্যবস্থা রাখার প্রস্তাব রেখে বলেন, অতীতে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের মনোনীত নারী সাংসদগণ পাহাড়ি হওয়া সত্বেও সংসদে জনগণের ও বিশেষত পাহাড়ি নারীদের সুখ, দুঃখ, আশা-আকাঙ্ক্ষা ও দাবি দাওয়া তুলে ধরতে ব্যর্থ হয়েছেন এবং নিজ দলের ও ব্যক্তিগত বিষয়গুলো বেশী প্রাধান্য দিয়েছেন। তারা যেহেতু জনগণের প্রত্যক্ষ ভোটে নির্বাচিত হন না তাই জনগণের প্রতিও তাদের কোন দায়বদ্ধতা থাকে না।

উক্ত নারী আসনে কেবলমাত্র পাহাড়ি ভোটারদের প্রত্যক্ষ ভোটে নির্বাচনের মাধ্যমে উক্ত প্রতিনিধি নির্বাচিত হবেন এবং অন্য সংসদ সদস্যদের অনুরূপ সুযোগ-সুবিধা ও অধিকার ভোগ করবেন বলেও প্রস্তাবে তিনি উল্লেখ করেন।


সভা শেষে সর্বসম্মতিক্রমে সংসদে নারী আসন বৃদ্ধিসহ ৫টি প্রস্তাবনা চূড়ান্ত করা হয়।

প্রস্তাবনাগুলো হলো:

  • সংসদে আসন সংখ্যা ৩০০ থেকে ৪০০ তে উন্নীত করতে হবে, যেখানে নতুন ১০০টি আসন নারীদের জন সুনির্দিষ্ট করতে হবে এবং শুধু নারী প্রার্থীরা সরাসরি নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে।
  • ১০০ টি আসন ৬৪ জেলার মধ্যে জনসংখ্যার অনুপাতে ভাগ হয়ে যাবে যেখানে কমপক্ষে প্রতিটি জেলায় ১টি নারী আসন থাকবে, যাতে সর্বমোট ১০০টি আসন নিশ্চিত হয়।
  • এক জেলার মধ্যে যে আসনটি ১মবার সংরক্ষিত থাকবে পরবর্তী মেয়াদে সেটা সরাসরি আসন হিসেবে বিবেচিত হবে এইভাবে এক জেলার মধ্যে নারী আসন ঘূর্ণায়মান পদ্ধতিতে চলবে। ফলে নতুন নারী নেতৃত্ব তৈরি হবে।
  • ৩ পার্বত্য জেলাসহ (অন্তত দুটি জেলায় পাহাড়ি আদিবাসী নারী) এবং অন্যান্য আদিবাসী অধ্যূষিত জেলাগুলোতে আদিবাসী নারীদের প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করতে হবে।
  • রাজনৈতিক দলগুলো সকল নির্বাচনে মনোনীত সদস্যদের মধ্যে অন্ত:ত ৩৩% নারী মনোনয়ন দিবে। পর্যায়ক্রমে এই হার জনসংখ্যায় নারীর সংখ্যা অনুপাতে বৃদ্ধি করতে হবে।

উক্ত প্রস্তাবনাগুলো তারা গতকাল (৩১ ডিসেম্বর) নির্বাচন সংস্কার কমিশনের বরাবরে পেশ করেছেন বলে জানা গেছে।

উক্ত সভায় অংশগ্রহণকারী সংগঠনসমূহ হলো- ক্ষুদ্ধ নারী সমাজ, নারী পক্ষ, বাংলাদেশ নারী শ্রমিক কেন্দ্র, নারীগ্রন্থ প্রবর্তনা, নারী সংহতি, হিল উইমেন্স ফেডারেশন, পার্বত্য চট্টগ্রাম নারী সংঘ, স্পেস ফাউন্ডেশন, বাংলাদেশ শ্রমজীবী নারী মৈত্রী, সমাজতান্ত্রীক নারী জোট, বাংলাদেশ লেখক সংঘ, নাগরিক নারী ঐক্য, নারী মুক্তি কেন্দ্র ও বিপ্লবী নারী ফোরাম।



সিএইচটি নিউজে প্রকাশিত প্রচারিত কোন সংবাদ, তথ্য, ছবি ,ভিডিও, কনটেন্ট ব্যবহার করতে হলে কপিরাইট আইন অনুসরণ করে ব্যবহার করুন।







0/Post a Comment/Comments