""

রামগড়ে বিভিন্ন স্থানে সেনা-বিজিবি'র যৌথ অবস্থান, জনমনে আতঙ্ক


রামগড় প্রতিনিধি, সিএইচটি নিউজ
সোমবার, ৬ জানুয়ারি ২০২৫

খাগড়াছড়ির রামগড় উপজেলার বিভিন্ন স্থানে গতকাল (৫ জানুয়ারি) থেকে সেনা ও বিজিবি সদস্যদের অবস্থানের কারণে এলাকার জনমনে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গতকাল (৫ জানুয়ারি) বিকাল ৫টার সময় বাটনাতলী আর্মি ক্যাম্প থেকে ৫টি গাড়ি যোগে সেনা সদস্যরা রামগড় উপজেলার ২নং পাতাছড়া ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের সালদা নামক গ্রামে গিয়ে অবস্থান নেয়। অপরদিকে একই সময়ে তৈচালা বিজিবি জোন ও খেদা সাব-ক্যাম্প থেকে ৩০ জনের একদল বিজিবি সদস্যও সেখানে এসে সেনা সদস্যদের সাথে যোগ দেয়।

সালদায় অবস্থানরত যৌথ বাহিনীর সদস্যদের মধ্য থেকে ২৫-৩০ জনের একটি দল গতকাল রাত ৯টার দিকে বড় বেলছড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গিয়ে অবস্থান নেয়। এছাড়া যৌথবাহিনীর অন্য সদস্যরা কয়েকটি গ্রুপে ভাগ হয়ে বিভিন্ন স্থানে অবস্থান করছে বলে জানা গেছে।

আজ সোমবার (৬ জানুয়ারি ২০২৫) সকাল ১০টার দিকে সেনাদের একটি দল ছোট বেলছড়ি ও হাচৌকপাড়া গ্রামে যায়। এ সময় সেনা সদস্যরা হাচৌকপাড়ায় জনৈক এক পাহাড়ি দোকানদারের কাছ থেকে “এখানে কি ইউপিডিএফ থাকে? গ্রামের কার্বারীর নাম কি? রনি কোথায় থাকে, তার নাম্বার আছে কিনা? ইত্যাদি প্রশ্ন করে হয়রানি করেন।

সেনা সদস্যরা দোকানদারকে আরও বলেন, ‘তোমরা কি আমাদেরকে ভাত খাওয়াতে পারবে? যদি ভাত খাওয়াতে পারো তাহলে আমরা এখানে অবস্থান করবো”।

দুপুরে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী সেনা সদস্যরা হাচৌক পাড়ায় রনি দোকানের পাশে অস্থায়ী ছাউনি তৈরি করে অবস্থান করছে বলে জানা গেছে। অপরদিকে তৈচালা বিজিবি জোন থেকে আরও ৩০ জনের একটি দল সালদার পার্শ্ববর্তী গ্রাম কংপ্রু পাড়ায় অবস্থান নিয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে।

এমতাবস্থায় নাম প্রকাশের অনিচ্ছুক এলাকার সচেতন লোকজন এ প্রতিবেদককে বলেছেন, বিভিন্ন স্থানে সেনা ও বিজিবি সদস্যদের অবস্থানের কারণে সাধারণ জনগণ আতঙ্কে রয়েছেন। ‘রাত-বিরাতে অযথা তল্লাশি-জিজ্ঞাসাবাদ. আটকসহ নানা হয়রানির শিকার হতে পারেন’—সাধারণ জনগণ এমন আশঙ্কা করছেন বলেও তারা জানান।



সিএইচটি নিউজে প্রকাশিত প্রচারিত কোন সংবাদ, তথ্য, ছবি ,ভিডিও, কনটেন্ট ব্যবহার করতে হলে কপিরাইট আইন অনুসরণ করে ব্যবহার করুন।







0/Post a Comment/Comments