নান্যাচর প্রতিনিধি, সিএইচটি নিউজ
রবিবার, ৫ জানুয়ারি ২০২৫
রাঙামাটির নান্যাচর ও বন্দুকভাঙা এলাকা থেকে গতকাল (৪ জানুয়ারি) সেনাবাহিনী কর্তৃক আটক ৭ জনকে ২২ ঘন্টা পর নান্যাচর সেনাজোন থেকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে।
আজ রবিবার (৫ জানুয়ারি ২০২৫) বিকাল ৪টায় নান্যাচর
সদর ইউনয়ন ও বুড়িঘাট ইউনিয়নের চেয়ারম্যাদের উপস্থিতিতে তাদেরকে ছেড়ে দেওয়া হওয়া হয়
বলে জানা গেছে।
এর আগে গতকাল (৪ জানুয়ারি) সন্ধ্যা ৬টা থেকে ৭টার মধ্যে সেনাবাহিনীর সদস্যরা নান্যাচর ও বন্দুকভাঙা এলাকার বিভিন্ন গ্রাম থেকে তাদেরকে আটক করে নান্যাচর জোনে নিয়ে যাওয়া হয়।
ভুক্তভোগী ব্যক্তিরা হলেন- নান্যচর সদর ইউনয়নের খুল্যাং পাড়া গ্রামের বাসিন্দা রবিন চাকমা (২০), পিতা-প্রজিত চাকমা ও বুড়িঘাট ইউনিয়নের ভাঙামুড়ো গ্রামের বাসিন্দা অমর কান্তি চাকমা (৩৫) পিতা- কষ্টআলী চাকমা, ইমন চাকম (২০), পিতা- রাজ মোহন চাকমা, অমল বিকাশ চাকমা (৩৫) পিতা- চন্দ্রসেন চাকমা এবং বন্দুকভাঙা ইউনিয়নের ত্রিপুরাছড়া গ্রামের বাসিন্দা ভদ্রসেন চাকমা (৩৬) পিতা- কামিনী রঞ্জন চাকমা, লেত্তো চাকমা (১৭) পিতা- বিশ্বজিৎ চাকমা ও মধু চাকমা (৪৫), পিতা- অজ্ঞাত।
জানা গেছে, আটকের বিষয়ে নান্যাচর জোন কমাণ্ডার (১৭ ইস্ট বেঙ্গল) লে. কর্নেল তানভীর আহমেদ সাদী (পিএসপি) জনপ্রতিনিধিদের বলেছেন, উক্ত ব্যক্তিদের তার জোনের সেনারা আটক করেনি। তাদেরকে ৫৬ বেঙ্গলের (মহালছড়ি জোন) সেনারা আটক করেছে জানিয়ে তিনি বলেন, তার খারিক্ষ্যং এলাকায় অবস্থান করার কারণে গতকাল (শনিবার) আটক ব্যক্তিদের ছেড়ে দেয়া সম্ভব হয়নি।
এ সময় উক্ত ব্যক্তিদের আটকের কারণ সম্পর্কে জোন কমাণ্ডার বলেছেন, “এরা সাধারণ লোক। কিছু সন্দেহের বশে অন্য জোনের সেনা সদস্যরা তাদেরকে আটক করেছে। আমার জোন থেকে এটা করা হয়নি”।
এদিকে, নিরীহ লোকজনকে এভাবে হয়রানির ঘটনায়
এলাকার সাধারণ জনগণ নানা আশঙ্কার মধ্যে রয়েছেন। এলাকার জনপ্রতিনিধি ও মুরুব্বীরা আগামীতে
যাতে এভাবে আর সাধারণ মানুষ হয়রানির শিকার না হন সেজন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি
আকর্ষণ করেছেন।
সিএইচটি নিউজে প্রকাশিত প্রচারিত কোন সংবাদ, তথ্য, ছবি ,ভিডিও, কনটেন্ট ব্যবহার করতে হলে কপিরাইট আইন অনুসরণ করে ব্যবহার করুন।