রাঙামাটি,
সিএইচটিনিউজ
মঙ্গলবার,
০৪ আগস্ট ২০২০
রাঙামাটি সদর উপজেলার বালুখালির কাইন্দা এলাকায় একটি বৌদ্ধ বিহারে আষাঢ়ি পূর্ণিমা
উপলক্ষে আয়োজিত ধর্মীয় অনুষ্ঠান চলাকালে একদল সেনা সদস্য হানা দেয়। এ সময়
সেনারা বিহারটি ঘেরাও করে অনুষ্ঠানে অংশ নেওয়া কয়েকজনকে ডেকে নিয়ে হয়রানিমূলক জিজ্ঞাসাবাদ করে এবং এক জুম্মর দোকান তল্লাশি করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা
গেছে, গতকাল (৩ আগস্ট ২০২০) সকাল প্রায় ১০:৩০ টার দিকে বালুখালির রাজমনি পাড়া সেনা
ক্যাম্পের মো: সোলেমানের নেতৃত্বে একটি সেনাদল এবং সুবলং বাজার সেনা ক্যাম্পের
জনৈক কম্যান্ডারের নেতৃত্বে আরেকটি দল কাইন্দা ব্রিজের দোকানে এসে মিলিত হয়।
এরপর সেনাসদস্যরা দুটি দলে ভাগ হয়ে একটি দল ব্রিজের দোকানগুলোতে তল্লাশি চালায়। বিশেষ করে মঙ্গল রঞ্জন চাকমার দোকানে তল্লাশির নামে ক্যাশ বাক্সসহ জিনিসপত্র তছনছ করে দেয়। আর অপর দলটি কাইন্দা দোজরি পাড়া জয়দ্বীপ বৌদ্ধ বিহারের দিকে যায়।
বিহারের দিকে যাওয়া সেনাদলটি আষাঢ়ি পূর্ণিমা উপলক্ষে আয়োজিত ধর্মীয় অনুষ্ঠানে হানা দেয়। এ সময় প্রায় ৩০০-৪০০ লোকের উপস্থিতিতে অনুষ্ঠান চলছিল। সেনারা বৌদ্ধ বিহার এলাকাটি ঘেরাও করে। এসময় বৌদ্ধ ভিক্ষুরা ধর্মীয় দেশনা দিচ্ছিলেন বলে জানা গেছে।
সেনা সদস্যরা অনুষ্ঠান স্থল থেকে চার
ব্যক্তিকে ব্রিজের পার্শ্ববর্তী বসন্ত সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নিয়ে গিয়ে নানা
বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে।
জিজ্ঞাসাবাদের শিকার ব্যক্তরা হলেন- ১.
সঞ্চয় চাকমা(৫৮), পীং-মৃত গুলমূয়া চাকমা, নির্বাচিত সদস্য, ৪নং ওয়ার্ড বালুখালী
ইউনিয়ন; ২. রহিম বাদশা তঞ্চঙ্গ্যা (৬২), পীং-মৃত পালক্যা তঞ্চঙ্গ্যা, গ্রাম-ডাইনে
কাইন্দ্যা তঞ্চঙ্গ্যা পাড়া, তিনি একজন কার্বারি; ৩. গান্ধী লাল কার্বারী (৫৫),
পীং-মৃত নিশি কুমার চাকমা, গ্রাম- দোজরী পাড়া; ৪. প্রেম লাল কার্বারী (৪৫),পীং-মৃত
অভিমূন্য কার্বারী, গ্রাম-এগজ্যা ছড়ি।
পরে দুপুর ২টার দিকে সেনা সদস্যরা নিজ
নিজ ক্যম্পে ফিরে যায় বলে জানা গেছে।
তথ্যসূত্র: হিল ভয়েস