রাঙামাটি, সিএইচটি নিউজ ।। রাঙামাটির বরকল উপজেলার বরকল ইউনিয়ন থেকে সেনাবাহিনী ও তাদের মদদপুষ্ট সন্ত্রাসী কর্তৃক বরকল ইউনিয়ন এলাকা থেকে ৬ পাহাড়ি গ্রামবাসীকে তুলে নিয়ে যাওয়ার প্রায় ২৭ ঘন্টার পর রাঙামাটি সদর এলাকা থেকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে।
গতকাল মঙ্গলবার (২৪ আগস্ট ২০২১) বিকালে তাদেরকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়।
ভুক্তভোগী গ্রামবাসীরা হলেন- ১. শান্তিপ্রিয় চাকমা (৫০), পিতা-নতুন লাল চাকমা, গ্রাম-বাঙাল বাচ্চে, বরকল ইউনিয়ন; ২. বুদ্ধমনি চাকমা (৬২), পিতা-আবুচন্দ্র চাকমা, গ্রাম-ডাকভাঙ্গা, বরকল ইউনিয়ন; ৩. মঙ্গলবুদ্ধ চাকমা (৩৮), পিতা-মৃত সতিলাল চাকমা, গ্রাম-বাঙ্গাল বাচ্চে, বরকল ইউনিয়ন; ৪. সুমন চাকমা (৩২), পিতা-মৃত গুনচক্র চাকমা, গ্রাম-করকুটিছড়ি, বরকল ইউনিয়ন; ৫.হিরণ শান্তি চাকমা (৩৪), পিতা-অজ্ঞাত, গ্রাম-অজ্ঞাত ও (৬) দলাপুনা চাকমা (৭০), বড় হরিণা ইউনিয়ন।
এর মধ্যে শান্তিপ্রিয় চাকমা বরকল ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের একজন নির্বাচিত সদস্য বলে জানা গেছে। আর দলাপুনো চাকমা একজন বৈদ্য (প্রথাগত চিকিৎসক)। জনৈক গ্রামবাসী এক রোগীকে চিকিৎসার উদ্দেশ্যে তাকে বাঙাল বাচ্চে গ্রামে নিয়ে আসেন।
জানা যায়, গতকাল বিকাল আনুমানিক ৩ টার দিকে জুরাছড়ি উপজেলাধীন ভিজা হিজিং সেনা ক্যাম্পের একটি সেনাদল সুবলং বাজার এলাকায় অবস্থানকারী সন্ত্রাসীদের কয়েকজনকে সাথে নিয়ে বরকল ইউনিয়ন এলাকায় যায়। এরপর সেনা ও সন্ত্রাসীরা মিলে উক্ত ছয় গ্রামবাসীকে নিজ নিজ বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে ট্রলার বোটে করে নিয়ে যায়। সেনা সদস্যদের সাথে থাকা চার সন্ত্রাসীর মধ্যে অমর ধন চাকমার নাম জানা গেছে।
সেদিনই সন্ধ্যার দিকে উক্ত ছয় গ্রামবাসীকে জুরাছড়ি সেনা জোনে নিয়ে যাওয়া হয় এবং সেখানে সারারাত আটক রাখা হয়।
এরপর আজ বুধবার (২৫ আগস্ট) সকালের দিকে তাদেরকে রাঙামাটি সদর এলাকায় আনা হয় এবং সেখান থেকে সন্ধ্যার দিকে সবাইকে ছেড়ে দেওয়া হয় বলে জানা গেছে।