পানছড়ি প্রতিনিধি, সিএইচটি নিউজ
শনিবার, ৫ এপ্রিল ২০২৫
গণতান্ত্রিক যুব ফোরামের ২৩তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে খাগড়াছড়ির পানছড়িতে
আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আজ শনিবার (৫ এপ্রিল ২০২৫) সকাল ১১টায় গণতান্ত্রিক যুব ফোরামের পানছড়ি উপজেলা
শাখা এই আলোচনা সভার আয়োজন করে। সভায় পানছড়ির বিভিন্ন এলাকা থেকে আড়াই শতাধিক যুবক
অংশগ্রহন করেন।
“অস্তিত্ব ধ্বংসের কবল থেকে জাতিকে রক্ষার্থে যুবশক্তি পূর্ণস্বায়ত্তশাসনের
পতাকা তলে সমবেত হও, প্রতিরোধ গড়ে তোল” শ্লোগানে আয়োজিত সভায় গণতান্ত্রিক যুব ফোরামের পানছড়ি পানছড়ি উপজেলা সাধারণ সম্পাদক পরান্টু চাকমার
সভাপতিত্বে ও সদস্য রমেল চাকমার সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন, গণতান্ত্রিক যুব ফোরাম কেন্দ্রীয়
সাধারণ সম্পাদক বরুন চাকমা, ইউপিডিএফ পানছড়ি সমন্বয়ক আইচুক ত্রিপুরা, পার্বত্য চট্টগ্রাম
নারী সংঘের কেন্দ্রীয় অর্থ সম্পাদক মানিকপুদি চাকমা, পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের খাগড়াছড়ি
জেলা সাধারণ সম্পাদক তৃষ্ণাঙ্কর চাকমা, ইউপিডিএফের স্থানীয় সংগঠক নিরব ত্রিপুরা। এতে
স্বাগত রাখেন যুব ফোরামের জেলা সহ-সাধারণ সম্পাদক পিংকু চাকমা। এছাড়া মঞ্চে আরো উপস্থিত
ছিলেন নারী সংঘের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক পরিণীতা চাকমা।
আলোচনা সভা শুরুতে শহীদদের স্মরণে দাঁড়িয়ে ১ মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।
সভায় যুবনেতা বরুন চাকমা বলেন, বর্তমানে জাতির অস্তিত্ব সংকটের সময়ে যুব
সমাজকে এগিয়ে আসতে হবে। যুব সমাজকে সমস্ত সামাজিক অবক্ষয় প্রতিরোধ করতে হবে। সেনা-সেটলার
কর্তৃক পার্বত্য চট্টগ্রামে ভুমি বেদখল, নিপীড়ন-নির্যাতনের বিরুদ্ধে সোচ্চার হতে হবে।
তিনি পূর্ণস্বায়ত্তশাসনের আন্দোলনে সামিল হয়ে অস্তিত্ব রক্ষার আন্দোলন জোরদার
করতে যুব সমাজের প্রতি আহ্বান জানান।
আইচুক ত্রিপুরা বলেন, সন্তু লারমা ও মুখোশদের প্রতিক্রিয়াশীল কথাবার্তায়
বিভ্রান্ত না হয়ে পার্বত্য চট্টগ্রামের বাস্তব পরিস্থতি সম্পর্কে যুব সমাজকে জানতে
হবে। আজকে পার্বত্য চট্টগ্রামে কেন এই সমস্যা বিরাজমান, কারা শাসকগোষ্ঠির সাথে আঁতাত
করে ভ্রাতৃঘাতি সংঘাত জিইরে রেখেছে তা বুঝতে হবে।
তিনি আরো বলেন, আজকে পাহাড়ে প্রতিনিয়ত ভুমি বেদখল করা হচ্ছে। ভূমি রক্ষা
না হলে জাতির অস্তিত্বও রক্ষা হবে না। তাই যে কোন উপায়ে আমাদেরকে ভূমি রক্ষা করতে হবে।
তিনি বলেন, যুব সমাজই জাতির কান্ডারি। তাই অধিকার আদায় ও অস্তিত্ব রক্ষার
স্বারে।থ যুব সমাজকে আন্দোলনে এগিয়ে আসতে হবে।
মানিকপুদি চাকমা বলেন, আমাদের যুব সমাজকে ভয়ে ঘরে বসে থাকলে হবে না, আন্দোলনে
সামিল হতে হবে। নারী পুরুষ সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে আন্দোলনের মাধ্যমে পাহাড়ের অশান্ত পরিস্থিতিকে
বদলে দিতে হবে।
ছাত্রনেতা তৃষ্ণাঙ্কর চাকমা বলেন, সময়ের প্রয়োজনে, সময়ের দাবিতে সংগঠন গঠন
হয়। এরই প্রেক্ষাপটে ২০০২ সালে গণতান্ত্রিক যুব ফোরাম গঠন হয়েছিল।
তিনি আরো বলেন, প্রতিরোধ সংগ্রাম যেখানে থাকে না সেখানে অস্তিত্ব সংকটে
পড়ে। জাতিকে এই সংকট থেকে উত্তরণের জন্য ছাত্র-যুব সমাজকে সবচেয়ে বেশি ভূমিকা পালন
করতে হয়। পার্বত্য চট্টগ্রামের ছাত্র-যুব সমাজকেও জাতির অস্তিত্ব রক্ষায় পূর্ণস্বায়ত্তশাসন
প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে সামিল হতে হবে।
সিএইচটি নিউজে প্রকাশিত প্রচারিত কোন সংবাদ, তথ্য, ছবি ,ভিডিও, কনটেন্ট ব্যবহার করতে হলে কপিরাইট আইন অনুসরণ করে ব্যবহার করুন।