ছাত্র সমাজকে জাতির দুর্দিনে কান্ডারি হয়ে পাশে দাঁড়াতে হবে : অমল ত্রিপুরা

চবি প্রতিনিধি,
সিএইচটি নিউজ
শনিবার,
৩১ মে ২০২৫
বৃহত্তর পার্বত্য চট্টগ্রাম পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ (পিসিপি)-এর চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়(চবি) শাখার ২১তম কাউন্সিলে ভুবন চাকমা সভাপতি ও সুদর্শন চাকমা সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন।
আজ শনিবার (৩১ মে ২০২৫) দুপুরে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ হলরুমে এই কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হয়।
পিসিপি’র চবি শাখার সভাপতি রোনাল চাকমা'র সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক ভূবন চাকমা সঞ্চালনায় কাউন্সিল অধিবেশনে বক্তব্য রাখেন পিসিপির কেন্দ্রীয় সভাপতি অমল ত্রিপুরা, হিল উইমেন্স ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সদস্য দয়াসোনা চাকমা ও পিসিপি’র চট্টগ্রাম মহানগর শাখার সভাপতি সোহেল চাকমা। এতে স্বাগত বক্তব্য দেন পিসিপির চবি শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক সুদর্শন চাকমা।
কাউন্সিল অধিবেশন পিসিপির কেন্দ্রীয় সভাপতি অমল ত্রিপুরা বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামকে নিয়ে নানা অপপ্রচার-অপতৎপরতা চালানো হচ্ছে। রাষ্ট্রীয় বিশেষ মহলের নির্দেশনায় খুন-অপহরণ, দমন-পীড়ন, জেল-জুলুম অব্যাহত রয়েছে। এটি পাহাড়িদের ওপর রাষ্ট্রের জাতিগত নিপীড়নের অংশ। এরই মাধ্যমে রাষ্ট্র জাতিসত্তাসমূহের অস্তিত্বকে বিলিন করে দেয়ার সু-গভীর ষড়যন্ত্র প্রতিফলিত হয়।
তিনি জাতির দুর্দিনে ছাত্র সমাজকে কান্ডারি হয়ে পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান জানিয়ে বলেন, রাষ্ট্রের জাতি ধ্বংসের কার্যকলাপের বিরুদ্ধে সকলকে সতর্ক থাকতে হবে, সচেতন হতে হবে। এই অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ সংগ্রামে গড়ে তুলতে হবে। যুগের পর যুগ পাহাড়ি জাতি ও জনমানুষ ক্রান্তিকাল সময় পার করছে। রাষ্ট্রের অপশাসনের বিরুদ্ধে লড়াই করে টিকে থাকতে হচ্ছে। সামনে দিনেও সকল অপশক্তির বিরুদ্ধে লড়াই করতে হবে। এর জন্য ছাত্র সমাজকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে, জাতির দুর্দিনে পাশে দাঁড়াতে হবে।
অমল ত্রিপুরা তাঁর বক্তব্যের শুরুতে সেনা-বিডিআর (বিজিবি) কর্তৃক বরকল ভূষণছড়া গণহত্যায় নিহত ও ধর্ষিত মা-বোনদের প্রতি শ্রদ্ধা ও স্মরণ করেন এবং পিসিপি'র চবি শাখার সাবেক সভাপতি মিটন চাকমাকে স্মরণ করেন।
চবি কাউন্সিলের গুরুত্ব তুলে ধরে অমল ত্রিপুরা বলেন, সারাদেশে তালমাতাল পরিস্থিতি বিরাজ করছে। নারীর ওপর আক্রমণ, ধর্ষণ, নির্যাতন, হত্যা ও গণতান্ত্রিক কর্মসূচিতে মৌলবাদী শক্তির হামলা, ক্যাম্পাসসমূহের সন্ত্রাস, দখলদারিত্ব কার্যক্রম চলছে। কয়েকদিন আগেও রাবি, চট্টগ্রামে আমাদের বন্ধুরা আক্রমণের শিকার হয়েছেন, ঢাকায় আক্রমণ করার চেষ্টা করা হয়েছে। ছাত্র ইউনিয়নের সম্পাদকের বাড়িতে গিয়ে হুমকির মতো ঘটনাও লক্ষ্য করছি। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে তিনজন শিক্ষার্থীকে বহিষ্কার আদেশ এখনো বাতিল করা হয়নি।
পার্বত্য চট্টগ্রামের পরিস্থিতি তুলে ধরে তিনি বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামের অব্যহত সেনাশাসন, ভূমি বেদখল, নারী ধর্ষণ, ধর্ষণের পর হত্যা, ধর্মান্তকরণ করে অস্তিত্ব ধ্বংস করে দেয়ার পাঁয়তারা চালানো হচ্ছে। কয়েকদিন আগে বান্দরবানে এক খেয়াং নারীকে ধর্ষণের পর নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়েছে, গতপরশু মহালছড়িতে নিজ বাড়িতে ঢুকে কোলের শিশু সন্তানকে কেড়ে নিয়ে ছুঁড়ে ফেলে দিয়ে ঘর থেকে টেনেহিঁচড়ে ধানক্ষেতে নিয়ে এক গৃহবধূকে ধর্ষণ করা হয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে চবি শাখার কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এই কাউন্সিল নিশ্চয় চবিসহ দেশের উচ্চ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে অধ্যয়নরত পাহাড়ি শিক্ষার্থীদের মাঝে এক তাৎপর্য রয়েছে। এই কাউন্সিলের মাধ্যমে নতুন নেতৃত্ব চাকসু নির্বাচনসহ, চবি'র ৭শতাধিক পাহাড়ি শিক্ষার্থীসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল শিক্ষার্থীদের ন্যায্য দাবি আদায় ও পাহাড়-সমতলে আগামী দিনে লড়াই সংগ্রামকে এগিয়ে নিতে কাজ করবে।
অমল ত্রিপুরা আরো বলেন, আগেকার সময়ে রাষ্ট্রের এই নিপীড়ন অধিকাংশ পাহাড়ে দেখা যেত, বর্তমানে পাহাড় পেরিয়ে তা দেশের অন্যান্য অঞ্চলেও ছড়িয়ে পড়েছে। আগে পাহাড়ে যা ঘটতো এখন সমতলেও তা লক্ষ্য করছি। সারাদেশে নারীর ওপর আক্রমণ দিন দিন বাড়ছে। গণতান্ত্রিক কর্মসূচিতে বাধা, হামলা, শ্রমিক হত্যা, সংখ্যালঘু জাতিসত্তার ওপরে হামলা ইত্যাদি ঘটনা প্রতিনিয়ত ঘটছে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সন্ত্রাস-দখলদারিত্ব চলছে। রাবি, চট্টগ্রামে আমাদের সহপাঠী, বন্ধুদের ওপর আক্রমণ, হামলা করা হয়েছে। এমতাবস্থায় দেশের এ অরাজকতার পরিস্থিতি মোকাবেলা করতে সকল গণতান্ত্রিক শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে লড়াই করা ছাড়া আমাদের বিকল্প কোন পথ নেই।
তিনি বলেন, শাসকরা যুগে যুগে শোষিত, বঞ্চিত, নিপীড়িত মানুষকে দমনের জন্য বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করে, অপতৎপরতা চালায়। কিন্তু এর প্রতিবাদে নিপীড়িত শ্রেণী সংগঠিত হয়েছে, লড়াই করেছে, প্রতিরোধ যুদ্ধে লিপ্ত হয়ে বিপ্লব ঘটিয়েছে। আমরা ভিয়েতনামে দেখেছি, রাশিয়া, ফরাসি, চীন বিপ্লবের কথা জানি, আফ্রিকায়ও তা দেখেছি। বাংলাদেশে ৭১’র স্বাধীনতা সংগ্রামের কথা জানি এবং সর্বশেষ ২৪’র গণঅভ্যুত্থান দেখেছি। শাসক যতই শক্তিশালী হোক জনতার ঐক্যবদ্ধ লড়াইয়ে তারা পরাজিত হয়।
বাংলাদেশ স্বাধীনতার পরবর্তীতে পার্বত্য চট্টগ্রামে রক্তক্ষয়ী সশস্ত্র সংগ্রাম হয়েছে। আজ অবদি জাতীয় মুক্তির আন্দোলন চলছে, সংগ্রাম জারি রয়েছে। এই লড়াই সংগ্রামকে বাধাগ্রস্ত করতে পাহাড়িদের মধ্যেকার শাসকগোষ্ঠির পদলেহি মানুষ মুক্তিকামী মানুষের বিপরীতে কাজ করছে। তাই, ছাত্র সমাজকে রাষ্ট্রীয় অপশক্তি ও জাতীয় দালাল-প্রতিক্রিয়াশীলদের প্রতিহত করে আত্মনিয়ন্ত্রণের অধিকার ছিনিয়ে আনতে হবে। নিপীড়িত জাতির মুক্তির সনদ পূর্ণস্বায়ত্তশাসন প্রতিষ্ঠার লড়াইকে বেগবান করতে এগিয়ে আসতে হবে।
হিল উইমেন্স ফেডারেশনের নেত্রী দয়াসোনা চাকমা বলেন, পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের লড়াই সংগ্রাম কখনো মসৃণ ছিল না। এ লড়াই সংগ্রামে অনেকে শহীদ হয়েছেন। শাসকগোষ্ঠী কর্তৃক অন্যায়ভাবে মামলা, হামলার শিকার হয়েও পিসিপির লড়াই সংগ্রামকে দমাতে পারেনি। পিসিপি তাঁর কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যেই আপোষহীন লড়াই সংগ্রাম করে যাচ্ছে।
পাহাড়ের নারীরা আজ নিরাপদ নয় উল্লেখ করে তিনি আরো বলেন, গত ১ মাসে পাহাড়ে দুটি ধর্ষণের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় কোন সুষ্ঠু তদন্ত হয়নি। প্রশাসন থেকে দৃশ্যমান কোন পদক্ষেপ চোখে পড়েনি। এতেই প্রমাণ হয় যে, প্রশাসন ধর্ষকদের পাহারাদার। আমাদের নিরাপত্তা আমাদেরকে নিশ্চিত করতে হবে। এ কারণে লড়াই সংগ্রামের বিকল্প নেই।
পিসিপির’ চট্টগ্রাম মহানগর শাখার সভাপতি সোহেল চাকমা বলেন, পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ সংকটাপন্ন সময়েও তার লড়াই সংগ্রাম থেকে পিছুপা হয়নি। লড়াই সংগ্রাম করে পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ সম্ভাবনার জায়গা তৈরী করে। প্রতিষ্ঠার শুরু থেকে শত বাধা-প্রতিবন্ধকতা মোকাবিলা, সহযোদ্ধাদের আত্মত্যাগ তা প্রমাণ দিয়েছে।
তিনি আরো বলেন, ব্রিটিশ থেকে বর্তমান বাঙালি শাসকরা আমাদের পাহাড়িদের সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করেছে। তার একমাত্র কারণ পাহাড়িরা রাজনৈতিকভাবে সংগঠিত না হওয়ার কারণে। ছাত্রসমাজকে তার দায়িত্ববোধকে অনুধাবন করতে হবে, জুম্ম জনগণের জাতীয় মুক্তির লক্ষ্যে লড়াই সংগ্রামে সমবেত হতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয় মুক্ত জ্ঞান আহরণ ও রাজনৈতিক প্রাণকেন্দ্রের জায়গা।।বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের শাসকগোষ্ঠী ও প্রতিক্রিয়াশীলদের বিরুদ্ধে বুদ্ধিবৃত্তিক লড়াই সংগ্রাম চালিয়ে যেতে হবে।
সুদর্শন চাকমা বলেন, চট্টগ্রাম
বিশ্ববিদ্যালয় পার্বত্য চট্টগ্রামে খুব কাছাকাছি হওয়ায় সামাজিক,সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিকভাবে
বিশেষ তাৎপর্য বহন করে। ছাত্র সমাজের ঐতিহাসিক আন্দোলনে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের
ভূমিকা অত্যন্ত চোখে পড়ার মতো। পার্বত্য চট্টগ্রামের নব্বই দশকের ছাত্র আন্দোলন চট্টগ্রাম
বিশ্ববিদ্যালয়ের পাহাড়ি শিক্ষার্থীদের নেতৃত্ব বেগবান হয়েছিল। হিল উইমেন্স ফেডারেশনের
যাত্রাও এই বিশ্ববিদ্যালয় থেকেই হয়েছিল। দেশব্যাপী সাড়া জাগানো ম্যাগাজিন রাডার, স্যালভো
সে সময়ে ছাত্র আন্দোলনকে বেগবান করেছে। পার্বত্য চট্টগ্রামে নানা সংকটের মধ্যেও পাহাড়ি
ছাত্র পরিষদ তার লড়াই সংগ্রাম চালিয়ে যাচ্ছে। আজকের তরুণ পাহাড়ি ছাত্র সমাজকেগ তার
দায়িত্ববোধের জায়গা থেকে সচেতন হতে হবে। পূর্বসূরীদের সংগ্রামের ঐতিহাসিক দায়িত্ব তরুণদের
কাঁধে নিতে হবে।
সভাপতি রোনাল চাকমা বলেন, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে বহু বছর পর চাকসুতে আমরা কাউন্সিল করছি। এ কাউন্সিল চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে রাজনৈতিকভাবে তাৎপর্য বহন করছে। বিশ্ববিদ্যালয় জ্ঞান উৎপাদন, বিতরণ ও সম্ভাবনার জায়গা। আমাদের অর্জিত জ্ঞান নিপীড়িত জুম্ম জনগণের কল্যানার্থে পাহাড়ে গিয়ে কাজ করতে হবে। নতুন কমিটির যারা দায়িত্ব নিবে তাদের চেষ্টা ও মেধার বলে সংগঠন সামনে বহুদূর এগিয়ে যাবে। পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ এখন আর আঞ্চলিক ছাত্র সংগঠনের মধ্যে সীমাবদ্ধ নই। পিসিপি তার মেধা, শ্রম ও লড়াই সংগ্রামের মাধ্যমে তার সাংগঠনিক বিস্তৃতি এখন জাতীয় পর্যায়ে। জুলাই গনঅভ্যুত্থানে আওয়ামী ফ্যাসিবাদী বিরুদ্ধে পিসিপি সামনে সারি থেকে লড়াই করেছে। দেশের সকল অন্যায় অবিচারের বিরুদ্ধে সমতলের প্রগতিশীল ছাত্র সংগঠনের সাথে জোটবদ্ধভাবে লড়াই সংগ্রাম চালিয়ে যাচ্ছে। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে রাজনৈতিক অঙ্গনে পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ সক্রিয় রয়েছৈ। বিশ্ববিদ্যালয়ে সকল অন্যায়ের বিরুদ্ধে পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ সবসময় সরব ছিল, আগামী দিনেও থাকবে।
চাকসু'তে সংখ্যালঘু জাতিসত্তা বিষয়ক সম্পাদকের পদ অন্তর্ভুক্তির দাবি জানিয়ে তিনি বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামসহ সারা দেশের সংখ্যালঘু জাতিসত্তার ভাষা, সংস্কৃতির বিকাশ, চর্চা এবং গবেষণা ও পিছিয়ে পড়া অঞ্চল ও জাতিগোষ্ঠীর শিক্ষার্থীদের প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করতে চাকসু'তে সংখ্যালঘু জাতিসত্তা বিষয়ক পদ অন্তর্ভুক্তি প্রয়োজন। এছাড়া রেসিজম এবং জাতিগত বুলিং প্রতিরোধেও এই সম্পাদক কাজ করতে পারবে।
কাউন্সিল অধিবেশনের ব্যানার শ্লোগান ছিল, “সারাদেশে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সন্ত্রাস,দখলদারিত্ব বন্ধ ও গণতান্ত্রিক শাসন প্রতিষ্ঠার লক্ষ্য ছাত্র সমাজ এক হও।"
কাউন্সিলের ১ম অধিবেশন শুরু হয় পিসিপি'র দলীয় সংগীতের মাধ্যমে। এরপর জুলাই গণঅভ্যুত্থান ও পার্বত্য চট্টগ্রামের জনগণের অধিকার আদায়ের আন্দোলনে শহীদদের স্মরণে ১ মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।
কাউন্সিলের ২য় অধিবেশনে পিসিপি চবি শাখার সাংগঠনিক রিপোর্ট তুলে ধরেন সাংগঠনিক সম্পাদক সুদর্শন চাকমা। এরপর পুরাতন কমিটি বিলুপ্তি ও প্রস্তাবিত নতুন কমিটি ঘোষণা করেন পিসিপি চবি শাখার সদ্য বিদায়ী সভাপতি রোনাল চাকমা।
১৯ সদস্য বিশিষ্ট নতুন কমিটিতে সর্বসম্মতিক্রমে ভুবন চাকমা সভাপতি ও সুদর্শন চাকমা সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। অধিবেশনে উত্থাপিত নতুন নির্বাচিত কমিটি জোর করতালি দিয়ে পাশ করা হয়।
এরপর নতুন কমিটিকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি অমল ত্রিপুরা, হিল উইমেন্স ফেডারেশনের নেত্রী দয়াসোনা চাকমা ও পিসিপি চট্টগ্রাম নগর সভাপতি সোহেল চাকমা ও সদ্য বিদায়ী সভাপতি রোনাল চাকমা।
পরে নতুন কমিটির সভাপতি ভুবন
চাকমা কাউন্সিল অধিবেশন সমাপ্তি ঘোষণা করেন। কাউন্সিল উপলক্ষে প্রকাশিত লিফলেট এ চট্টগ্রাম
বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের নিকট নিম্নোক্ত দাবি জানানো হয়:
১. চাকসু’র দ্রুত নির্বাচনী
রোডম্যাপ ঘোষণা কর। নির্বাচনের জন্য গণতান্ত্রিক পরিবেশ নিশ্চিত কর।
২. চাকসু’তে সংখ্যালঘু জাতিসত্তা
বিষয়ক সম্পাদক পদ অন্তর্ভুক্ত কর।পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর ভাষা, সংস্কৃতি সংরক্ষণ ও বিকাশে
গবেষণায় বিশেষ প্রনোদনা দাও। সংখ্যালঘু জাতিসত্তাসমূহের ভাষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউট চালু
কর।
৩. অতীশ দীপংকর শ্রীজ্ঞান
হল ও নবাব ফয়জুন্নেছা হলে বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বী ও সংখ্যালঘুদের জন্য প্রাপ্য ৬০% আসন যথাযথভাবে
নিশ্চিত কর।হলে খাবারের মান, আবাসন ও হলে উদ্ভূত সমস্যার দ্রুত সমাধান কর।
৪. চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের
৩ নারী শিক্ষার্থীর বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার কর।
সিএইচটি নিউজে প্রকাশিত প্রচারিত কোন সংবাদ, তথ্য, ছবি ,ভিডিও, কনটেন্ট ব্যবহার করতে হলে কপিরাইট আইন অনুসরণ করে ব্যবহার করুন।