""

সেনারা ইউপিডিএফ’র পোস্টারকেও এত ভয় পায়?

নিজস্ব প্রতিনিধি, পানছড়ি
সিএইচটি নিউজ, ৫ এপ্রিল ২০২২ 

সেনারা এভাবে সাঁটানো পোস্টারগুলো ছিঁড়ে ফেলে দেয়।


স্রেফ একটি কাগজে ছাপা পোস্টার। বিভিন্ন স্থানে পোস্টারটি সাঁটানো হয়েছে। এটি ইউপিডিএফ’র খাগড়াছড়ি জেলা ই্উনিট থেকে গত ১৭ মার্চ ২০২২ প্রকাশ করা হয়। দীঘিনাালায় সেনা হেফাজতে নির্যাতন চালিয়ে ইউপিডিএফ সংগঠক নবায়ন চাকমা মিলনকে হত্যার ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে এই পোস্টারটি প্রকাশ করে ইউপিডিএফ।

আর এই পোস্টারটিই এখন সেনা সদস্যদের যত ভয়। তারা যেখানে এই পোস্টারটি পাচ্ছে ছিঁড়ে ফেলে দিচ্ছে। আর জনগণকে হুমকি-ধমকি দিয়ে ভয়ভীতি প্রদর্শন করছে।

খাগড়াছড়ির পানছড়িতে আজ মঙ্গলবার (৫ এপ্রিল ২০২২) সকালে নালকাবা এলাকায় এমনই পোস্টার ছেঁড়ার কাণ্ড ঘটিয়েছেন সেনা সদস্যরা। সকাল আনুমানিক ১০টার দিকে একদল সেনা সদস্য নালকাবা এলাকায় গিয়ে সেখানে বিভিন্ন স্থানে লাগানো ইউপিডিএফ’র পোস্টারগুলো ছিঁড়ে ফেলে দেয়। এ সময় তারা স্থানীয় এক ছাত্রকেও পোস্টার ছিঁড়তে বাধ্য করে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। সেনারা এলাকার জনগণকে এমনও হুমকি দেয় যে, ‘ভবিষ্যতে কারোর দোকানে যদি এই পোস্টারটি পাওয়া যায় তাহলে অসুবিধা হবে’!

পোস্টার ছিঁড়ে দেয়ার পর সেনারা বেশ কিছু সময় ধরে শুকনাছড়ি এলাকায় ঘোরাঘুরি করেন বলে এলাকাবাসী জানান।

দেয়ালে সাঁটানো পোস্টার

উক্ত পোস্টারটি নিয়ে সেনাদের আতঙ্কের কারণ হচ্ছে, ওই পোস্টারে “পার্বত্য চট্টগ্রামে সেনা সন্ত্রাস বন্ধ কর” এমন একটি দাবি লেখা রয়েছে। আর লেখা রয়েছে, ‘সেনা হেফাজতে শারীরিক নির্যাতনে শহীদ নবায়ন চাকমার (সৌরভ) রক্ত বৃথা যাবে না’, ‘‌শত শহীদের রক্ত বীজ থেকে জন্ম নেবে হাজারো সংগ্রামী যোদ্ধা’ এমন দুটি শ্লোগান।

এদিকে সেনাদের এমন পোস্টার ছেঁড়ার কাণ্ড দেখে লোকজন মন্তব্য করছেন, “সেনারা তাহলে ইউপিডিএফ’র পোস্টারকেও এত ভয় পায়?

আবার অনেকে বলছেন দোকানে, পথে-ঘাটে পোস্টারটি ছিঁড়ে দিলে আর কী হবে? এখন তো আধুনিক প্রযুক্তির যুগ। এই পোস্টারটিতো এখন আর শুধু নালকাবা এলাকায় সীমাবদ্ধ নেই। ইন্টারনেটের কল্যাণে এটি এখন হয়তো বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে পৌঁছে গেছে।

উল্লেখ্য আগেও খাগড়াছড়ির মাটিরাঙ্গা, গুইমারা এলাকায় এবং রাঙামাটির বাঘাইছড়ি ও সাজেকের বিভিন্ন স্থাানে সেনারা একই পোস্টার ছিঁড়ে দিয়েছিলো।

----





0/Post a Comment/Comments