লক্ষ্মীছড়ি প্রতিনিধি, সিএইচটি নিউজ
রবিবার, ২২ মে ২০২২
খাগড়াছড়ির লক্ষ্মীছড়ি উপজেলার ১ নং লক্ষ্মীছড়ি ইউনিয়নে সেনা জোন সম্প্রসারণ ও সরকারের আশ্রয়ন প্রকল্পের নামে পৃথক স্থানে ভূমি বেদখল ও বাঙালি সেটলার পুনর্বাসনের পাঁয়তারা চলছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ১নং লক্ষ্মীছড়ি ইউনিয়নের বিজয় কার্বারী পাড়ার বাসিন্দা উসামং মারমার বাস্তুভিটা ও চাষাবাদের জমি দীর্ঘদিন ধরে সেনাবাহিনী দখল করার চেষ্টা চালাচ্ছে। এ ব্যাপারে জোন থেকে সেনাবাহিনী গিয়ে কয়েকবার উসামং মারমাকে তার জমি ছেড়ে চলে যাওয়ার জন্য হুমকি দেওয়া হয়েছে। তার জমির পরিমাণ ২ একর, যা সরকারিভাবে রেজিষ্ট্রিকৃত বলে জানা গেছে।
সর্বশেষ গতকাল ২১ মে ২০২২ সেনাবাহিনীর
একদল সদস্য উসামং মারমার বাড়িতে গিয়ে আজ (২২ মে) জমির কাগজপত্র নিয়ে জোনে যেতে বলেছে
এবং তাকে অবশ্যই সেনাবাহিনীর কাছে জমি হস্তান্তর করতে হবে মর্মে শাসিয়ে গেছে বলে অভিযোগ
পাওয়া গেছে। যার ফলে উসামং মারমা ও তার পরিবার জমি হারানোর আশঙ্কা ও নিরাপত্তাহীনতায়
ভুগছে।
অপরদিকে, লক্ষ্মীছড়ি সদর ইউনিয়ন (১নং লক্ষ্মীছড়ি
ইউনিয়ন) পরিষদ ভবনের পাশে শিলাছড়ি এলাকায় আশ্রয়ন প্রকল্প করার জন্য উপজেলা নির্বাহী
কর্মকর্তাসহ প্রশাসনের লোকজন জমি নির্ধারণ করেছে বলে খবর পাওয়া গেছে। জানা গেছে, আশ্রয়ন
প্রকল্পের জন্য যে জমিটি নির্ধারণ করা হয়েছে সেটি কালেন্দ্র চাকমা নামের এক ব্যক্তির
মালিকানাধীন জমি। তিনি আওয়ামী লীগের লক্ষ্মীছড়ি উপজেলা সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্বে রয়েছেন।
এই আশ্রয়ন প্রকল্পের মাধ্যমে সেখানে বাঙালি
সেটেলার পুনর্বাসন করা হবে—এমন আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা বাসিন্দারা। তারা বলেছেন, আশ্রয়ন
প্রকল্পের জন্য সে স্থানটি নির্ধারণ করা হয়েছে সে এলাকাটি পাহাড়ি অধ্যুষিত। তাই সেখানে
বাঙালি সেটেলার পুনর্বাসন করা হলে সামাজিকভাবে বিশৃঙ্খলা ও নানা সমস্যা সৃষ্টি হবে।
সেনা জোন সম্প্রসারণের নামে জমি জবরদখল
চেষ্টা এবং আশ্রয়ন প্রকল্পের নামে সেটলার পুনর্বাসনের ষড়যন্ত্রের খবরে এলাকাবাসী ক্ষোভ
ও উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। তারা অবিলম্বে এই ষড়যন্ত্র বন্ধের দাবি জানিয়েছেন।
---