""

জেএসএসের বর্বরতার একটি দৃষ্টান্ত!

পানছড়ি প্রতিনিধি, সিএইচটি নিউজ
সোমবার, ২১ নভেম্বর ২০২২

জেএসএসের বর্বর নির্যাতনের শিকার দুই ইউপিডিএফ সদস্য।


জনসংহতি সমিতির বর্বরতা কোন কোন ক্ষেত্রে ইসলামী জঙ্গী আইএসকেও ছাড়িয়ে গেছে। অপহৃত দুই ইউপিডিএফ সদস্যকে তারা যেভাবে নিষ্ঠুর নিযাতন করেছে তাতে তাদের দলের আদর্শিক ও রাজনৈতিক পচনকেই ইঙ্গিত করে।

গত ১৬ নভেম্বর ২০২২ সন্তু লারমার নেতৃত্বাধীন জেএসএসের সশস্ত্র সদস্যরা রিয়াজ ত্রিপুরা ও জীবন চাকমা নামে দুই ইউপিডিএফ সদস্যকে পানছড়ি-শিলটাঙ্যা সীমানা থেকে অস্ত্রের মুখে অপহরণ করে। এ সময় ইউপিডিএফ সদস্যরা দীঘিনালার মিইনী থেকে জঙ্গলাকীর্ণ পথে পানছড়ি যাচ্ছিলেন।

জেএসএস সন্ত্রাসীরা তাদেরকে প্রথমে গাল্লোমোন ও পরদিন দীঘিনালার উগুদোছড়িতে নিয়ে যায়। সেখানে চিনু মারমা, অর্জুন ত্রিপুরা, পাবেল চাকমা  বরুণ চাকমাসহ অন্য জেএসএস সদস্যরা তাদের উপর অকথ্য শারীরিক নিযাতন চালায়।

তারা তাদেরকে বন্দুকের বাট, লাকড়ির কাঠ ও লাঠি দিয়ে মাথায় ও শরীরের বিভিন্ন জায়গায় আঘাত করে। শুধু তাই নয়, এক জেএসএস সদস্য জীবন চাকমার পিঠে কামড়ও বসিয়ে দেয়।

তাদের অপহরণের খবর জানাজানি হওয়ার পর কয়েকটি মাধ্যমে জেএসএসের উপর চাপ সৃষ্টি করা হলে তারা উক্ত দু’জনকে ছেড়ে দিতে বাধ্য হয়।

রিয়াজ ত্রিপুরাকে ১৮ নভেম্বর সন্ধ্যায় ও জীবন চাকমাকে পরদিন সকালে মুরুব্বীদের হাতে তুলে দেয়া হয়। ছেড়ে দেয়ার আগে জেএসএস জঙ্গীরা তাদের কাছ থেকে নিযাতন করা হয়নি বলে জোর করে মিথ্যা ভিডিও স্বীকারোক্তি নেয়।

রিয়াজ ও জীবন বর্তমানে চিকিসাধীন রয়েছেন।

তাদের শরীরে নির্মম নিযাতনের চিহ্ন দেখে নিরাপত্তাজনিত কারণে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক পানছড়ির এক গ্রামের কার্বারী মন্তব্য করে বলেন, ‘তারা তাদের (জেএসএসের) শত্রু হতে পারে, কিন্তু তারপরও তো তারা নিজের জ্ঞাতি ভাই। নীতি আদর্শের ছিটেফোঁটা থাকলেও কোন পার্টি প্রতিপক্ষের লোকজনের উপর এরকম নিষ্ঠুর ব্যবহার করতে পারে না।’

তিনি বলেন জেএসএস যে পঁচে গেছে তা তাদের এসব আচরণে ফুটে উঠেছে। কতটুকু প্রতিহিংসাপরায়ণ হলে, কতটুকু বর্বর হলে প্রতিপক্ষ দলের কর্মীকে এভাবে কামড়াতে পারে তা এ ঘটনা থেকে বুঝা যায়।

ভুক্তভোগীদের নির্যাতনের বিবরণ শুনুন:


 





0/Post a Comment/Comments